মহিলা বিষয়ক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন আমাদের আর্টিকেলে।মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে ডিম্বাশয়ের ত্রুটি বা সিস্ট, হরমোনের তারতম্যজনিত সমস্যা, অপুষ্টি। অপুষ্টির মানে কেবল ভগ্নস্বাস্থ্য নয়, শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়াও অপুষ্টির লক্ষণ। কখনো কখনো সন্তান প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নারীদের নিয়মিত ও সময়মতো পিরিয়ড (মাসিক) হওয়াটাই স্বাভাবিক। অনিয়মিত পিরিয়ড নারী স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। অনিয়মিত পিরিয়ড বা একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হওয়া মূলত পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (POS) জন্য হয়ে থাকে।তবে আরও অনেক কারণ আছে, যার জন্য পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। এই সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতি মাস পর পর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে।মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। আর যাদের এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস আবার কখনও চার মাস পর পর হয়,
তখন তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলে। অনিয়মিত পিরিয়ড নারীদের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।টিনেজার ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হলো হরমোন। আর লম্বা সময় স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে।
অবিবাহিত মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে নিয়মিত মাসিক হয় না। পুষ্টির অভাবে দুর্বলতার জন্যও অনেক মেয়ের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। ন্যূনতম ১২ বছর বয়স থেকে মেয়েদের প্রতি মাসে নিয়মিত মাসিক হওয়া শুরু হয়। এই সময় মেয়েদের শারীরিক যত্ন নিতে হয়। পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। মানসিকভাবে স্থির থাকতে হয় এবং আরো অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো একটু মেনে চলতে হয়। কারণ যখন একটি মেয়ের প্রথম মাসিক শুরু হয় তখন তার দেহে অনেক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
একটি কন্যা শিশু বাচ্চা মেয়ে থেকে কিশোরীতে পরিণত হয় এই সময়ে। হরমোন নিঃসৃত হয় এই সময় দেহে অনেক রকমের। শারীরিক অঙ্গ গুলোর পরিবর্তন হয়। সময়ে কোন মেয়ে যদি মানসিকভাবে সুস্থ না থাকে অথবা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে তাহলে শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় আপনার কন্যা সন্তানকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিতে হবে।
এবং মাসিক হলে কি কি নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয় কিভাবে কি করতে হয় সেই সব আপনাকে বলতে হবে আপনার কন্যা সন্তানকে। এরকম সুস্থ পরিবেশ যদি আপনার কন্যা সন্তান পেয়ে থাকে তাহলে তার শারীরিক কোন সমস্যা দেখা দেবে না। একটি সুস্থ মেয়ের মতো আপনার মেয়েরও নিয়মিত মাসিক হবে।
অনেক অনেক মেয়ে মাসিকের শুরুর প্রথম পর্যায়ে অনেক বেশি ওজন থাকে। অর্থাৎ যাকে বলে স্থূলতা। অতিরিক্ত ওজন বেশি হওয়ার কারণে ও মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। আবার অতিরিক্ত যারা রোগা তাদেরও দেরিতে মাসিক শুরু হয় এবং অনেক সময় মাসিক শুরু হওয়ার পরেও বন্ধ হয়ে যায়। ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন বন্ধও থাকতে পারে। জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হলো ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে।
নিয়মিত মাসিক হলে শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে। তবে অনিয়মিত পিরিয়ড বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবিবাহিত মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হওয়া একদমই ভালো লক্ষণ নয়। এরকম যদি কারো সাথে হয়ে থাকে তাহলে ততক্ষণ আর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এতে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই অধিকাংশ অনেক মেয়েদেরই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য বরাদ্দ চিকিৎসা
দাঁড়ায় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আপনার মেয়ের যদি অনিয়মিত মাসিক অথবা মাসিক শুরু হওয়ার পর মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান। অধিকাংশ মেয়ের এই সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যায়।