ছেলেদের অ্যাটিটিউড স্ট্যাটাস

এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিত্য নতুন বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। একেক জনের একেক রকম কথা এক একজনের এক এক রকম মতামত ফেসবুকে মানুষের অ্যাটিটিউড এর কোন অভাব নেই। আপনি কি মনে করেন অ্যাটিটিউড শুধু মেয়েরা দেখায় না ভাই এখন অ্যাটিটিউড মেয়েদের থেকে ছেলেরা বেশি। রূপচর্চা শুধু মেয়েরা করে না মেয়েদের পাশাপাশি এখন ছেলেরাও রূপচর্চা করে।

মেকআপ করা মেয়েদের কাজ হলেও অনেক ছেলে আছে যারা এখন মেকআপ করে। তাই ছেলেদের অ্যাটিটিউড নিয়ে কিছু কথা আছে আমরা আলোচনা করব। এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেলেদের অ্যাটিটিউড এর কিছু স্ট্যাটাস আমরা সবাই লক্ষ্য করি। ছেলেদের এটিটিউড স্ট্যাটাস গুলো যেরকম হয় তারই কিছু উদাহরণ এবার আমরা দেখব।

আমি নিখুঁত নাও হতে পারি, আমি কারোর মনের মত নাও হতে পারি, কিন্তু আমি সব সময় আমিই।আমার নিজেকে নিয়ে আমার কোন ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই, কারণ আমি জানি আমি সঠিক।আমি কখনোই হারি না আমি হয়তো জিতব না হয় আমি শিখব।কাউকে অনুসরণ করার চেয়ে নিজে একাই হাটা ভালো।

রুষের জন্ম হয় সফলতা অর্জন করার জন্য,ব্যর্থ হওয়ার জন্য নয়।আমি নিজেকে কারো সাথে কখনোই তুলনা করি না। কারণ আমি জানি আমি আমার নিজের উপায়ে সেরা একজন ব্যক্তি।আমি সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠতে পারি, কারণ আমি জানি আমার ওঠার অনেক সাহস আছে।অন্যদের সাথে নিজেকে কখনোই তুলনা বা বিচার করবেন না, সবসময় ভাববেন আমি সবার থেকে আলাদা।জীবনটা হলো আমার, আমাকে নিয়ে কে কি ভাবলো বা না ভাবল তাতে আমার কোন দেখার যায় আসে না।

ছেড়ে যাওয়ার ভয় আমাকে দেখায়ও না, কারণ আমি তো তাকেও ছেড়ে দিয়েছি যাকে ছাড়া একটা মুহূর্ত আমি থাকতে পারতাম না।আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে হাজার হাজার মেয়ে থাকা সত্ত্বেও ছেচড়ার মত কোন মেয়েকে নক না দেওয়া মানুষটাই হল আমি।আমার কাছে সময়ের খুবই অভাব।আমি কারো উপর প্রতিশোধ নেওয়া পছন্দ করি না, কারণ আমি তাদের সাথে গুরুত্ব কমিয়ে দিয়ে দূরত্ব বাড়িয়ে দেই।

মাঝে মাঝে নিজের উপরই নিজের অনেক হিংসা হয়, ভাবি একটা মানুষ এতটা কিউট কিভাবে হয়!আমি সেই সব মানুষদেরকে ভুলে গেছি যাদেরকে আমি ভুল করে আপন ভেবে কাছে টেনে নিয়েছিলাম।আগে খারাপ ছিলাম এখন ভালো হয়ে গেছি তারপরও মানুষ আমাকে খারাপই বলে। তো ভাইয়া, এমন কোন কাজ কইরো না যেন আমাকে আবার আগের রূপটা ধারণ করতে হয়।দিন আমারও একদিন আসবে তবে একটু সময়ের অপেক্ষা।
কারণ সুযোগ সবার কাছেই আসে শুধু সেই সুযোগকে ধরে নিতে হয়। সেই সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছি।

জন্মগ্রহণ করেছি কারো মনের মত হয়ে বাঁচার জন্য নয়, বরং নিজের মত বাঁচার জন্যই জন্ম গ্রহণ করেছি। জীবনটা আমার তাই অধিকারটাও সবচাইতে আমারই বেশি।নেতার পাওয়ার আমাদের দেখাইও না, পাওয়ার আমাদেরও আছে। আমরা দেখানোর কোন প্রয়োজন মনে করি না, কারণ আমার শহরে আমার বন্ধু গুলাই যে সেরা।

আমি পাল্টাতে পারবো না পারলে ব্লক করো তা না হলে সহ্য করে থাকো। একটা মেয়ের জন্য যদি নিজেকে পাল্টে ফেলি তাহলে আমার আর গিরগিটির মধ্যে পার্থক্য কি।যে আমার ভাগ্যে নেই তাকে আমি আমার জীবনে কোনদিন চাইও না, কারণ ভিক্ষা করে বেঁচে থাকার আমার কোন অভ্যাস নেই।

আমার হিসাব একদম সোজা যে আমাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে আমিও তাকে সম্মান-শ্রদ্ধা করি।আমি এত কিছু বুঝি না যা আমার ভাগ্যে আছে তা তো পাবই, আর যা ভাগ্যে নেই তা কাইরা নিমু।

এই দুনিয়ায় কোটি কোটি মানুষ থাকা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্য একটা বিষয় আমার মত একটা মানুষও নেই। আমাকে যে হারিয়ে ফেলেছে সে একদিন পস্তাবে।আমি আমার মতই। কাউকে কপি করি না বা কাউকে কপি করার কোন ইচ্ছা আমার নেই।

হয়তো আমি খারাপ। কিন্তু এই খারাপ মানুষের পেছনে ই অনেক মেয়ের লাইন লেগে থাকে। সময়ের অভাব তাই কাউকেই সময় দিতে পারি না।

Leave a Comment