কোন কোম্পানির গুড়া দুধ ভালো

অনেকের ধারণা থাকে যে গুড়া দুধের মধ্যে হয়তো সকল পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকে না। অনেকে গুড়া দুধ পছন্দ করে না। কিন্তু তরল দুধের থেকে গুড়া দুধের পুষ্টি উপাদান কোন অংশে কম নেই। সাধারণ দুধের মধ্যে যেগুলো কুষ্ঠু উপাদান রয়েছে মিল্ক পাউডারের মধ্যে সেগুলো পুষ্টি উপাদান উপস্থিত। বিখ্যাত সব কোম্পানির রয়েছে যেগুলো থেকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মিল্ক পাউডার বাজারজাতকরণ করা হয়। তাই বড় বড় নামকরা সকল কোম্পানির মিল্ক পাউডার প্রতিদিন সেবন করুন আপনার শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এই মিল্ক পাউডার খুবই উপযোগী।

সারাদেশে দুধের চাহিদা মেটাতে গুড়া দুধ অর্থাৎ মিল্ক পাউডার গুলো খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য সরাসরি গরু থেকে প্রাপ্ত দুধ বিভিন্ন প্রিজারভেটিভ এর মাধ্যমে গুড়া দুধে রূপান্তরিত করা হয়। তরল দুধে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে মিল্ক পাউডারেও কিন্তু সেই সকল পুষ্টি উপাদান উপস্থিত।

দুধকে সম্পূর্ণ খাবার বলা হয়। কারণ দুধে সব ধরনের পুষ্টিগুণ উপস্থিত। যেকোনো বয়সের জন্যই দুধ খুবই উপযোগী একটি খাবার। শিশুকাল থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত মানুষ প্রতিদিন যদি এক গ্লাস করে দুধ খায় তাহলে শরীরে পুষ্টিহীনতা দেখা দেবে না। এখন বাজারে বড় বড় কোম্পানিতে গুড়া দুধ তৈরি করা হয়। যেগুলোর পুষ্টি গুণ কোন অংশেই তরল দুধের থেকে কম নয়। এখন বর্তমানে বাজারে যে সকল তরল দুধ পাওয়া যায়, অর্থাৎ বাজারে যেগুলো গরুর দুধ কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো দুধের মধ্যে ভেজাল মেশানো থাকে। দুধের মধ্যে পানি মিশিয়ে বিক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হয়। এজন্য যারা শহর অঞ্চলে বাস করে তারা কিন্তু নিশ্চিন্তে গুঁড়া দুধ পান করতে পারে।

ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার দিয়ে এক গ্লাস দুধ দিয়ে শুরু করা যায় প্রতিটি মহান দিন। এটি বিশ্বের সেরা দুগ্ধ থেকে পাওয়া যায় এবং আপনার নিখুঁত এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য প্রতিটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে পরিপূর্ণ! আপনার ডায়েটে এক গ্লাস ফুল ক্রিম মিল্ক অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আজ থেকে আপনার মোট শক্তির পরিমাণ বাড়ান! ভিটালাক মিল্ক হল একটি প্রিমিয়াম মানের দুধ, আপনার পুরো পরিবারের জন্য পুষ্টিকর এবং এটি তৈ রি করা খুব সহজ – মাত্র 30 সেকেন্ডের তাত্ক্ষণিক মিশ্রণে। এটি আপনাকে প্রতিটি খাওয়ার চক্রের জন্য সেরা স্বাদ এবং সবচেয়ে পুষ্টিকর পছন্দের প্রতিশ্রুতি দেয়।

ভিটালাক মিল্কের সমৃদ্ধ ক্রিমি স্বাদ রান্না, বেকিং, দই এবং বিভিন্ন ধরণের ডেজার্ট তৈরির জন্য দুর্দান্ত। অনেকে মনে করেন যে মিল্ক পাউডার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট তৈরি করা যাবে না। কিন্তু আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন মিল্ক পাউডার দিয়েও একদম দুধের মত সকল মিষ্টান্ন যাতে ও খাবার তৈরি করা হয়। কারণ সরাসরি গরু থেকে প্রাপ্ত দুধগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এজন্য সেই দুধগুলো সংরক্ষণ করার জন্য মিল্ক পাউডার রূপান্তরিত করা হয়। সারা দেশের মানুষের দুধের চাহিদা মেটাতে গুড়া দুধ যথেষ্ট অবদান রাখছে। অনেকে প্রশ্ন করে যে কোন কোম্পানির মিল্ক পাউডার সব থেকে ভালো।বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর মিল্ক পাউডার সত্যি ই প্রশংসনীয়।

দুধে উপস্থিত পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান গুড়া দুধে উপস্থিত। গুড়া দুধের কিছু উপকারিতা এবার আমরা জেনে নেব।
১. ক্যালসিয়াম: স্বাস্থ্যকর হাড় এবং দাঁত তৈরি করে।
২. হাড়ের ভর বজায় রাখে প্রোটিন: শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
৩. পেশী টিস্যু তৈরি/মেরামত করে পটাসিয়াম: সুস্থ রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. ফসফরাস: হাড় মজবুত করতে এবং শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
৫. ভিটামিন ডি: হাড় ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন বি 12: স্বাস্থ্যকর লাল রক্ত ​​​​কোষ এবং স্নায়ু টিস্যু বজায় রাখে।
৭. ভিটামিন এ: ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখে; স্বাভাবিক দৃষ্টি এবং ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে আমরা দুধ পান করবো। এছাড়াও গুড়া দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই আমরা নিয়মিত দুধ পান করবো। মিল্ক পাউডার পান করলেও যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।

Leave a Comment