মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছেন। আর এই স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে অনেক লম্বা ইতিহাস রয়েছে। যে ইতিহাস শুনলে এখনো বাঙালির বুক কেঁপে ওঠে। নয় মাসের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মুক্তির স্বাদ। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল। আর এই ত্যাগ স্বীকার কারণেই বাংলাদেশ আজকে স্বাধীন একটি দেশ। আর এর স্বাধীনতার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মুক্তিযোদ্ধারা।
তাই আপনি কি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান বা এই সম্পর্কে আপনারা সঠিক ভাবে জানেন না তাহলে আমাদের আজকের আলোচনাটি আপনাদের জন্য। কারণ আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। আপনারা যারা এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের পুরো আলোচনাটির সঙ্গে থাকুন তাহলে আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও একজন বাঙালি হিসেবে অবশ্যই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে থাকা দরকার।
চলুন তাহলে বেশি দেরি না করে এ সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে রক্তাক্ত একটি ইতিহাস। এই স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশ থেকে শত্রুমুক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে গিয়েছে। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এই লাল সবুজের বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর মানুষের স্বাধীনতা ফিরে আনার জন্য একমাত্র যুদ্ধ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। আর এই যুদ্ধতে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধরা এক অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার অনুচ্ছেদ অনেকেই জানতে আগ্রহী। তবে আপনারা যারা এ বিষয়টি জানতে অনলাইনের এর বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করছেন তারা তাদের মনের মত মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই আমরা এখন আপনাদের জন্য আমাদের এখানে সহজ ও সুন্দর করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ তুলে ধরছি। আপনারা যদি এই মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে পারলে আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিভাবে অর্জন হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। একজন বাঙালি হিসেবে এটা জেনে থাকা দরকার।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে এ দেশের নিরীহ ঘুমন্ত মানুষের উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমণ শুরু করে আর এর যের ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আর এই নেতার ঘোষণাতে উজ্জীবিত হয়ে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র শিক্ষক শিল্পী সাহিত্যিক নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ এবং বিভিন্ন পুলিশ ও আনসার সদস্য বাহিনী সরাসরি মুক্তি যোদ্ধাতে অংশগ্রহণ করে। যে যার অবস্থান থেকে এ দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তৈরি করেছিলেন।
তবে এই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। আর এই মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধে হানাদারদের বিভিন্ন সেক্টরের হত্যা একের পর এক পরাজিত করতে থাকে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে যৌথ বাহিনীর প্রবল আক্রমণে মুখে বিভিন্ন স্থানের পাকিস্তান সেনাবাহিনীরা একের পর এক পরাজিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার সেনাবাহিনী নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার কাছে তারা পরাজিত বরণ করে। আর এর মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ থেকে শত্রু মুক্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে থাকা দরকার। তাহলে দেশের প্রতি ভালোবাসা তাদের বেড়ে যাবে। তবে আমরা আপনাদের জন্য আমাদের এখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ তুলে ধরলাম। আপনারা যারা মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ গুলো জানতে আগ্রহী বা এই বিষয়টি জানতে অনলাইনের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আপনারা আমাদের এখান থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ গুলো দেখে নিতে পারবেন। কারণ আমরা আপনাদের জন্য আমাদের এখানে খুব সহজ ও সুন্দর করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুচ্ছেদ তুলে ধরেছি।