আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। যারা ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে তাদের জন্যই আমাদের এই সুন্দর সুন্দর লেখা। আপনাদের কাছে সুন্দর এই স্ট্যাটাস ক্যাপশন গুলো পৌঁছে দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের আশেপাশে এবং আমাদের প্রাকৃতিক কিছু বাস্তব সময় নিয়ে আমরা যারা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেট দিয়ে থাকি তাদের জন্যই আজকে আমরা দুপুর নিয়ে ক্যাপশন লিখব।
সকাল পেরিয়ে ধীরে ধীরে দুপুর গড়িয়ে আসে। আর দুপুরবেলা নিজের মধ্যে অলসতা চলে আসে এবং ঘুম পায়।
তবে এই সময় অনেকের কাছে অনেক প্রিয় দুপুরবেলায় কাজ সেরে যখন একটু বিশ্রাম নেয়া হয়। তখন নিজের মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। এখন যেন দুপুর খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। সূর্য ফোটার পরে আর মেঘলা সকাল দেখা যায় না। দুপুর যেন সকালের সঙ্গে তর্ক করে সকালকে পিছে ফেলে এগিয়ে আসে। সকাল এবং দুপুরের এই মিষ্টি লড়াই, আর তার মাঝামাঝি আমাদের এই রাগী দুপুরকে সহ্য করতে হচ্ছে অনেক সময় ধরে। সবার যেন দুপুরের রোদে অতিষ্ঠ। এই গরম আর সহ্য হয় না। সবাই চাই যে দুপুর যেন তার রাগ একটু কমায়, দুপুর জানো একটু শান্ত হয়।
এখন এই তীব্র রোদে দুপুর মেয়ে যদি কোন ক্যাপশন শেয়ার না করি তাহলে কেমন হয়?আমরা যারা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাকৃতিক বিষয় বলি এবং আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া সমস্ত কিছুর আপডেট ফেসবুকে শেয়ার করতে পছন্দ করি তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। যেমন বর্ষাকালে আমরা বৃষ্টি কে নিয়ে কতই না ক্যাপশন শেয়ার করি তেমনি এখন এই প্রখর রোদে আমাদের রাগী দুপুর কে নিয়ে কিছু পোস্ট শেয়ার না করলে কি চলে?আর দুপুর নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস সংগ্রহ করে অনেকেই ফেসবুকে বা বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে চায়। আমরা এই পোস্টে কিছু উক্তি স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
দুপুর নিয়ে ক্যাপশন
আজকাল দুপুর বড্ড রাগী।
এত রাগ যে,, ভালো না।
তার রাগের গরমে পৃথিবী আজ অতিষ্ঠ।
দুপুর বেলার প্রখর রোদ এবং গরমে প্রাণী জগত ক্লান্ত।
ছোটবেলার দুপুরবেলা মানেই এক মধুর স্মৃতি।
দুপুর বেলা মায়ের পাশে ঘুমানো।
আর বাঙালি মানে এই দুপুর বেলার ভাত ঘুম।
দুপুরবেলায় মা যখন জোর করে ঘুমাতে নিয়ে যায় তখন, ছোট্ট শিশুটির ঘুম আসে না।
তার মন শুধু বাইরের দিকেই ছুটে। দুপুরবেলা খাবার পর বন্ধুদের সঙ্গে দুরন্ত জীবনটাই তো ভালো ছিল।
আগে যখন দুপুরবেলায় ঘুমানোর অনেক সময় ছিল, তখন ঘুম আসতো না।
আর এখন ঘুমানোর সময় নেই, কিন্তু দুপুর হলেই শরীর যেন ভারি হয়ে যায়।
ছোটবেলার সেই দুপুর বেলা, কত স্মৃতি কত মধুর।
বাঙালির দুপুরবেলা গুলো খুব স্পেশাল।কারণ দিনের যেকোনো সময় আর যাই খাওয়ার হোক না হোক, দুপুর বেলা কিন্তু বাঙালির পাত পেড়ে বাঙালিয়ানা খাবার যায়। প্রথম পাতের তেতো এবং শেষ পাতে মিষ্টি বাঙ্গালির দুপুরের ভোজ।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে, সময়ের সঙ্গে লড়াই করি।দুপুর যেন দৌড়ে ছুটে চলে আসে।এদিকে কাজের ভিড়ে দুপুরের সঙ্গে তর্ক করা আমাদের স্বভাব। দুপুর তার প্রখর তাপে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে তার উপস্থিত হয়ে গেছে।।
সূর্যমামা যখন তার সর্বশক্তিমান জায়গায় বিরাজমান করে তখনই যেন দুপুর আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দুপুর বেলার টনটনে রোদ। বাইরে বেরোতে জানো দুপুরের ভয়। দুপুর পেরিয়ে যখন সূর্যি মামা আস্তে আস্তে অস্ত যায় তখন দুপুর তার শক্তি হারায়।
ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের কাছে দুপুর বেলা সবচাইতে প্রিয় সময়। কারণ তারা অপেক্ষা করে থাকে যে কখন দুপুর হবে এবং নানান পদের খাবার তাদের সামনে হাজির হবে। দুপুর বেলা দুপুরের খাবারের জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করে থাকি। দুপুরের রোদ আমাদের পছন্দ হোক বা না হোক দুপুরের খাবার কিন্তু সবার অনেক পছন্দের।
গ্রীষ্মকালীন দুপুরগুলো একটু বেশিই সুন্দর। কারণ গ্রীষ্মকালের দুপুর আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু মধুর স্মৃতি হয়ে থেকে যায়।