আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। স্টাইল এবং ফ্যাশন সম্পর্কিত আজকের এই শেরওয়ানি কালেকশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে আমাদের এই আর্টিকেল।এখানে আপনি পেয়ে যাবেন আধুনিক এবং উন্নত মানের সেরবানি পাঞ্জাবি এর ডিজাইন পিকচার গুলি। এখানে শুধু পিকচার নয় এখানে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাবী এর পিকচারের সাথে সাথে পাঞ্জাবি অনলাইন শপিং করার সুযোগ। এখানে রয়েছে আপনার পছন্দের আধুনিক কালেকশন। তাহলে চলুন শেরওয়ানি এবং পাঞ্জাবির ডিজাইন পিকচার গুলো ক্যাটালগ হিসেবে আমরা এবার দেখে নেব।
আশা করছি ওপরের পিকচার গুলোর মধ্যে থেকে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত পছন্দের ডিজাইন পিকচারটি পেয়ে গেছেন। এখন বর্তমানে অনলাইন শপিংয়ের যুগ। কিন্তু অনলাইন শপিং কিন্তু শুধু ১০ পারসেন্ট মানুষজন করে। কারণ অধিকাংশ অনলাইন পেজ প্রতারক। তারা ছবিতে ভালো কোয়ালিটির কাপড় দেখায় এবং পার্সেল হিসেবে খুবই নিম্নমানের কাপড় দিয়ে থাকে। এজন্য অধিকাংশ মানুষ অনলাইন শপিংয়ে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু আমরা যখন কোন কিছু কেনাকাটা করতে চাই তখন সব সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের মডেল এবং আধুনিক জিনিসগুলোই খুঁজে থাকে।
এখনকার মানুষের সবচাইতে পছন্দের জিনিস হলো আউটফিট অর্থাৎ ড্রেস। অন্য এক্সেসরিজ এর প্রতি বেশি ইন্টারেস্ট না থাকলেও মানুষ পোষাক-আশাককে কিন্তু অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই প্রশ্ন যখন পোশাক আশাক কেনার তখন মানুষ একটু বাছাই করে কিনবে এটাই তো স্বাভাবিক।এখন যেহেতু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা যে কোন কিছুই সম্পর্কে ইনফরমেশন নিতে পারি। তাই নিজের মোবাইল ফোনটা ব্যবহার করে আপনি আধুনিক এবং আপডেট কালেকশনের পিকচার গুলো ফোন থেকে দেখে নিতে পারবেন এবং আপনার পছন্দের সেরবানি পিকচারের মত, একটা কপি কিন্তু মার্কেট থেকে ক্রয় করে নিতে পারবেন। অনেক সময় মার্কেট বা শপিংমলে আমাদের ড্রেস পছন্দ হয় না তখন আমরা অনলাইনে বহু কালেকশনের মধ্যে থেকে খুব সহজে একটা পছন্দ করতে পারি।
তাই অধিকাংশ মানুষ অনলাইনে এইসব ডিজাইন পিকচার দেখতে চাই আধুনিক মডেলের। তাদের জন্যই মূলত আমরা আপডেট কালেকশনগুলোর পিকচার তুলে ধরার চেষ্টা করি।বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর পাঞ্জাবি শেরওয়ানি এর কালেকশন রয়েছে। বাংলাদেশ অন্য দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও পোশাক শিল্পতে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টসগুলোতে উন্নত এবং আধুনিক মানের তৈরি পোশাক বিশ্বের সর্বস্তরের প্রশংসা পেয়েছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দ্বারা প্রতিবছর বাংলাদেশ বহু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
এখন মুসলিমদের মধ্যে সেরবানী পড়ার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুদের তুলনায় বাংলাদেশী মুসলমানরা বেশি শেরওয়ানি পরিধান করে থাকে। যেমন ঈদের অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান এবং যেকোনো ধরনের কালচারাল প্রোগ্রামে এখন সেরবানি পড়তে দেখা যায় ছেলেদের।বাংলাদেশে বিবাহ এবং ঈদের মত প্রথাগত অনুষ্ঠান শেরওয়ানি পরিধান করা হয়।
শেরওয়ানি মূলত ভারতীয় একটি পোশাক। ভারতীয় বিয়েতে শেরওয়ানি পড়া হয়। ভারতে, বিশেষত রাজস্থান এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালে প্রথাগত অনুষ্ঠানের জন্য আচকান শেরওয়ানি পরিধান করা হয়। শেরওয়ানি সাধারণত হিন্দুদের সাথে জড়িত এবং সাধারণ শেরওয়ানি ঐতিহাসিকভাবে মুসলমানদের পছন্দের। দুটি পোশাকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে, যদিও শেরওয়ানিগুলি সাধারণত কোমরের দিকে বেশি প্রসারিত হয় এবং আচকানগুলো সরল শেরওয়ানির চেয়ে লম্বা হয়। আচকান পরে নেহেরু জ্যাকেটে বিবর্তিত হয় যা ভারতে জনপ্রিয়। ভারতে, আচকান বা শেরওয়ানি সাধারণত চুড়িদারের সাথে পরিহিত হয়।
পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানি একই রকম দেখতে হয় কিন্তু পাঞ্জাবি এবং শেরওয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য রয়েছে। আমরা অনেকেই জানি না যে কোনটা পাঞ্জাবি কোনটা শেরওয়ানি।শেরওয়ানি এবং পাঞ্জাবির মধ্যে অনেকেই আমরা পার্থক্য খুঁজে পাই না।কিন্তু শেরওয়ানি এবং পাঞ্জাবি কোনটা সেগুলো আপনারা উপরের পিকচার গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।পাঞ্জাবি যেকোনো কালার এবং যেকোন স্টাইলের হয়ে থাকে। পাঞ্জাবি মূলত আরামদায়ক এবং পাতলা একটি পোশাক। পাঞ্জাবিতে খুব বেশি ডিজাইন করা থাকে না কারণ এটা খুবই একটি মার্জিত এবং ইসলাম ধর্মীয় একটি পোশাক।
কিন্তু শেরওয়ানি এর ক্যাটাগরি পাঞ্জাবি মত হলেও এটাতে অনেক ডিজাইন করা থাকে। বিভিন্ন ফাংশনের জন্য এটা করা হয়।