গর্ভ নষ্ট করার ঔষধ

কোন মায়ের গর্ভে যদি সন্তান চলে আসে অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে যদি কোন মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় তাহলে অনেকেই হয়তো এই প্রেগনেন্সি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে থাকেন। দুঃখজনক হলেও বর্তমান সমাজের যা অবস্থা তাতে করে এমন অহরহ ঘটনা ঘটে থাকছে। যেহেতু google এর মাধ্যমে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা যায় সেহেতু আপনারা হয়তো এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন। তাই এ বিষয়ে আমরা আপনাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে চাই।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বাইরে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে আপনি যখন কোন মেয়েকে গর্ভবতী করে দেবেন অথবা কোন মেয়ে যদি গর্ভে সন্তান ধারণ করে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে এটা সামাজিকভাবে নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয় হয়ে থাকার কারণে সমাজের মানুষের কাছে মুখ দেখানোটা বিপদজনক হয়ে ওঠে। তাই হয়তো মনে করে থাকেন এমন কোন ঔষধ রয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনারা গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করে ফেলবেন।

কিন্তু গর্ভে থাকা সন্তান যদি আপনারা নষ্ট করতে চান অথবা সেটা যদি আর রাখতে না চান তাহলে এই ক্ষেত্রে ওষুধ সেবন করার কোন বিষয় নেই। অর্থাৎ এটা বুঝতে বুঝতেই যদি একটা নারী দুই তিন মাস পার করে ফেলে এবং যদি তার পিরিয়ডের বিষয়গুলো থেমে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সে প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছে। সে অবস্থায় সেই নারীকে অবশ্যই সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী এবরশন করাতে হবে। আর এবরশন করাতে গেলে একটা নারীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে চাপ পড়ে যে কারণে পরবর্তীতে তার বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

তাই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে না জড়িয়ে আপনারা যদি বিয়ে করার পরেও এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন অথবা পরিবারে যদি আর সন্তান না চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে নিরাপদ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে যেটার মাধ্যমে পুরুষের সিমেন এর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। আর যদি কোন কারণে গর্ভে সন্তান চলে আসে তাহলে সেটা নষ্ট করে মায়েদের শরীরের শারীরিক ক্ষতি না করে সেই সন্তানকে লালন-পালন করার অথবা পৃথিবীতে আসার সুযোগ প্রদান করুন।

গর্ভ নষ্ট হওয়ার কার্যকরী উপায়

যদি কোন কারনে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে তাহলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর অবশ্যই সেই বিষয় এর গুনাগুন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। তাছাড়া বিবাহিত হয়ে থাকলে অবশ্যই নিরাপদ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ গর্ভে যদি সন্তান চলে আসে তাহলে সেটা নষ্ট করলে সেই মায়ের উপরে প্রচুর পরিমাণে চাপ পড়ে যে কারণে পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। আর যদি কোনভাবেই সেই সন্তান রাখা সম্ভব না হয় তাহলে এবরশন করানোর মাধ্যমে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

গর্ভ নষ্ট না হওয়ার আমল

আপনারা যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন এবং গর্ভের সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে এই পৃথিবীর বুকে আলো দেখাতে চান তাহলে অবশ্যই ঠিকঠাক মত শারীরিক যত্ন নিতে হবে। সেই সাথে গর্ব নষ্ট না হওয়ার আমল সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে প্রতিনিয়ত ইস্তিগফার পাঠ করুন এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করুন। এর মাধ্যমে আপনার ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে এবং সেই সাথে আপনি অতীত জীবনে সকল পাপ করেছেন সেগুলো আস্তে আস্তে ক্ষমা পেতে থাকবেন। সেই সাথে মহান আল্লাহপাকের কাছে গর্ভের সন্তান যেন সুষ্ঠুভাবে ভুমিষ্ট হয় তার জন্য মন খুলে দোয়া করতে হবে।

গর্ভ নষ্ট হওয়ার লক্ষণ

গর্ভের সন্তান যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই সন্তানের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদি নারীদের নিচের অংশ থেকে ফ্লুইড ডিসচার্জ হয় অথবা টিস্যু নির্গত হয় তাহলে গর্ভ নষ্ট হওয়ার লক্ষণ হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা হয়। আবার তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি রক্ত আসতে পারে এবং এক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দেখিয়ে বুঝতে পারবেন গর্ভ নষ্ট হয়েছে কিনা। তাই এ সকল বিষয়ে ইন্টারনেটের সহায়তা গ্রহণ না করে আপনারা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

Leave a Comment