ছবি বা পিকচার হল কোন কিছুর বা বস্তুর উল্টা প্রতিবিম্ব কে বোঝায়। অর্থাৎ বিভিন্ন বস্তু অথবা প্রাকৃতিক দৃশ্য যে উল্টা প্রতিবিম্ব আমরা চোখে দিয়ে দেখতে পাই সেরকম ধরনের কিছুকেই আসলে ছবি বা পিকচার বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এক সময় ছিল সেই ছবি আঁকানোর মাধ্যমে ছবিগুলো তৈরি করা হতো।
প্রথম দিকের চিত্রকর্ম গুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির ছবি অথবা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ বা গাছপালার ছবি। কিন্তু পরবর্তীতে এই ছবিগুলো আমাদের চোখ যেভাবে কাজ করে সেই মত নতুন যন্ত্র তৈরি করা হয়। যে যন্ত্রের মাধ্যমে যে কোন বস্তু অথবা দৃশ্যের উল্টা প্রতিবিম্ব আমরা পেয়ে যাব। কিন্তু সেই উল্টা প্রতিবিম্ব যখন আবার ছবি আকারে কাগজে ছাপ দেওয়া হবে তখন সেটি আবার সিধে প্রতিবিম্ব হয়ে যাবে।
খারাপ ছবি বা পিকচার কি
আসলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কিছু ছবি রয়েছে যে ছবিগুলো সাধারণত মানুষ অর্থাৎ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি রায় দেখে থাকে। বিচিত্র পৃথিবীতে মানুষের চাহিদার শেষ নেই। বিচিত্র পৃথিবীতে বিচিত্র ধরনের মানুষের বসবাস। তাই মানুষের মনও অনেক বিচিত্র ধরনের। কোন ব্যক্তির মন কখন কি চায় সেটা বোঝা অনেকটাই দুষ্কর। এমন কোথাও বলা হয় যে মানুষের মন নাকি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও বুঝতে পারে না যে তারা আসলে কি চায়। তাই মানুষের বিভিন্ন ধরনের বিকৃত বা যে ছবিগুলো মানুষ লোকসমাজে দেখাতে পারেনা একা একা ছাড়া কারো সঙ্গে নিয়ে দেখতে পারেনা সেই ছবিগুলোকেই
সাধারণত খারাপ ছবি বা পিকচার বলা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাপ্তি বয়সের যুবক-যুবতীরা এ ধরনের ছবি বেশি দেখে থাকে। তবে অন্যান্য বয়সের ছেলে মেয়েরাও যে এই ছবিগুলো দেখে না তা কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে উঠতি বয়স অর্থাৎ বয়সন্ধিকাল বা বয়সন্ধিকাল পার করে যে সকল ব্যক্তিবর্গ রয়েছে তারা সবচাইতে বেশি এই ধরনের যৌনাচারের ছবি দেখে নিতে চায়। আর এই ধরনের ছবিগুলোকেই সাধারণত খারাপ ছবি বা পিকচার বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
খারাপ ছবির অপকারিতা
খারাপ ছবিগুলো যদি যে কোন ব্যক্তি অর্থাৎ উঠতি বয়সের ব্যক্তিবর্গ দেখে থাকে তাহলে তাদের জন্য অনেকটাই ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। অর্থাৎ আরো ভালো করে বললে বলা যায় যে বয়ঃসন্ধিকালের পালক বালিকা অথবা বয়ঃসন্ধিকাল পার করেছে এই ধরনের ছেলেমেয়েদেরকে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে বলা হয়ে থাকে।
তাদের চোখে বিভিন্ন ধরনের রঙিন চশমা পড়া থাকে বলেই তারা জগতের বাস্তব দিকটা খুব কম দেখতে পায়। আর বাস্তব দিকটা খুব কম দেখার কারণেই তারা বিভিন্ন ধরনের খারাপ ছবির দিকে আকৃষ্ট হয় খুব সহজেই। কারণ জীবনের প্রথম এক ধরনের ছবিগুলো তারা দেখে থাকে। তবে বর্তমানে মোবাইল ফোনের বদৌলতে যেকোনো বয়সের ছেলে মেয়েরাই এই ধরনের খারাপ
ছবিগুলো দেখতে পায় বা দেখে দেখে সুস্থ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় এই কথাটা সত্যি সত্যি প্রযোজ্য হয়েছে যখন মানুষের হাতে স্মার্টফোন এসে পৌঁছাইছে। তাই বলা যায় যে স্মার্টফোন হয়তো একদিকে অনেক ভালো করেছে এ কথা অস্বীকার্য কিন্তু আবার অপরদিকে এই ধরনের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক অধঃপতনাও ঘটিয়েছে বলেই মনে করা হয়। তবে সবাই বা সব ছেলেমেয়ে এ ধরনের খারাপ ছবির প্রতি যে আকৃষ্ট এমন কথাও আমরা বলতে পারি না।
উপসংহার
খারাপ ছবির আকৃষ্ট থেকে যে কোন ছেলে মেয়েকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। কারণ যদিও আমরা জানি যে পৃথিবীতে সবচাইতে নিষিদ্ধ বস্তুর উপর মানুষের আকর্ষণ বেশি। তাই খারাপ ছবি গুলো সাধারণত নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। আর এ ধরনের পিকচারগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বারবার দেখার প্রবণতাও রয়েছে ছেলেমেয়েদের। তাই আমরা অবশ্যই ছেলে মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখবো এবং এ ধরনের খারাপ ছবি দেখে তাদের যেন আকৃষ্ট না করতে পারে সেই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখব এবং যদি কোন ছেলেকে আমরা স্মার্টফোন দেই তাহলে তার যথাযথ ব্যবহার করছে কিনা সেই দিকটা আমাদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।