ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে আল কোরআন পরিচিত। এটা এমন এক ধরনের ধর্মগ্রন্থ যেখান থেকে আপনারা পৃথিবীর সকল ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল কোরআন নাজিল করা হয়েছে। তাই আমাদের সর্ব উৎকৃষ্ট গ্রন্থ হিসেবে অবশ্যই এটা পাঠ করতে হবে। তাই সব সময় পবিত্র আল-কোরআন আমল করার অথবা তেলাওয়াত করার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন জায়গাতে জানানো হয়ে থাকে। পবিত্র আল কোরআন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এখানে আপনাদের জন্য বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ পিডিএফ ফাইল প্রদান করা হলো।
মহাপবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন ফেরেশতা জিব্রাইলের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে মৌখিকভাবে অবতীর্ণ হতে থাকে। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সম্পূর্ণ কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই সময়কাল ছিল 609 থেকে 632 হিজরী সন পর্যন্ত। এটা সৃষ্টিকর্তার থেকে এক ধরনের ঐশ্বরিক বার্তা এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ আয়াত যেটার মাধ্যমে আমরা যুগে যুগে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছি।
আমরা যদি ইসলামিক ইতিহাস জানতে চাই তাহলে দেখব যে দীর্ঘ 23 বছর ধরে খন্ড খন্ড হিসাবে এই পবিত্র আল কোরআন নবী মোহাম্মদের নিকট অবতীর্ণ হয়েছে এবং তিনি সেটা সংরক্ষণ করেছেন। এখানে ১১৪ টি সূরা রয়েছে এবং এই ১১৪ টি সুরাই একজন মুসলিমের জীবনে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আমরা যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে বলব যে এখানে আয়াত রয়েছে ৬২৩৬ টি। তবে মতান্তরে এটা অনেক সময় ৬ হাজার ৬৬০৬ টি হয়ে থাকে।
পবিত্র কুরআন শরীফ আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ হয়ে থাকলেও আমরা যারা বাংলা ভাষাভাষী আছি তারা হয়তো অনেক সময় আরবি পড়তে না পারার কারণে অথবা আরবি পড়ার চর্চা না থাকার কারণে বাংলাতে এটার তথ্য জানতে চাই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখানে বাংলা অর্থসহ পবিত্র আল কোরআন প্রদান করা হলো যাতে করে আরবি পড়ার পাশাপাশি বাংলাতেও পড়তে পারেন। সেই সাথে প্রত্যেকটি আয়াতের অর্থ কি প্রকাশ করা হয়েছে সেটা আপনারা জেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে একই পিডিএফ ফাইল ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলা অর্থসহ যখন আপনাদের পূর্ণাঙ্গ আল কুরআন পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হবে তখন সেটা ডাউনলোড করে নিয়ে রাখতে পারলে চলতে ফিরতে অথবা ভ্রমণরত অবস্থায় তেলাওয়াত করতে পারবেন। তাছাড়া আল কুরআন যদি পাঠ করেন তাহলে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে যেমন জানতে পারবেন তেমনি ভাবে ইসলামী মৌলিক বিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। পূর্বের নবীগঞ্জের যে সকল বিবরণ এখানে উঠে এসেছে অথবা নৈতিক ও আইনগত বিষয়ে যে সকল আলোচনা হয়েছে তা যদি আমরা বিস্তারিত ভাবে জানতে চাই তাহলে হয়তো হাদিসের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কুরআনের মধ্য দিয়ে একেশ্বরবাদ এর ঘোষণা প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে যারা দ্বিমত পোষণ করে অথবা পবিত্র আল কোরআনকে যারা গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করেনা এবং ভুল ধরার চেষ্টা করে তারাই পরবর্তীতে এসে এই গ্রন্থ পড়ার মধ্য দিয়ে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করতে পেরেছেন। তাছাড়া বিজ্ঞানী দিক থেকে পবিত্র আল কুরআনের যদি বিচার ও বিবেচনা করতে চান তাহলে সেখানেও অনেক মিল পাবেন যা আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তাই মুসলমান ধর্মের একটি অন্যতম ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে আপনারা পবিত্র আল কোরআন পাঠ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারবেন। মহান আল্লাহ পাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার পাশাপাশি যে সকল সূরা সেখানে রয়েছে সেগুলো পাঠ করার মধ্য দিয়ে আপনারা অর্থ জেনে নিতে পারলে আপনাদের ভেতরে অনেক পরিবর্তন চলে আসবে। তাই জীবনকে ইসলামিক পথে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পবিত্র আল কোরআন আমল করা শিখে নিন এবং নিয়মিতভাবে সেগুলো আমল করার মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করুন।