আপনি কি আলহামদুলিল্লাহ লেখা পিকচার বা ছবি সংগ্রহ করার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন? তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে আলহামদুলিল্লাহ লেখা পিকচার প্রদান করলাম যেটা দেখে নিয়ে আপনারা মানসিক দিক থেকে তৃপ্তি পাবেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমরা যদি আল্লাহ পাকের প্রশংসা করি এবং সকল পরিস্থিতি থেকে যদি আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আমাদের প্রতি রাজি খুশি হবেন। তাই আপনার ভেতরে হাজার অভিযোগ অথবা হাজার মনে কষ্ট থেকে থাকলেও একবার যদি হাসি মুখে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারেন তাহলে দেখবেন যে মনের ভেতরে এক অন্য ধরনের প্রশান্তি অনুভব করছেন।
এই পৃথিবীর বুকে মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ামত দিয়ে আমাদেরকে পরিপূর্ণ করেছেন। কিন্তু এই পৃথিবীতে আমরা পরীক্ষার ক্ষেত্রে হিসেবে না নিয়ে অনেকেই আরাম-আয়েশের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকে এবং অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের পাপের সঙ্গে নিজেদের জীবনকে জর্জরিত করে ফেলি। কিন্তু আমরা যদি এটা উপলব্ধি করতে পারি যে আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই পৃথিবীতে ইবাদত করার জন্য পাঠিয়েছেন এবং আমাদেরকে তাঁর দেখানো নির্দেশিত পথে চলতে বলেছেন তখন আমরা অবশ্যই এ বিষয়গুলো বুঝতে পারব
কিন্তু আমরা দুনিয়ার মোহে এতটাই মত্ত হয়ে উঠে যে আমাদের কাছে সেগুলো মনে থাকে না এবং অনেকেই আছেন যারা ফরজ কাজগুলো থেকেও নিজেদেরকে বিরত করে রেখে দেন। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারি এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক শান্তি অর্জন করতে চাই তাহলে আল্লাহ পাকের দেখানো নির্দেশিত পথে চলার কোন বিকল্প নেই। চোখের ও ত্বকের সুস্থতার জন্য যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ওজুর পানি যথেষ্ট অথবা হার্ট ভালো থাকার জন্য যেমন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা যথেষ্ট তেমনি ভাবে মনের ভেতরের যাবতীয় দুশ্চিন্তা দূরে সরিয়ে দিয়ে শান্তি আনার জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলাটাই যথেষ্ট।
যেখানে আল্লাহ পাক প্রতিনিয়ত তাঁকে স্মরণ করার কথা বলেছেন সেখানে আমরা বিপদে ছাড়া তাকে স্মরণ করি না অথবা অনেকে আছেন যারা বিপদেও স্মরণ করতে চাই না। কিন্তু কোন বান্দা যদি তার দুনিয়ার জীবনের হালাল চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য হাত তুলে কান্নাকাটি করে অথবা মন থেকে চায় তাহলে আল্লাহ পাক তাকে কখনোই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। তাছাড়া আমাদের ভেতরে বর্তমান সময়ে যেসকল অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলে এসেছে অথবা যে সকল বিষয়গুলো নিষিদ্ধ থাকার পরও আমাদের জীবনে সিদ্ধ বলে গ্রহণ করেছি সে সকল বিষয়ে আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
যেহেতু এই দুনিয়া একটা পরীক্ষা কেন্দ্র এবং এই দুনিয়াতে আমরা আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দেব সেহেতু যদি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারি তাহলে আখিরাতে আমরা জান্নাত লাভ করতে পারব। কিন্তু আমাদের ভেতরে বর্তমান সময়ে আল্লাহ পাকের প্রতি ভয় অথবা তাঁর দেখানো তরিকা অনুযায়ী সঠিক পথে চলার মানসিকতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে রবের পথে এবং আমাদেরকে ফিরে আসতে হবে ওই পথে যে পথগুলো নবী রাসুলগণ অনুসরণ করেছেন।
আমরা যদি এখন থেকে সচেতন না হয়ে অথবা অতীতের ভুল ভ্রান্তি গুলোর জন্য ইস্তেগফার পাঠ করে সংশোধন করার চেষ্টা না করে তাহলে আমাদের এই পাপ সেই ভাবেই থেকে যাবে। আর পাপের শাস্তি কি সেটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। তাই আপনারা এখানে এই তথ্য ভিজিট করার মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলেন বলে মনে করি। যেহেতু আপনাদের
উদ্দেশ্যে আমরা এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম সেহেতু আপনারা অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি থেকেই যেমনই থাকুন না কেন আলহামদুলিল্লাহ জ্ঞাপন করুন। সেই সাথে জীবনে যারা শান্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অথবা যাদের মনের ভেতরে পাথর সমান কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন তারা সকল পরিস্থিতিতে আলহামদুলিল্লাহ বলুন।তাছাড়া অন্যদের ভেতরের মানসিক দুঃখ কষ্ট গুলো দূর করার জন্য আলহামদুলিল্লাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের পিকচার অথবা ছবি আপলোড করলে সকলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে রবের কাছে ফিরে আসতে পারবে।