ভালবাসি বাংলা ভাষা ভালবাসি বিশ্বজনের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষা আমাদের এই উপমহাদেশের এই অঞ্চলের ভাষা। বাংলা ভাষায় কথা বলে সাধারনত বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভিসার উড়িষ্যা আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসীগণ। তাই বাংলা ভাষায় এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনগণের একটি ভাষা। বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের
বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই ভাষার সম্মান রক্ষা করেছেন। আর এই কারণেই বর্তমান সময়ে আমাদের এই ভাষা দিবসকে অর্থাৎ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিকভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের ইউনেস্কো। এখন দেখতে হবে যে আমাদের এই বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোথায় থেকে।
মনে করা হয় এই অঞ্চলের যে ভাষাগুলো রয়েছে সেই ভাষাগুলোকে ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বলে মনে করা হয়। অনেকে আবার মনে করেন যে সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষাই হল বাংলা ভাষার মা। অনেক ভাষাবিদ মনে করে থাকেন এই অঞ্চলের যে ভাষাগুলো প্রচলিত রয়েছে সব ভাষাগুলোই প্রাচীন ভাষা সংস্কৃত ভাষা থেকেই
সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সংস্কৃত ভাষা এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা বলে ভাষাবিদরা মনে করে থাকেন। তাই প্রাথমিক দৃষ্টিতে আসলে সংস্কৃতকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তিস্থল বলে মনে করা হয়ে থাকে। কিন্তু এ সকল বিষয় নিয়ে নানা ধরনের দ্বিমত রয়েছে। অর্থাৎ একেকজন ভাষাবি দ এই বাংলা ভাষার উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করে থাকেন। এখন আমরা এই বিষয়টি দেখব যে আসলে বাংলা ভাষার জন্ম কোন ভাষা থেকে।
বাংলা ভাষা মোটামুটি পুরাতন ভাষা। বাংলা ভাষার যে লিপি পাওয়া গিয়েছে সেটি অনেক পুরনো। এবং বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ গুলো পাওয়া গেছে মোটামুটি ভাবে অনেকদিন আগে। এই চর্যাপদ এর পান্ডুলিপি গুলো বিচার বিশ্লেষণ করে মনে করা হয় যে ৬০০ থেকে ৭০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আমাদের বাংলা ভাষার সেই আদি নিদর্শন চর্যাপদ গুলো লিখা হয়েছিল। তাই চর্যাপদের মত এই সকল নিদর্শন দেখে মনে করা হয় যে বাংলা ভাষা আসলেই প্রাচীন একটি ভাষা।
তাই এই প্রাচীন ভাষা আসলে কোন ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদেরকে স্পষ্ট করতে হবে। তাই আপনারা অবশ্যই দেখে নিতে পারবেন বুঝে নিতে পারবেন যে আমাদের বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে। সাধারণত আমাদের এই বাংলা ভাষা বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত ছিল। এই ভাষাটি আসলে ইন্দো আর্য ভাষা থেকে এসেছে বলেই বেশিরভাগ পন্ডিত গুলো মনে করে থাকেন। এবং আরো মনে করা হয় যে, ইন্দো আর্য ভাষার আরেকটি ভাষা হল সংস্কৃত ভাষা।
এবং আমাদের এই বাংলা ভাষা, মাতৃভাষীর সংখ্যায় ইন্দ্র ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের পঞ্চম। এবং যদি মোট ব্যবহারকারী সংখ্যার তুলনা করা হয় তাহলে এটি পৃথিবীতে ষষ্ঠতম ভাষা হিসেবে দেখা যায়। আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং ভারতের জাতীয় সংগীত এই বাংলা ভাষার স্তোত্র বাংলাতে রচিত হয়েছে। তবে সব থেকে একটি কথা বলা যায় যে তা হলো বাংলা ভাষার পূর্বপুরুষ হচ্ছে- প্রোটো-গৌড়-বাংলা। তবে এটি এসেছিল আবার প্রোটো-গৌড়-কামরূপ ভাষা থেকে। তাহলে মোটামুটি ভাবে আমরা বুঝে নিতে পারলাম যে বাংলা ভাষা মোটামুটি ভাবে কোন ভাষা থেকে এসেছে এবং উৎপত্তি হয়েছে।
তবে বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে বিভিন্ন ভাষা থেকে আমাদের বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ এসে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই বাংলা ভাষা এত সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী অনেক ভাষাই বা এ সকল ভাষার কাছে আমরা ঋণী। আপনারা এই ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকতে পারেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদেরকে এ ধরনের তথ্য সবার আগে তুলে দিতে। তাই আপনারাও যদি আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আমরা অবশ্যই উৎসাহ বোধ করব।