আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে উক্তি

আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে উক্তি যদি পেতে চান তাহলে আল্লাহ পাক আমাদেরকে বাস্তবেক জীবনে কোন কোন ক্ষেত্রে সাহায্য করছেন তার যদি বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে পারি তাহলে সেগুলোই আপনাদের ভরসার জায়গা তৈরি করতে পারবে। একজন মুসলিম হিসেবে সর্ব প্রথমে আমাদেরকে আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব নিয়ে বিশ্বাস করতে হবে এবং আল্লাহ পাকের তাওয়াক্কুলের প্রতি বিশ্বাস আনতে হবে।

আর যদি এই বিশ্বাসের জায়গা গুলো পাকাপোক্ত না হয় অথবা আপনি যদি আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা না পান তাহলে অনেক গুনাহগার হয়ে যাবেন। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহপাকের কাছে যদি ভরসা করতে পারেন এবং সাহায্য চাইতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাবেন।

যারা মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও মনে করে থাকেন আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব নেই অথবা আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব যে আপনি যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা ফিরিয়ে আনুন। এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আল্লাহপাক সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন এবং এই পৃথিবীতে যে নিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন সেটা আল্লাহ পাকের প্রদান করা একটা নিয়ামত।

তবে সকল কিছু মেনে নিতে পারলেও এবং আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারলেও আমরা দুনিয়ার জীবনে এতটাই ব্যস্ত হয়ে থাকি যে অনেক সময় নিজেদের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। তাছাড়া অনেক সময় কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলায় পড়ে থাকলে আমরা সরাসরি সেই ঝামেলার মানুষের সঙ্গে মিটমাট করার চেষ্টা করি অথবা কোথায় গেলে ঝামেলা মিটবে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এই বান্দার সমস্যা গুলো নিয়ে যদি আল্লাহপাকের দরবারে হাত তুলে এবং এ সকল সমস্যা গুলো যদি হালাল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহপাক সমাধান করে দিবেন।

কিন্তু আমরা দুনিয়ার জীবনে যে পাগলামি দেখাই সেই পাগলামি অথবা আবেগ যদি আল্লাহ পাকের প্রতি দেখায় তাহলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর এবং আমাদের জীবনে আমরা প্রকৃত সুর খুঁজে পাবো। ইসলাম একটা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এবং এখানকার এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে আপনি প্রশান্তি ময় পথ খুঁজে পাবেন। দুনিয়ার জীবনে যারা বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যায় ভুগছেন তারা সেই সমস্যাগুলো আল্লাহ পাকের কাছে খুলে বলতে পারলে তিনি অবশ্যই সমাধান করে দিবেন।

তবে এমন কোন আবদার করা যাবে না অথবা এমন কোন সমস্যার সমাধান করা যাবে না যেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর ক্ষতিকর হয়ে থাকলেও আল্লাহপাক তা আপনাকে প্রদান করবেন না কারণ তিনি উত্তম প্রতিদানকারী। বান্দার চাওয়া পাওয়ার উপরে নির্ভর করে তিনি আপনাদের যে সকল বিষয় প্রদান করার ব্যাপারে উত্তম বলে মনে করেন সেগুলোই প্রদান করে থাকেন। তাই দুনিয়ার জীবনে হেরে গিয়েছেন অথবা কেউ আপনাকে কষ্ট দিয়েছে এরকম ক্ষেত্রে আপনারা মানুষের কাছে সাহায্য না চেয়ে অথবা মানুষের কাছে মনের দুঃখের কথাগুলো খুলে না বলে আল্লাহর কাছে খুলে বলুন।

কারণ দুনিয়ার মানুষের কাছে আপনি সমস্যাগুলো খুলে বললে হয়তো বৃদ্ধি পেতে পারি অথবা কোন সমাধান হতেই পারে না। কিন্তু আল্লাহ পাকের কাছে খুলে বললে অথবা যে সকল মুহূর্তের দোয়া কবুল হয় সে সকল মুহূর্তে যদি আমরা এগুলো দোয়ার মাধ্যমে বলতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে এমন একটা রাস্তা আপনার জন্য তৈরি হয়ে যাবে যে রাস্তা দিয়ে আপনি নিজেকে সমাধানের পথে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

মানবতার চারটি বৈশিষ্ট্য হল কৌতূহল, মুক্ত মন, ভালো রুচির প্রতি আস্থা এবং মানব জাতির প্রতি ভরসা৷
– ই.এম. ফরস্টার

আস্থা খুবই অদ্ভুত বিষয়, একবার ভেঙ্গে গেলে আর কখনো তৈরি হতে পারে না৷
– উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

আপনি যখন আস্থা রাখেন যে কিছু করা যেতে পারে, সত্যিই তখন আপনার মন এটি করার উপায় খুঁজে পাবে। এই আস্থা আমাদের সমাধানের পথ প্রশস্ত করে।
– ডেভিড জে.

কখনো কখনো জীবন আপনার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করবে তখনও বিশ্বাস হারাবেন না ।
— স্টিভ জবস

আমি কখনো নিজের বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেব না, কারণ সেটি ভুল হতে পারে ।
— বার্ট্রান্ড রাসেল

আল্লাহপাকের প্রতি ভরসা করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে যদি আমরা হাদিস পড়ি তাহলে দেখব যে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন মুসলমান অথবা নবী-রাসূলগণ সমস্যার সমাধান করার জন্য আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা করেছেন। তাই আল্লাহপাকের কাছে ভরসা করলে কখনোই নিরাশ হবেন না এবং আল্লাহ পাক কখনোই তার বান্দাদেরকে দোয়ার বদৌলতে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। তাই আল্লাহপাকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পাশাপাশি অবশ্যই তাঁর দেখানো সঠিক পথে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারলে জীবন হয়ে উঠবে সুখময়।

Leave a Comment