বান্দা যদি কোন ভুল করে অথবা বান্দর যদি কোন অন্যায় করে তাহলে আল্লাহ পাকের কাছে বারবার ইস্তেগফার করার মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু আমরা এই বাস্তবিক জীবনে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে এই ক্ষমা চাওয়ার সময় আমাদের হাতে থাকে না। তবে আমরা দুনিয়ার জীবনে চলতে ফিরতে উঠতে বসতে যে ধরনের ভুল করে থাকি সেই ধরনের ভুল করার জন্য অথবা অতীত জীবনের যাবতীয় অন্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহ পাকের কাছে আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে হবে।
আপনি যত বেশি পরিমাণে আস্তাগফিরুল্লাহ অথবা ইস্তেগফার পাঠ করবেন তত দ্রুত আপনার অতীত জীবনের ভুলগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। কোন বান্দার মনের ভেতরে যদি প্রচন্ড পরিমাণে অশান্তি চলতে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে শান্তি পাওয়ার জন্য আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করে যেতে পারে। খুব ছোট একটা আমল এবং এই আমলের মধ্য দিয়ে আপনি যখন আপনার অতীত জীবনের ভুল গুলো ক্ষমা পেয়ে যাবেন তখন দেখা যাবে যে সেগুলো আপনার আমলের ফলে নেকীতে পরিণত হচ্ছে।
অর্থাৎ আস্তাগফিরুল্লাহকে জীবনের সঙ্গী বানিয়ে নিন এবং চলতে-ফিরতে এটাকে আমল করুন। শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া এবং বাথরুম ব্যবহার ব্যতীত অন্যান্য সকল সময় এটাকে যদি জীবনের সঙ্গী বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে মুখ ব্যথা হয়ে গেলেও একটা সময় আপনি এটার ফজিলত পেতে শুরু করেছেন। তাছাড়া আস্তাগফিরুল্লাহ এমন একটা আমল যেটা আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত করবে, এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করবে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
প্রিয় মুসলমান ভাই এবং বোনেরা আপনারা যে অন্ধকার জগতে বাস করছেন সেটা জানেন। মহান আল্লাহপাক আমাদের এত এত ভুলের পরেও যেহেতু সকল ধরনের নিয়ামত ও রহমত থেকে বঞ্চিত করে নি সেহেতু আমাদেরকে অবশ্যই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ফরজ ইবাদত গুলো পালন করতে হবে। কিন্তু আমরা আমাদের দুনিয়ার জীবন অথবা গায়ের রক্তের গরম অথবা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে আল্লাহপাকের শোকর গুজার করতে একেবারেই ভুলে গিয়েছে।
যে আল্লাহপাক আমাদেরকে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে লালন পালন করেছেন সেই আল্লাহ পাকের প্রতি যদি আমরা কৃতজ্ঞ না হতে পারি তাহলে এটার শাস্তি যে কতটা ভয়াবহতা আপনারা জানেন না। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে আল্লাহ পাক জ্বীন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য সেখানে আমরা সেই ইবাদত থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করি। তাছাড়া এই দুনিয়ার জীবনে এমন এমন অনেক পাপ করে থাকে যে পাপগুলো অন্যের কষ্টের কারণ হয়ে থাকে অথবা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে।
তাই ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ায় আমরা যদি নিজেদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের জীবন হয়তো সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি মনের ভেতরে প্রশান্তি অনুভব করতে পারব। বর্তমান সময়ে মানুষের ভেতরে যে হতাশা অথবা মানুষের ভেতরে যে ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতা চলছে তা একমাত্র আল্লাহর পথে না চলার কারণে। তাই এই পৃথিবীতে যেহেতু আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন সেহেতু আল্লাহ পাকের কাছে একটা সময় আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।
আর আল্লাহপাকের কাছে যখন ফিরে যাবেন তখন আপনার আমলনামা থেকে কি কি রয়েছে সেগুলো যদি আল্লাহপাক দেখেন তাহলে দেখবেন যে সেখানে পুণ্যের চাইতে পাপের বোঝা বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই এখনো সময় আছে আমরা দ্বীনের পথে ফিরে আসি। এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া আনন্দ বা ভোগ বিলাসের জন্য নয় বরং এটা একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র। আর এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে যদি আমরা উত্তীর্ণ হতে পারি তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন প্রশান্ত ময় জান্নাত।
তাই অতীত জীবনে যত রকমের ভুল করেছেন এবং যত বড় রকমের গুনাহ করেছেন তার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে হাত তুলে ক্ষমা চাইতে থাকুন। তিনি বান্দার চোখের পানি ছেড়ে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টা অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন বলে আপনারা অবশ্যই ক্ষমা চান এবং আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করুন। ইস্তেগফার করার মত যে কয়েকটি আমল রয়েছে সেগুলো আপনাদেরকে ছবির মাধ্যমে প্রদান করা হলো বলে সেগুলো আপনার এখান থেকে সংগ্রহ করে নিন।