বাস্তবিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে অথবা ওষুধে গাছ চিনে নিতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সেই গাছের ছবিগুলো দেখে নিতে পারেন। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আমরা আপনাদের সামনে আল-কুশী গাছের ছবি প্রদান করব। যারা আলকুশি গাছের নাম শুনে থেকেছেন এবং এই গাছের ছবি দেখে নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির থেকে সংগ্রহ করতে চান তাদের উদ্দেশে ছবিগুলো প্রদান করা হলো। আপনারা যারা এই গাছ চিনেন না তাদেরকে গাছ চেনানোর ক্ষেত্রে ছবি যেমন প্রদান করা হলো তেমনিভাবে গাছের বর্ণনার মাধ্যমে ওটা জেনে নিতে অনেক সহায়তা মূলক ভূমিকা পালন করবে।
যারা আলকুশি গাছ চিনতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এটা এক ধরনের গুল্ম জাতীয় গাছ। আমাদের সবজি হিসেবে যে সিম ব্যবহার করা হয় সেই সিম প্রজাতির এক ধরনের গাছ। তাছাড়া এই গাছে যে ফল ধরে সেই ফলগুলো দেখতেও সিমের মত হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রত্যেকটা ফলের ভেতরে চার থেকে ছয়টি করে বীজ থাকে। এই গাছের যে বীজ হয়ে থাকে তা লোম দ্বারা আবৃত থাকে এবং লোম দ্বারা আবৃত থাকার কারণে খুব সহজেই প্রত্যেকটি বীজকে আলাদাভাবে রাখা যায়।
এই গাছটি যদি মানুষের সংস্পর্শে আসে অথবা ত্বকের সংস্পর্শে আসে তাহলে প্রচন্ড চুলকানির সৃষ্টি হবে। তাই যথাসম্ভব এই গাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত। তাছাড়া এটা চুলকানির সৃষ্টি করার ফলে অনেকে এটাকে বিলাই চিমটি অথবা বিড়ালের চিমটি নামে চিনে থাকবেন। তাছাড়া এই গাছের সঙ্গে বানরের একটা সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে এখানে তা পড়তে থাকুন। অর্থাৎ কোথাও যদি আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তাহলে সেখান থেকে চুলকানির ভয়ে যে সকল বানররা অবস্থান করে তারা পালিয়ে চলে যায়।
কারণ এই গাছের যে হুল অথবা লোম আকৃতির বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো পাতলা হয়ে থাকার কারণে খুব দ্রুত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বিভিন্ন কারণে এই গাছ অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকলেও এই গাছের বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে যা এখানে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনারা যদি এ গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলব যে কারো যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং সেই কফ কোন ভাবেই সারতে না চাই তাহলে আপনারা এই আলকুশি গাছের মূল ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থাৎ এই গাছের মূল যদি সংগ্রহ করে রোগীকে খাওয়ানো যায় অথবা কোন ভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে অবশ্যই বুকের কফ দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। যদিও এটার ফল থেকে বিজ ছড়িয়ে পড়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি সৃষ্টি হয় তারপরও এটার পাতা অনেক সময় শাক পাতার মতো রেঁধে খাওয়া যায়। তাই কেউ যদি এই গাছের পাতা শাক পাতার মতো বেঁধে খায় তাহলে তার রক্ত পিত্ত থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারবে।
তবে আপনারা যে প্রয়োজনেই হোক অথবা যে কারণেই হোক আলকুশি গাছের ছবি যেহেতু সংগ্রহ করতে এসেছেন সেহেতু সেই ছবিগুলো আমরা এখানে প্রদান করলাম বলে গাছ চিনে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। বিভিন্ন ধরনের গাছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন থাকে এবং সেগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে জানতে পারি তাহলে এই প্রকৃতিতে টিকে থাকা কঠিন কিছু নয়।
আগেকার দিনে যখন ডিসপেন্সারি অথবা ফার্মেসি ছিল না তখন মানুষজন বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে বিভিন্ন গাছের অংশ ব্যবহার করতো। তাই আপনারা যদি এ সকল গুনাগুন জেনে নিতে পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের গাছের ওষুধে গুণাগুণ জেনে নিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করতে চান তাহলে প্রকৃতি থেকে এগুলো আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। এভাবে যদি কোন ঔষধি গাছের গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান অথবা কোন ঔষধি গাছ চেনার জন্য পিকচার সংগ্রহ করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে কি গাছের পিকচার সংগ্রহ করা প্রয়োজন তা লিখে জানান।