মেয়েদের উচ্চতা কত হলে ভালো

শারীরিক সুস্থতা আল্লাহতালার পক্ষ থেকে বড় একটি নিয়ামত। শারীরিক সুস্থতা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পেছনে অনেক কিছুই দেখতে হয়। সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই সঠিক বয়সের সঙ্গে সঠিক উচ্চতা এবং ওজন সঠিক হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এবং আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সব সময় নজরে রাখতে হবে। বাড়িতে যে ছোট সন্তান বেড়ে উঠছে তার শারীরিক উচ্চতা সঠিক আছে কিনা সেটা জানাটা অত্যন্ত জরুরি বাবা-মায়ের জন্য।

আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব মেয়েদের উচ্চতা কেমন হলে সব থেকে ভালো হয়। তবে উচ্চতার ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ বিভিন্ন মহাদেশের মানুষের শারীরিক গঠন বিভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের উচ্চতার পার্থক্য অবশ্যই আছে। তাই অবশ্যই জেনে বুঝে আপনাকে সব কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনেকেই আছে অন্যান্য উপমহাদেশের উচ্চতার পরিমাপটা দেখার পরে হতাশ হন কিন্তু নিজের উপমহাদেশে আদর্শ উচ্চতার মান কত সেটা আমরা না দেখেই হতাশ হই।

বাংলাদেশের আদর্শ উচ্চতার দিকে লক্ষ্য রাখলে গড় একটি মেয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ পাঁচ ফিট হলে সেটা অনেক ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের উচ্চতা ৫ ফিটের নিচে থাকতে পারে অথবা পাঁচ ফুটের উপরে থাকতে পারে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারটাও। অনেক লম্বা কিন্তু শারীরিক দিক দিয়ে অনেক রোগা পাতলা তাদের অবশ্যই সব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়

শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায় 25 বছর পর্যন্ত কিন্তু উচ্চতার সম্পর্কে যদি আমরা খেয়াল করি সে ক্ষেত্রে আমরা জানতে পেরেছি ১৮ বছর পর্যন্ত তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ১৮ বছরের পরে আর উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। কোন অস্বাভাবিক কারণ বা কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণের কারণে হয়তো উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য শিশু অবস্থা থেকে তাদের উপরে পুষ্টি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এর যোগান দিতে হবে। বাচ্চারা যখন জন্মগ্রহণ করে তখন অবশ্যই তাদের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের প্রয়োজন হয়।

বাবা-মা যদি সন্তানকে সুস্থ রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভিটামিন ও প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে পারলে সেই সন্তান খুব দ্রুত বড় হয় এবং সেই সন্তান অনেক শক্তিশালী হয়। তবে লম্বা হওয়ার পেছনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে বাবা-মায়ের শারীরিক গঠন। বেশিরভাগ সময় মায়ের শারীরিক গঠন মেয়ে সেক্ষেত্রে মায়ের উচ্চতা যেমন হয় তার মেয়ের উচ্চতাও প্রায় একই হয় বা তার থেকে কিছুটা কম অথবা তার থেকে কিছুটা বেশি হয়।

কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এবং পর্যটক পরিমানে ভিটামিন কে খাওয়াতে পারা যায় তাহলে অবশ্যই সে তার মায়ের থেকে বেশি লম্বা হবে এটা স্বাভাবিক । তাই সন্তান বাড়তি বয়সে যখন যাবে তখন সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা তার যেটা খেতে পছন্দ করছে তাকে সে খাবারগুলো দেওয়া এবং সেই খাবারের সঙ্গে যেন প্রোটিন এবং ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেগুলো লক্ষ্য রাখা একজন বাবা মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

শারীরিক বিকাশ অনেকটাই নির্ভর করে মানসিক বিকাশের ওপর তাই সন্তান যাতে মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকে এবং সন্তান যেন খেলাধুলায় নিয়মিত ব্যস্ত থাকে সেই দিকটা অবশ্যই নজর রাখতে হবে বাবা-মায়ের। সচেতন অভিভাবক হিসাবে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনারা জানা উচিত এবং এই বিষয়ে আরো বেশি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন যেখানে সচেতন অভিভাবকের কি কি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে সেই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত পয়েন্ট আকারে আলোচনা করেছি। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নতুন অভিভাবক হিসেবে। পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই সেটা হচ্ছে পরিস্থিতি অনেক কিছুই পরিবর্তন করে সে ক্ষেত্রে আপনার পরিস্থিতি কি হতে পারে সেটা আমরা বলতে না পারলেও আমরা আপনাদের প্রাথমিক কিছু ধারণা দিতে পারব কিন্তু পরিস্থিতিতে লড়াই আপনাকে নিজেই করতে হবে।

 

 

Leave a Comment