আমরা সবাই জানি যে দুধ একটি খুবই উপকারী খাদ্যদ্রব্য এবং কিসমিস খাওয়াও শরীরের পক্ষে অনেক ভালো। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে কিসমিসের উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য কতখানি। কিসমিস খাওয়া খুবই উপকার এটা আমরা অনেকেই জানিনা কারণ কিসমিস একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারী।দুধ এবং কিসমিস একসঙ্গে খেলে একটি সম্পূর্ণ পুষ্টি এবং এনার্জি যুক্ত খাদ্য তৈরি হয়। আজকে আমরা জেনে নেব দুধ এবং কিসমিস একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা। এবং এটি কিভাবে পান করা যায় তার পদ্ধতি ও আপনারা জানতে পারবেন।
দুধ এবং কিসমিস একসঙ্গে মিশিয়ে একটি সুস্বাদু ওণিয় তৈরি করা সম্ভব যেটা বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই খুব মজা করে খাবে। আপনার বাচ্চার শরীর যদি দুর্বল এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয় তাহলে আপনার বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য এই দুধ এবং কিসমিসের মিশ্রণটি একদম ঔষধের মতো কাজ করবে। বাচ্চাদের বাড়ন্ত বয়সে যখন তাদের ব্রেনের বিকাশ হয় তাদের প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। ভিটামিন এবং প্রোটিনে ভরপুর কিসমিস এবং দুধের মিশ্রণটি যদি কোন বাবা-মা তার সন্তানকে নিয়মিত পান করাতে পারে তাহলে তাদের সন্তান অবশ্যই একটি সুস্থ জীবন যাপনের অধিকারী হবে।
কিসমিস খেলে সুস্থ ভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাদের সঠিক বৃদ্ধি বজায় রেখে বাচ্চাদের সুস্থ ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কিসমিস। এছাড়া মস্তিষ্কের বিকাশের সাথে সাথে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে দুধ এবং কিসমিসের তুলনা হয় না।দুধকে একটি “সম্পূর্ণ খাদ্য” বলা হয় কারণ এতে প্রচুর প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, সমস্ত পরিচিত ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে যা বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। দুধে প্রচুর উচ্চ-মানের প্রোটিন এবং নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে।
পাশাপাশি ভিটামিন যুক্ত ড্রাই ফুড এর মধ্যে অন্যতম হলো কিসমিস। কিসমিস খেতে সুস্বাদু তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই কিসমিস খেতে পছন্দ করে।কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে। কিসমিস মিষ্টি হওয়ায় অনেকেই কিসমিস খেতে ভয় পান। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে।কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল।
দুধ কিসমিস একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা
১/ শরীরে দুর্বলতা দূর হবে।
২/ শরীর সতেজ থাকবে।
৩/ অস্তি মজা শক্ত এবং মজবুত থাকে।
৪/দ্রুত বৃদ্ধি সম্ভব।
৫/কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৬/বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৭/ সুস্থভাবে ওজন বৃদ্ধি করে,।
৮/ আমি এবং সকল ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি দ্রব্যের ঘাটতি পূরণ করে।
৯/ বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
১০/ পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়াকে সজ্জন রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এই দুধ এবং কিসমিস যদি বাচ্চাদের নিয়মিত খাওয়ানো হয় তাহলে আপনারা কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চার সুস্থ স্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় দুধ এবং কিসমিস খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বারন্ত বাচ্চাদের জন্য। আপনার বাচ্চার মেধা যদি বেশি থাকে তাহলে তাকে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ান। বাচ্চা যদি দুধ খেতে পছন্দ না করে তাহলে দুধের মধ্যে কিসমিস মিশিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে বাচ্চাকে দিতে পারেন। বাচ্চাকে সব সময় এমন খাবার খাওয়াতে হবে যাতে খাবার ওপর বাচ্চার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
দুধের বিভিন্ন পুষ্টিগুলো হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যেমন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমায়। দুধে থাকা ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর দুধ এবং কিসমিসের এই মিশ্রণটি যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে গরমকালে এই খাবারটি প্রত্যেকের খাওয়া উচিত। আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কণিকা দ্বারা আপনারা উপকৃত হয়েছেন।আল্লাহাফেজ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।