সালামুআলাইকুম প্রিয় ভিউয়ার্স। আজকে আমরা আরও একটি প্রাণীর ছবি এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় হাজির হয়েছি। আজকে আমরা উট সম্পর্কে আলোচনা করব। বাংলাদেশে আমরা সচরাচর উট দেখতে পাই না কারণ উট মরুভূমিতে বাস করে। উটের ছবি গুলো যদি তোমরা দেখতে চাও তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে পেয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতির উটের ছবি। ছবিসহ উটের বৈশিষ্ট্য আজকে আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
পৃথিবীতে অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলো প্রাণীকে আমরা সহজে দেখতে পায় না। অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলো সংখ্যায় অনেক কম। জলবায়ুর পরিবর্তন এবং কালের বিবর্তনে অনেক প্রাণী এই জগত থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে। কারণ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া গুলি অনেক প্রাণীর জন্য অনুপযোগী হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য অনেক প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এরকম বড় আকারের অনেক প্রাণী রয়েছে যেগুলোর সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। বাংলাদেশে মরুভূমি নেই। তাই বাংলাদেশে উটের সংখ্যা খুবই কম। কারণ বাংলাদেশের জলবায়ুতে উট বসবাস করতে পারেনা। ওঠ একটি তৃণভোজী প্রাণী।
এটি ঘাস খায়। মরুভূমিতে বসবাস করে এইজন্য ওঠ পেটের মধ্যে পানি সংরক্ষণ করে রাখে। যখন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পানির প্রয়োজন পড়ে তখন ও তাদের জমানো পানি ব্যবহার করে। উট আকারে অনেক বড় একটি প্রাণী। উটের পিঠে চড়ে মরুভূমিতে যাতায়াত করে মরুভূমির পর্যটনরা। তাছাড়া উটের মাংস খাই সৌদি আরবের মানুষরা। কারণ সৌদি আরবে অনেক উট রয়েছে। সৌদি আরবের মরুভূমি রয়েছে তাই এখানে উট দেখতে পাওয়া যায়। দুবাই য়ে উটের সংখ্যা বেশি। ভারতের রাজস্থানে মরুভূমিতে অনেক উট দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু বাংলাদেশে উটের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
আজকে আমরা উটের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানব এবং এই প্রাণীটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য ছবি সহ জানতে পারবো। আমরা যারা সমতলভূমিতে বাস করি তারা অধিকাংশরাই উট দেখিনি কোনদিন। উটের ছবি আমরা দেখেছি কিন্তু বাস্তবে আমরা উঠ দেখিনি। ভারতের অনেক জায়গায় উঠে দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে উট রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের জলবায়ু উটের জন্য সঠিক নয় । কারণ উট মরুভূমিতে বাস করে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উটের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারব।
উট মরুভূমিতে বসবাসকারী একটি বৃহত প্রাণী। প্রাণীটি খুব ভারী এবং বড়, যার কারণে এটি ভারী কাণ্ড বহন করতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক উটটির ওজন সাতশ কিলোগ্রাম হতে পারে। ডাবল এবং খুব দীর্ঘ eyelashes পাশাপাশি সংকীর্ণ, “স্ল্যামিং” নাসিকা, মরুভূমির শক্তিশালী বেলে বাতাস থেকে রক্ষা করে। তারা খুব শক্তভাবে বন্ধ রয়েছে, ঝড়ের সময় ফুসফুসে প্রবেশ করে বালি থেকে সুরক্ষা সরবরাহ করে।
ফটোতে উট এটি বড় মনে হচ্ছে না তবে এটির গড় বৃদ্ধি দুই মিটার এবং আরও বেশিতে পৌঁছায়। পুষ্টির অদ্ভুততার কারণে, প্রাণীর ঠোঁট খুব মোটা হয়ে গেছে – এটি প্রয়োজনীয় যাতে উটটি কাঁটাযুক্ত গাছগুলি ছিঁড়ে ফেলতে এবং এটি খেতে পারে। উটের উপরের ঠোঁট দুটি ভাগে বিভক্ত।প্রাণীটি খুব উত্তপ্ত বালির উপর নেমে আসতে পারে এবং এটি দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে থাকতে পারে। উটটি কলসিযুক্ত হাঁটু এবং কনুইতে স্থির থাকে। প্রাণীর একটি কাঁটা পা এবং একটি কলসযুক্ত নখর রয়েছে।এই পাদদেশের কাঠামো মরুভূমিতে বসবাসকারী কোনও প্রাণীর পক্ষে আদর্শ – এটি কেবল বালির উপরেই নয়, পাথুরে ভূখণ্ডেও যেতে পারে। এছাড়াও, উটের একটি ছোট লেজ থাকে, প্রায় অর্ধ মিটার, যার শেষে একটি বড় তাসেল থাকে।
এটি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। মরুভূমিতে বসবাস করে এই জন্য সাধারন আবহাওয়া উটের বসবাস করা একটু সমস্যা হয়ে পড়ে। উটের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরব এবং দুবাইয়ে উঠে সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। বাণিজ্যিকভাবে এই দেশগুলোতে উটের অবদান রয়েছে। কোটের মাংস মানুষের চাহিদা মেটায়। এবং পর্যটনমূলক স্থানগুলো পর্যবেক্ষণে অনেক আরোহীরা উটের পিঠে উঠে। আশা করি তোমরা সম্পর্কে জানতে পেরেছো। আমরা যারা উট সম্পর্কে জানিনা তাদেরকে এই আর্টিকেলটি সেন্ড করতে পারব। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম এই সকল প্রাণী সম্পর্কে জানেনা । তাদেরকে আমরা আর্টিকেলটির মাধ্যমে উট সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবো।।