এসিড বৃষ্টি কাকে বলে? কেন হয়

প্রকৃতি বিরূপ প্রভাব পড়লে এবং প্রকৃতি যতই দূষিত হয়ে থাকে তাহলে এই দূষিত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। এসিড বৃষ্টির সাধারণত রাসায়নিক দ্রব্য প্রকৃতির উপর পড়ে থাকে। আর এই রাসায়নিক দ্রব্য গুলি দৃষ্টি আকারে যদি পড়ে তাহলে প্রকৃতির বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। আর এই ধরনের বৃষ্টিকে সাধারণভাবে এসিড বৃষ্টি বলা হয়ে থাকে। আমরা বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানাবো যে আসলে এসিড বৃষ্টি কি এবং এসিড বৃষ্টি কেন হয় এই সকল বিষয়

সংক্রান্ত নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে সকল কিছুই তুলে ধরব। আপনারা যেহেতু আজকে জানতে এসেছেন যে এসিড বৃষ্টি কি এবং এসিড বৃষ্টি কেন হয় এই সম্পর্কে জানার জন্য। আমরা চেষ্টা করব আপনাদেরকে অবশ্যই এসিড বৃষ্টি সম্পর্কে ভালোভাবে আপনাদেরকে আজকে বুঝিয়ে দেব। তবে হয়তো আপনারা আন্দাজ করতে পেরেছেন যে, প্রকৃতি ব্যাপকভাবে দূষিত হলে, সেই দূষিত পদার্থ গুলি বৃষ্টিরূপে নেমে আসে পৃথিবীতে আর তাকেই এসিড বৃষ্টি বলা হয়।

আপনারা তাই আমাদের এখান থেকে এসিড বৃষ্টি কি সেই সম্পর্কে বুঝাবো। অ্যাসিড বৃষ্টি দুটো কারণেই হতে পারে সে কারণ দুটো হল প্রাকৃতিক কারণ এবং মানব সৃষ্ট কারণ। সালফরিক এসিড পড়ায় প্রতিটি শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য নৃত্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক এর মধ্যে এই রাসায়নিক টি অন্যতম বলেই মনে করা হয়। আর এই সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়।

যার ফলে সালফার ট্রাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। আমার যানবাহন থেকে নাইট্রোজেন ড্রাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। এছাড়া আবার দেখা যায় যে আমাদের জনগণ বিভিন্ন কারণেই জ্বালানি পুড়িয়ে থাকে তাতেও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। আর এসবের কারণেই এসিড বৃষ্টি হতে পারে প্রকৃতিতে। আবার প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে হলো-বজ্রপাতের ফলে উচ্চ তাপমাত্রায় বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

আবার অগ্নিগিরির আগ্নেয়তের ফলের খনিস্থ সালফার পুড়ে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস বায়ুমন্ডলে মুক্ত হয়ে যায়। এর ফলে এসিড বৃষ্টি হতে পারে।
২. প্রাকৃতিক কারণ- প্রাকৃতিক কারণের মধ্যে বজ্রপাত অন্যতম। বজ্রপাতের ফলে উচ্চ তাপমাত্রায় বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। অগ্নিগিরির অগ্নুৎ্পাতের ফলে খনিস্থ সালফার পুড়ে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস (SO2) বায়ুমণ্ডলে মুক্ত হয়। এছাড়া গ্রীষ্মের শুষ্কতার জন্য দাবানলের কারণে বনাঞ্চলে অগ্নুৎ্পাতের কারণে বিপুল পরিমাণে কার্বনডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডলে চলে আসে।

এইসব গ্যাস বায়ুমন্ডলে বিরাজ করতে থাকে। এইবার যে অঞ্চলের বায়ুস্তরে এই সব গ্যাসের আধিক্য বেশি সেই এলাকায় মেঘ থেকে বৃষ্টির পানি নেমে আসার সময় বায়ুস্তর ভেদ করে নেমে আসে। তখন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এই সব গ্যাসের সাথে বৃষ্টির পানি মিশে তৈরি করে লঘু এসিড এবং তা নেমে আসে পৃথিবীতে বৃষ্টির মাধ্যমে। এসিড বৃষ্টি আসলে কাকে বলে সেই বিষয়টি এখন আপনাদেরকে আগে ক্লিয়ার করে নেওয়া যাক। এসিড বৃষ্টি বা অম্ল বৃষ্টি হলো এক ধরনের বৃষ্টিপাত অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে পানি অম্লীয় প্রকৃতির হয় অর্থাৎ এসিড এর মত হয়।

এই বৃষ্টি এমন একটি বৃষ্টি যাতে সেই বৃষ্টির পানির মধ্যে এসিডের উপস্থিতি থাকে। তাই এই ধরনের অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে দেখা যায় যে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ এসিড বৃষ্টির কারণে আপনার এলাকার সব ধরনের উদ্ভিদের পাতা মরে যায় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ফসলের বিফল ক্ষতি হয় অর্থাৎ সকল ফসল করে মরে যেতে পারে অ্যাসিড বৃষ্টির কারণে।

তাই আপনারা দেখলেন আসলে দুই কারণেই হতে পারে একটি হল পরিবেশ তথা বায়ু দূষিত হওয়ার কারণে এসিড বৃষ্টি হতে পারে। আরেকটি হলো প্রাকৃতিক কারণ যার ফলে ও অ্যাসিড পোস্ট হয় তা আপনার অবশ্যই আপনাদের জন্য ব্যাখ্যা করেছি। এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিসা করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।

Leave a Comment