গাজরে কোন ভিটামিন থাকে এই প্রশ্নের উত্তর যখন জানতে পারবেন তখন গাজর খাওয়ার প্রতি এক অন্য ধরনের আগ্রহ পাবেন। তবে গাজরে কোন ভিটামিন থাকে এটা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কিভাবে সন্তানদেরকে বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়ার প্রতি অভ্যাস গড়ে তুলবেন তা এখানে আলোচনা করব। কারণ সন্তানরা মাছ-মাংস পছন্দ করে বলে তাদের প্রতিদিন মাছ-মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে একটা সময় শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাসটা বাদ দিতে হয় অথবা এটা রান্না করলেও কেউ খেতে চায় না।
কিন্তু শাকসবজি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান এবং এটা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে ব্যালেন্স করে চলতে পারবেন সেহেতু এটা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাড়িতে যদি ছোট সন্তান থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে শাকসবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে যে অভ্যাসটি গড়ে তুলবেন সেটা হলো তারা যে সকল খাবার পছন্দ করে তার সঙ্গে শাকসবজি সিদ্ধ করে সংযুক্ত করে দিবেন। সে যদি নুডুলস পছন্দ করে তাহলে নুডুলস ডিম দিয়ে রান্না করার পাশাপাশি সেখানে বেশ কয়েকটি শাকসবজি সংযুক্ত করে দিতে পারেন।
যদি এটা আপনাদের কাছে ঝামেলা মনে হয় তাহলে বেশ কিছু শাকসবজি আগে থেকেই কিউট সাইজ করে কেটে রাখবেন এবং সিদ্ধ করে সেটা ফ্রিজে রেখে ১৫ থেকে ২০ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। তাই শাকসবজি খাওয়ার প্রতি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ করতে হবে এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যারা গাজর সম্পর্কিত তথ্য জানতে এসেছেন তাদেরকে আমরা এই তথ্য প্রদান করছি। গাজর একটি শীতকালীন সবজি হয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে এটা সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দাম বেশি হয়ে থাকলেও এটা সংগ্রহ করা কোন ব্যাপার নয়।
তবে গাজরে কোন উপাদান থাকে অথবা কোন ভিটামিন পাওয়া যায় এই প্রশ্ন যেহেতু জানতে এসেছেন সেহেতু বলবো যে গাজরে সবচাইতে বেশি পরিমাণে থাকে ভিটামিন এ। অর্থাৎ আপনারা প্রতি 100 গ্রাম গাজরের হিসাবে যদি ভিটামিনের পরিমাণ বের করতে চান তাহলে বলবো যে এখানে ৩৩ গ্রাম বা ৩৩ শতাংশ ভিটামিন এ থাকবে। তাছাড়া এখানে আপনারা ভিটামিন সি পাবেন পাঁচ শতাংশ এবং ভিটামিন বি পাবেন ১৯ শতাংশ। তাই ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করতে চাইলে অবশ্যই আমাদেরকে এই গাজর খেতে হবে।
গাজরে প্রধানত কোনটি পাওয়া যায়
গাজরের প্রধানত কোনটি পাওয়া যায় এই প্রশ্নের উত্তর যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে উপরের সমীক্ষা থেকে এটা বুঝতে পারছেন যে ভিটামিন এ এখানে বেশি পরিমাণে রয়েছে। তাই শিশুদের শাকসবজি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে গাজর একটা আকর্ষণীয় সবজি হিসেবে আপনারা এটাকে কাঁচা খাওয়ানোর প্রতি অভ্যাস করে তুলতে পারেন অথবা সিদ্ধ করে খাওয়ানোর প্রতি অভ্যাস করে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্ট গুলোতে গাজরের বিভিন্ন রেসিপি অথবা ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে যে সকল ভেজিটেবল প্রদান করে সেখানে গাজর অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে তা আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়।
গাজর খেলে কি হয়
গাজর খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হবে। তাই আপনারা যারা গাজর খেতে চান না তারা ভিটামিন এ এর সমস্যায় পড়বেন এবং রাতকানা রোগ থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই ভিটামিন এ এর অভাবে যে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলোতে পড়বেন যদি আপনারা এটা না খান। শাকসবজি হিসেবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অবশ্যই কোন না কোন শাকসবজি খেতে হবে। শাকসবজি খাওয়ার প্রতি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অবশ্যই আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারব।
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গাজর খাওয়ার উপকারিতা গুলো উপরের দিকে আলোচনা করা হয়ে থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রে গাজরে একটু সমস্যা করে। যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা এই গাজর খেলে অনেক সময় এলার্জির সমস্যাতে কিছুটা ভোগে থাকেন। তাই যদি এলার্জির সমস্যা মনে করে এটাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন উপাদান থেকে ভিটামিন এ সংগ্রহ করতে চান তাহলে তাও কোন সমস্যা নেই বরং তা করতে পারবেন। সর্বোপরি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় শর্করার চাহিদাগুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে আটা চিনি এর ওপরে নির্ভর না করে শাকসবজির ওপরে নির্ভরশীল হতে হবে।