অসুস্থতার কারণে যদি কেউ চিকিৎসকের কাছে যায় এবং চিকিৎসক যদি তার অসুস্থতা পর্যালোচনা করে তাকে ভিটামিন ডি টেস্ট করার পরামর্শ দেন তাহলে অবশ্যই তার মনের দুশ্চিন্তা আসতে পারে। চিন্তার কোন কারণ নেই তার কারণ হচ্ছে এটা প্রাথমিক পর্যায়ের একটি চিকিৎসা যার মাধ্যমে আপনার শরীলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে কিনা সেটা বোঝা যাবে এবং এটা জানতে পারলে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। একটা বিষয়ে আপনি পরিষ্কারভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন সেটা হচ্ছে জেনে বুঝে চিকিৎসা দেওয়াটা সবথেকে ভালো পদ্ধতি না না বুঝে না জেনে চিকিৎসা দেওয়াটা সবথেকে ভালো।
যে রোগের সাধারনত ভিটামিন ডি টেস্ট করতে বলা হয় সেই রোগী মনে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা জন্ম দেয় এবং সেই চিন্তার প্রেক্ষিতে একটি চিন্তাও তার আসতে পারে সেটা হচ্ছে এই ভিটামিন ডি টেস্ট করানো উচিত হবে কিনা এবং তার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। সাধারণত সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে সেখানে খুব কম পরিমাণে ভিটামিন ডি টেস্ট করানো হয় এর জন্য বিভাগীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কখনোই আপনি ভিটামিন ডি টেস্ট করাতে পারবেন না।
ভিটামিন ডি টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ভিটামিন ডি টেস্ট করার টাকার খরচটা একটু কম বেশি হতে পারে। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যদি ভিটামিন ডি টেস্ট করাতে চান তাহলে অবশ্যই সেটা বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল হতে হবে তাছাড়া থানা পর্যায়ে অথবা জেলা পর্যায়ে কোন সরকারি হাসপাতালে সাধারণত ভিটামিন ডি টেস্ট করানো হয় না। সরকারি হাসপাতালে খরচ অনুপম তবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি বেসরকারি যে হাসপাতালগুলো রয়েছে সেগুলোতে খরচ অনেক বেশি।
সাধারণত সর্বনিম্ন ২২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ 5000 টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এবং প্রতিষ্ঠানের অবস্থান অনুযায়ী।যদি থানা পর্যায়ে কোন প্রতিষ্ঠান হয় সে ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণটা একটু কমতে পারে তবে যদি জেলা পর্যায়ে অথবা বিভাগীয় পর্যায়ে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ বেশি হবে। আপনাকে শুধুমাত্র আমরা একটু ধারণা দিতে পারলাম এখন আপনি কোথায় এই টেস্ট করাবেন সেটা আপনাকে জানতে হবে এবং সেখানকার টেস্টের রেট কত টাকা উল্লেখ করা আছে সেটা জানার পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে টেস্ট করার বিষয়।
ভিটামিন ডি এর নরমাল রেঞ্জ
এই জিনিসটা সাধারণত নির্ভর করে সেখানে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করে টেস্ট করানো হয়েছে তার নরমাল রেঞ্জের ওপর। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের রেঞ্জ নির্ধারণ করে দেয় তবে আমি এখানে একটি নরমাল রেঞ্জের কথা উল্লেখ করবো আপনি এখান থেকে প্রাথমিক একটি ধারণা পাবেন।
ভিটামিন ডি টেস্ট এর ক্ষেত্রে সাধারণত যে নরমাল রেঞ্জ দেওয়া হয়েছে সে নরমাল রেঞ্জের মোট চারটি ভাগ আছে।
বিশ্বের নিচে হলে এক ধরনের তারপর ২০ থেকে ২৯ এর মধ্যে একটি রেঞ্জ রয়েছে। আরেকটি রেঞ্জ রয়েছে ৩০ থেকে ১০০ এর মধ্যে। সর্বশেষ যে ধাপ রয়েছে সেখানে একশোর উপরে অর্থাৎ এখানে এই রেঞ্জের রোগের অবস্থা একেবারে খারাপ হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে।
স্বাভাবিক রোগীদের ক্ষেত্রে বিষের মধ্যে থাকাটা স্বাভাবিক যদি বিষের বেশি চলে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। বরাবরের মতো আজকেও আমরা কিছু তথ্য দিয়ে আপনাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি এবং আপনাদের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এতটাই খারাপের দিকে যাচ্ছে যে এখানে বলা ঘটনার সঙ্গে বাস্তবে আপনি কোন মিল ও না পেতে পারেন। তাই নিজেকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে নিজের স্বাস্থ্য এবং নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য একটু সতর্ক না থাকলে আপনি যেকোনো সময় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।