প্রিয় ভিউয়ার্স আপনারা যারা দেশ এবং দেশের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাদের জন্যই আজকে আরও একটি নতুন জেলার শহরের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে চলে এসেছি। আজকে আমরা কুমিল্লা জেলা শহর সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। শিক্ষা বোর্ড হিসাবে কুমিল্লা বোর্ডের পারফরমেন্স কিন্তু অনেক ভালো, এজন্য কুমিল্লা শহর কিন্তু এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
১৭ টি উপজেলা বিশিষ্ট কুমিল্লা জেলা হলো একটি বিভাগীয় শহর।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। এগুলো জেলাভিত্তিক নামকরণের মাধ্যমে পরিচিত। কুমিল্লা জেলা হলো বাংলাদেশের অন্তর্গত নয়টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে অন্যতম একটি। 17 টি উপজেলা বিশিষ্ট কুমিল্লা জেলায় সবচাইতে বড় উপজেলাটির নাম হল মুরাদনগর উপজেলা। এবং সবচাইতে ছোট উপজেলাটির নাম হল মেঘনা উপজেলা। এই সকল তথ্যসহ কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার অনুরোধ রইলো।
মুরাদনগর উপজেলার আয়তন ৩৪০.৭৩ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা।মেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।কুমিল্লা জেলা ২৭ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৭টি উপজেলা, ১৮টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ১৯২টি ইউনিয়ন, ৩,৬৮৭টি গ্রাম ও ১১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
এবার আমরা কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে আরো তথ্য জানবো। আমরা যারা কুমিল্লা জেলার বাইরে বসবাস করি তারা এই তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেব। কুমিল্লা জেলায় দেখার মত অনেক জায়গা রয়েছে। দেশের বাইরে থেকেও অনেক পর্যটন কুমিল্লা জেলায় আসে নিজেদের ছুটি কাটানোর জন্য। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কুমিল্লা কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। রাজশাহী এবং ঢাকা শহরের মতো বিভাগের শহর হিসেবে কুমিল্লা কিন্তু বেশ জনপ্রিয়।
কর্মসংস্থানের জন্য কুমিল্লা এখন অনেক বিখ্যাত। প্রতিবছর গড় অনুপাতে কুমিল্লা বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের পারফরম্যান্স কিন্তু অনেক ভালো। কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন যুবক-যুবতী কর্মক্ষেত্রে কুমিল্লাতে বসবাস করছে। বিশালাকারের শহর গড়ে উঠেছে কুমিল্লাতে। ছোট ছোট গ্রামগুলোতে অনেক উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়। কুমিল্লা অন্তর্গত প্রত্যেকটি থানায় যথেষ্ট অগ্রগতি লক্ষণীয়।
মুরাদনগর শহরের অনেক পর্যটনকারীদের দেখা যায়। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত শহর গুলোর মধ্যে এটি কিন্তু অন্যতম। কুমিল্লা জেলার সবচাইতে বড় উপজেলা হলো মুরাদনগর।মুরাদনগর উপজেলার আয়তন ৩৪০.৭৩ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। কুমিল্লা জেলা সদর থেকে সড়ক পথে ৩৫.৪২ কিলোমিটার দূরে গোমতী নদীর তীরে মুরাদনগর উপজেলা অবস্থিত।
মেঘনা নদী কিন্তু কুমিল্লার সবচেয়ে বড় একটি ঐতিহ্য। মেঘনা নদীর জন্য কুমিল্লা কিন্তু অনেক বিখ্যাত। প্রতিবছর এই মেঘনা নদীতে দর্শন মিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন পর্যটনকারীদের।
কুমিল্লা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো হল: মেঘনা নদী, গোমতী নদী, তিতাস নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাঁকড়ি নদী, ছোট ফেনী নদী, আড়চি নদী, ঘুংঘুর নদী এবং সালদা নদী।মেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা।
আপনি যদি কুমিল্লা জেলাতে যেতে চান তাহলে এই সকল তথ্য আপনি প্রথমে জেনে নেবেন তারপরে সেখানে যাওয়ার কথা ভাববেন। নিঃসন্দেহে সময় কাটানো এবং ছুটি কাটানোর জন্য কুমিল্লা জেল্লাদের যাওয়া খুবই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। আপনারা যদি কেউ পর্যটন স্থান হিসেবে কুমিল্লাতে যেতে চান তাহলে খুবই ভালো হবে। আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যারা কুমিল্লা শহর চেনেনা তারা কুমিল্লার সহ সম্পর্কে অনেক ধরনের তথ্য জেনে নিতে পারবে।
যারা কুমিল্লা শহরে ঘুরতে আসতে চায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য। সবাই জানতে চায় যে কুমিল্লাতে কি কি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এবার আমরা জানবো কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় জায়গার নাম।
কুমিল্লার দর্শনীয় ৫ স্থান
১. শালবন বৌদ্ধ বিহার: কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি শালবন বৌদ্ধ বিহার।
২. ওয়ার সিমেট্রি।
৩. বার্ড বা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী।
৪. ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক।
৫. ধর্ম সাগর।
এছাড়া বিখ্যাত মেঘনা নদী তো রয়েছেই।