প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন জানার চেষ্টা করে আসছো কিন্তু খুব ভালো কোন মাধ্যম খুঁজে পাচ্ছ না তাদের জন্য আজ আমরা এমন কিছু পরামর্শ নিয়ে এসেছি যা তোমাদের জীবন বদলে দিবে।। বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোথায় তুলে ধরা হবে এবং তোমরা কিভাবে সে পর্যন্ত পৌঁছাবে তা নিয়েই চলবে আজকের আলোচনা। আজ আমরা জীব বিজ্ঞানের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলব যা তোমরা অনেকেই জানতে চেয়েছ। আজ আমরা কথা বলব আত্তীকরণ শক্তি নিয়ে।
কি? কথাটি খুব চেনা চেনা লাগছে তাইনা? হ্যাঁ, চেনা চেনা লাগারই কথা। তোমরা অনেকেই নবম দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বইয়ে আত্তীকরণ শক্তি লেখা টি দেখেছো। জীববিজ্ঞান বইয়ে পড়ে অনেকেই হয়তো এই কথাটির অর্থ বুঝতে পারোনি। এই কথাটি সঠিক অর্থ কি এবং এটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্যই আজ আমরা এসেছি। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা তোমাদের সাথে আত্মীকরণ শক্তি নিয়ে আলোচনা করব এবং এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয়ে তোমরা কিভাবে জানতে পারবে তা তুলে ধরব।
গাছেরও যে প্রাণ আছে এই বিষয়টি নিশ্চয়ই তোমরা জানো। আর গাছে যে প্রাণ আছে এটি সর্বপ্রথম কোন বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন সে বিষয়ে তোমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সর্বপ্রথম গবেষণা করে জানতে পেরেছিলেন যে গাছেরও প্রাণ আছে। গাছের যেহেতু প্রাণ আছে তাই গাছেরও তো বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন হবে, তাই নয় কি? বেঁচে থাকার জন্য গাছের যে খাবারের প্রয়োজন হয় তা সে নিজেই তৈরি করে।
এই বিষয়টি তোমাদের অনেককেই অবাক করতে পারে কারণ গাছ যে খাদ্য তৈরি করে এবং খাবার খায় তা আমরা চোখে দেখতে পাই না। হ্যাঁ, কাজ খাবার তৈরি করে এবং খাবার গ্রহণ করে কিন্তু এই সমস্ত পদ্ধতিটি হয় আমাদের চোখের আড়ালে। গাছ যে খাদ্য তৈরি করে এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সে প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে। গাছের খাদ্য তৈরীর এই প্রক্রিয়াটি সম্বন্ধে বিস্তারিত তোমরা অনেকেই হয়তো জানো এবং এই প্রক্রিয়াটির নামও জানো। গাছ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে।
তোমরা যারা নবম দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছো তাদের কাছে এ বিষয়টি বেশ পরিষ্কার। কিন্তু অনেকের কাছে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে আত্তীকরণ শক্তি নিয়ে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক রকমের কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। এই কাঁচা মালগুলো ব্যবহার করে উদ্ভিদ নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে। তোর সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হওয়া এটিপি ও এন এ ডি পি এইচ ২ কে আত্তীকরণ শক্তি বলা হয়। আশা করি বিষয়টি এখন তোমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
এখানে আমরা খুব সহজ ও পরিষ্কারভাবে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একদম ছোট থেকে ছোট বাচ্চারাও এ বিষয়টি আমাদের আর্টিকেল মাধ্যমে বুঝে নিতে পারবে। এখন তোমরা যদি প্রশ্ন করো এটিপি ও এন এ ডি পি এইচ টু কি তাহলে এ বিষয়টি নিয়ে একটু কথা বলা যাক। এটিপি হল এডিনোসিন ট্রাই ফসফেট যা একটি রাসায়নিক উপাদান। এসব রাসায়নিক উপাদানগুলো উদ্ভিদকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানের এমন গুরুত্বপূর্ণ যে কোন তথ্য ও প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে পেয়ে যাবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য চলে যেতে হবে আমাদের পোস্টের কমেন্ট বক্সে এবং লিখে ফেলতে হবে তোমাদে মনে থাকা প্রশ্নগুলো। বিজ্ঞান ছাড়াও অন্যান্য যে কোন বিষয়ে যদি তোমাদের মনে কোন কনফিউশন থাকে তবে এটা ক্লিয়ার করার জন্য আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারো। আমরা সব সময় তোমাদের যে কোন সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকি। আশা করি আত্তীকরণ শক্তি সম্বন্ধে তোমাদের কনফিউশন পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা বিজ্ঞান বিষয়ক আরো গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে কথা বলব।