চা পাতার উপকারিতা

চা শব্দটা শুনলেই মনের মধ্যে কেমন যেন একটা উচ্ছ্বসিতা চলে আসে যা প্রত্যেকটি মানুষের অবসর সময় কাটানোর একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। আপনি একটা জায়গায় বসে আছেন মন খারাপ করে বসে আছেন সেই মুহূর্তে যদি আপনার এক কাপ চা হাতে থাকে তাহলে আপনার সময়টা সহজে কেটে যাবে। আপনার সময়টাও যেমন কেটে যাবে ঠিক তেমনি ভাবে আপনি অনেকটা উচ্ছসিত হতে পারবেন। আর তাই অনেকেই চা পছন্দ করে।

আপনিও হয়তো ব্যক্তিগতভাবে চা অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার শরীরের জন্য চা কতটা বেশি উপকারী? আপনার শরীরে কতটা উপকার করে এই চা পাতা? আপনি যদি একটি ভাল মানের চা পাতা থেকে চা পান করেন তাহলে সেই চা পাতা থেকে আপনি কতটা উপকার পেতে পারেন সেটা হয়তো আপনারা জানা নেই। আপনি যদি আমাদের এই মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এখান থেকে উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার জানতে পারবেন।

চা পাতায় যে সকল উপকারিতা থাকে

সম্মানিত পাঠকমণ্ডলী, আপনারা যদি এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং এখানে যে সকল উপকারিতাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো পড়েন তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে আপনি যে চা খাচ্ছেন সেই চা পাতায় কি ধরনের উপকারিতা রয়েছে। আপনারা অবশ্যই এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিচে বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

১. ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে
বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে কাজ করার পরে আপনার মধ্যে একটা অনিচ্ছা, মাথাটা অল্প ভারী বোধ, কখনো মাথায় যন্ত্রণা এগুলো কাজ করতে পারে। তখন আপনি কি করবেন? তখন আপনি ভালো জাতের চা পাতা দিয়ে চা প্রস্তুত করে এক কাপ চা খেলে সেই ক্লান্তিটা একটু পরেই চলে যাবে। যে চায়ের পাতা যত উৎকৃষ্ট হবে তত তাতে ক্যানিং এর মাত্রা কম হবে এবং ক্যাফিন এর মাত্রা বেশি থাকবে। এতে ক্যাফিন আমাদের স্নায়ু মন্ডলকে সতেজ করে দেহ মনে ফুর্তি এনে দিবে। সেজন্য আপনারা যখন চা পান করবেন। অথবা চা পাতা সংগ্রহ করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে সেখানে যেন ক্যানিং এর মাত্রা কম থাকে এবং ক্যাফিন এর মাত্রা বেশি থাকে।

২. গলা বসা কমাতে সাহায্য করে
সর্দি জনিত কারণে আপনার গলা বসে গেছে, আপনি ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না বা আপনি যখন কথা বলছেন তখন আপনার কথা ঠিক অনেকটা বসা প্রকৃতির মনে হচ্ছে। ঠান্ডা লেগে গলা বসে গেলে চা সিদ্ধ জলে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে পারেন। আপনি যদি চা সিদ্ধ জলে লবণ মিশে গড়গড়া করেন এবং সেখানে লেবু ও লবণ দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার চা খাওয়া চালিয়ে যান তাহলে সহজেই আপনার গলা বসা ঠিক হয়ে যেতে পারে। ওই সময়টা দুই থেকে চার দিন হালকা গরম জলে স্নান করলে আরো ভালো মতো আপনার গলা ব্যথা বা গলা বসা সেরে যাবে। অনেকেই এই ফর্মুলা ব্যবহার করে সহজেই গলা বসা বা গলা ব্যথা থেকে নিজেদেরকে সারিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছে।

৩. ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি এক চা চামচ চা-পাতা এক কাপ জলে ৪ থেকে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখেন এবং সেটাকে মিনিট খানেক ফুটিয়ে তারপর তাতে দুই চা চামচ দুধ মিশিয়ে সেটা পান করেন তাহলে সারাদিনে এভাবে তিন থেকে চারবার পান করলে সপ্তাহ খানেক পান করার পরে আপনার অতিরিক্ত খাবার ভাবটা বা অতিরিক্ত খিদা লাগার ভাবটা কমে যাবে। অনেকেই এভাবে ডায়েট করেন। যারা ডায়েট করেন তারা এভাবে তাদের খিদা মন্দ ভাবটা দূর করতে পারেন বা আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে এভাবে আপনি আপনার খাবারের পরিমাণটা কমিয়ে আনতে পারবেন।

সম্মানিত পাঠক মণ্ডলী, উপরে যেই উপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল উপকারিতা গুলো আপনারা দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন যে চা আমাদের কতটা উপকার করে।

Leave a Comment