রিজিক নিয়ে উক্তি

আমরা যারা মুসলমান ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে রিজিক শব্দটি খুব পরিচিত একটি শব্দ। মহান আল্লাহতালা এই পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীকুলের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছে। মানুষ জন্ম গ্রহনের পরেই মহান আল্লাহতালা রিজিকের ফয়সালা করে রেখেছে। যেহেতু আল্লাহতালা প্রতিটি মানুষের জন্য রিজিক দিয়ে রেখেছেন তাই রিজিকের জন্য চেষ্টা করতে হবে ঘরে বসে থাকলে আপনি রিজিক পাবেন না। তাই এই রিজিক নিয়ে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি অনেক সুন্দর সুন্দর উক্তি দিয়েছেন।যে উক্তিগুলো জানলে আমরা বুঝতে পারবো আসলে মহান আল্লাহতালা কত রিজিক দিয়ে গেছেন।

আমরা রিজিক বলতে শুধু খাবারকেই বুঝিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সামগ্রিক জীবনযাপনের সাথে জড়িত উপকরণ গুলোকে একত্রে রিজিক বলা হয়। তবে রিজিক নিয়ে আমরা অনেকে দুশ্চিন্তায় থাকি। আবার রিজিক নিয়ে যে উক্তিগুলো রয়েছে সেগুলো অনেকেই পড়তে পছন্দ করেন তাই অনেকে গুগলে সার্চ করে জেনে নিতে চাই রিজিক নিয়ে উক্তি। তাই তাদের জন্য আমরা আমাদের এখানে রিজিক নিয়ে সুন্দর কিছু উক্তি জানিয়ে দেব। আপনারা যারা রিজিক নিয়ে উক্তি গুলো জেনে নিতে চান আমাদের পুরো আলোচনাটি পড়ুন আর এই উক্তি গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই এই রিজিকের জন্য হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। অনেকে বাড়তি রিজিকের জন্য কত কিছুই না করে। তবে পৃথিবীতে প্রেরিত প্রত্যেকের রিজিক আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর সবাই তার জন্য নির্ধারিত রিজিক লাভ করবেন নির্দিষ্ট নিয়মে। যার জন্য যত টুক রিজিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে সে ততটুকুই পাবে তার কম নয় বেশিও নয়। আর মানুষ রিজিকের জন্য চেষ্টা করে। চেষ্টা করা স্বাভাবিক রীতি তবে রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি চাইলে রিজিক পাবেন না চাইলে তা পাবেন না।

রিজিক নিয়ে উক্তি

অনেক মানুষ চেষ্টা করার পরও অনেক সময় রিজিকে কম বেশি হয়। এটি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পরীক্ষা। তাই অনেক চেষ্টা করার পরেও যদি কারো রিজিকে কম হয় তা হলে এ বিষয়ে হতাশ হওয়া ঠিক হবে না। তবে যুগ যুগ ধরে রিজিক নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের উক্তি দিয়েছেন যে উক্তিগুলো জানলে আমরা বুঝতে পারবো রিজিক সম্পর্কে। তাই আমরা এখন আপনাদেরকে রিজিক নিয়ে সুন্দর কিছু উক্তি জানিয়ে দিব। আপনারা যারা রিজিক নিয়ে উক্তিগুলো জানতে চান তারা আমাদের এখান থেকে দ্রুত দেখে নিন।

আল্লাহ তালা সবাইকে সমান ভাবে রিজিক দান করেন না।কাউকে কম আবার কাউকে বেশি রিজিক দান করে থাকে।আপনার রিজিক আপনার কাছে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় সঠিক উৎস থেকে পৌঁছে যাবে আল্লাহর হুকুমে।তবে এ জন্য আমাকে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো আল্লাহর ওপর ভরসা করে হালাল পথে যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বাকিটি আল্লাহ তালার হাতে। তবে আমরা অনেকেই রিজিকের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করি না। তাই অনেক সময় রিজিক ব্যবস্থা করতে গিয়ে হতাশার মধ্যে পড়ি

যেহেতু মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাই আমাদের রিজিকদাতা মহান আল্লাহতালা। আল্লাহতালা বলেছেন আমার বান্দা কখনো না খেয়ে মরবে না তাদের রিজিকের ব্যবস্থা আমি করব তবে তার জন্য তাকে চেষ্টা করতে হবে। তাই আমরা যারা রিজিক নিয়ে উক্তি জানতে চাই। আর এই উক্তি জানার জন্য আপনারা যারা আমাদের এখানে এসেছেন আমরা আপনাদের জন্য আমাদের এখানে রিজিক নিয়ে কিছু সুন্দর সুন্দর উক্তি জানিয়ে দিলাম। আর রিজিক নিয়ে উক্তি পড়ার সময় আপনাদের যদি কোন উক্তি ভালো লেগে থাকে তাহলে সে উক্তি এখান থেকে নিতে পারেন

১/ “পৃথিবীতে বিচরণশীল সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আমার (মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার)।”
– (সূরা হুদ, আয়াত ৬)

২/ তুমি যখন একজন গরিব-মিসকিনকে খাবার দান করবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তোমার রিজিককে পবিত্র করে দিবেন।
– মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)

৩/ রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌ তায়ালা, আমরা সকলে রিজিকের জন্য একমাত্র তার নিকট প্রার্থনা করবো।
– মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)

৪/ রিজিক অর্জনের জন্য শুধু আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ বন্ধ করে বসে থাকলে হবেনা, আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে।
– আবুল মিশকাত

৫/ রিজিক মহান আল্লাহ তা’য়ালা কর্তৃক বড় নেয়ামত৷ আল্লাহ্‌ প্রদত্ত রিজিক প্রতিটি প্রাণী ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রাপ্ত হয়ে থাকে ৷
– (সূরা হুদ)

 

৬/ মহান আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন তার রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং এবং যার প্রতি অসন্তুষ্ট হন তার রিজিক সংকুচিত করেন।
– (সূরা আর-রাদ: ২৬)

৭/ আপনার রিজিক আপনার কষ্টের মাধ্যমেই উপার্জন করে নিতে হবে, আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাকে পথ দেখাবেন মাত্র।
– সালমান বিন আবদুল আজিজ

৮/ মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, “আকাশে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।”

৯/ হালাল অর্থ উপার্জন করে রিজিক গ্রহণের মধ্যে এক প্রকার শান্তি রয়েছে, যা হারাম অর্থ উপার্জন করে গ্রহণের মাঝে নেই।
– মানাহিল আইমা

১০/ “তোমরা আল্লাহর কাছে রিজিক তালাশ কর, তার ইবাদত কর এবং তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তারই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।”
– সুরা আনকাবুত : আয়াত ১৭

১১/ তোমার যতই অর্থ থাকুক না কেন তুমি তখনই রিজিক গ্রহণ করতে পারবে যখন মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা চাইবেন।
– ইব্রাহিম বিন খালিদ

১২/ হারাম রিজিক গ্রহণ করে আমরা উপকৃত হইনা বলেই মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা তা আমাদের জন্য হারাম করেছেন।
– নুরা আল আজিজ

১৩/ “মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু, যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।”
– সুরা শুরা: আয়াত ১৯

১৪/ “সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে শেখো, তিনি তোমার রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, তিনি তোমাকে নিরাশ করবেন না।”
– মহানবি হযরত মুহাম্মত (স)

১৫/ কার রিজিক কোথায় রয়েছে তা একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ ব্যতিত কেউ জানেন না।
– আব্রাহাম ইলাহি

রিজিক এমন একটি জিনিস যেটা মহান আল্লাহতালা সবার জন্য দিয়েছেন। একজন মানুষ চাইলেও রিজিকের কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না।কারণ মহান আল্লাহতালা পৃথিবী তে প্রেরণ করার আগে তার রিজিক ফয়সালা করেছেন। এই রিযিক মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকে সরাসরি নির্ধারণ হয়েছে। আপনি চাইলেও রিজিকের কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না। তাই রিজিক নিয়ে অনেক উক্তি রয়েছে যেগুলো পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন।তাই আমরা আপনাদের জন্য রিজিক নিয়ে কিছু উক্তি আমাদের এখানে জানিয়ে দিলাম।

Leave a Comment