বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে হয়। আর এই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এর মধ্যে রয়েছে এক প্রকারের ঔষধ দেয়া হচ্ছে এন্টিবায়োটিক ঔষধ। যেকোনো রোগ যখন সারিয়ে তুলতে তার নিজস্ব গ্রুপের ঔষধ গুলি ব্যর্থ হয় তখন অ্যান্টিবায়োটি ক ঔষধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঔষধ সেবন করতে দিতে হয়। এবং বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে এন্টিবায়োটিক ওষুধ চিকিৎসকেরা দিয়ে থাকেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো দিয়ে থাকে। তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসেছেন যে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম কিসে বিষয়টি জানার জন্য। আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম কি সে বিষয়টি জেনে যাবেন। আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম টি জানিয়ে দেব। কারণ বর্তমান উন্নত জীবনযাপন করার ক্ষেত্রে মানুষ কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে চায় না বা পারেনা।
উন্নত জীবন যখনি বাধাগ্রস্ত হয় শরীরের একটু এমন তেমন হলেই আমরা ঔষধের দিকে ঝুকে পরি। তবে একটা সময় ছিল যখন মানুষ খুব একটা বেশি ঔষধ পছন্দ করত না বা এমন তেমন কিছু হলেও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতো খুব দেরিতে। অর্থাৎ দেখা যেত যে যখন আর কোন উপায় নেই তখন ডাক্তার, বৈদ্য, ডেকে ঔষধ বানিয়ে নিতো। তখনকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল বেশি। তার কারণ হলো সেইসব সময়কার মানুষ নিজেরা কঠোর পরিশ্রম করত এবং
প্রাকৃতিকগতভাবে যে খাবারগুলো তারা পেতো সেই ভালো ভালো খাবার গুলো খেতে পেত। যেমন আগে খালে মিলে নদী নালা প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত সেই মাছ তারা প্রচুর পরিমাণে খেতে পারত এবং নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এগুলো খেতে এবং বাড়িতে গাভী পোস্ত সেই গাভীর দুধ ঘি ছানা দই ইত্যাদি খেতো। আর এসব কারণে দেখা যেত যে তাদের পুষ্টির অনেক অভাব পূরণ হয়েছে এইসব খাবারগুলো থেকে। এবং এসব খাবারগুলো প্রকৃতিগতভাবেই অনেক পুষ্টিকর এই কারণে তাদের পুষ্টির কোন অভাব ছিল না এবং তাদের শরীরে খারাপ কোন নেতিবাচক কোন সাইড ইফেক্ট দেখা যেত না।
কিন্তু বর্তমানে প্রায় সব খাবারগুলোকে কৃত্রিম রং রস স্বাদ মিশিয়ে অন্যরকম করে দেওয়ার কারণে এ সকল খাবার গুলি খাওয়ায় শরীরে অবশ্যই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। আপনারা যারা এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম আমাদের এখানে জানতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এখনই এন্টিবায়োটিক ঔষধ কিভাবে কেন খেতে হয় সে বিষয়টি আপনাদেরকে অবশ্যই জানিয়ে দেবো। তবে তার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে এন্টিবায়োটিক ওষুধ কি।
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ এমন এক ধরণের ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ওষুধ মানুষ বা পশুর দেহে প্রয়োগ করলে এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে বা এর বংশবিস্তার রোধের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করে। তাহলে আপনারা এখানে দেখে নিতে পারলেন যে অ্যান্টিবায়োটিক কি এবং এই ঔষধটি কেন আমাদের সেবন করতে হবে। এখন আপনাদেরকে দেখাবো যে কি নিয়মে এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আমরা খেতে পারি। অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে সাধারণত দিনে তিনবার বা চারবারের বদলে আট বা ছয় ঘণ্টা পরপর ওষুধ খেতে বলা হয়। কোনো একটা ডোজ খেতে ভুলে গেলে পরবর্তী ডোজ কিন্তু বেশি খাওয়া যাবে না।
অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ হওয়ার আগেই শরীর ভালো লাগতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক ডোজ শেষ হওয়ার পূর্বেও যদি আপনার রোগটি সেরে যায় বা শরীরে ভালো লাগবে থাকে তারপরেও আপনি কখনোই এই ওষুধটি ডোজ কমপ্লিট করা ছাড়া বন্ধ করবেন না। তাই আপনারা যখন এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা শুরু করবেন তখন আর ঔষধের ডোজ কমপ্লিট না করে কখনোই তা বাদ দিবেন না। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।