ছোট সোনামণিরা যখন অসুস্থ হয় তখন বাবা মায়ের মনে কোন শান্তি থাকে না। বাবা মায়েরা যাই করুক না কেন সব সময় তার সন্তানকে নিয়ে চিন্তা করে এবং চিন্তা করে তার সন্তানকে কোন ওষুধ খাওয়ালে সে দ্রুত সুস্থ হবে। এরকম দায়িত্ব পান বাবা-মা যারা আছে তারা অবশ্যই নিজের সন্তানকে অনেক বেশি কেয়ার করেন এবং নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সব সময় বিভিন্ন তথ্য জানা চেষ্টা করেন। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে আপনারা জানতে পারবেন সন্তানের সর্দি কাশি হলে এক্ষেত্রে কোন সিরাপ বা কোন ঔষধ খুব কার্যকরী।
আমরা আপনাদের ছোট্ট কিছু ঔষধ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব যেগুলো আমাদের নিজের সন্তানের জন্য আমরা ব্যবহার করি। এবারে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সরাসরি শিশুকে দেখা এবং চিকিৎসা দেওয়ার বড় বিকল্প কোন পদ্ধতি নেই। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকলে কিছু ধারনা পাবেন।
শিশুর সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা
সন্তানের সর্দি কাশির ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি তার প্রথম একটি উপাদান হচ্ছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতা একটি ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন পাতা এবং এই গাছটাকে সম্পূর্ণই ঔষধে গাছ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। নিজের সন্তানের শুকনো কাশি থেকে শুরু করে সর্দি ভালো করার জন্য অথবা শ্বাসকষ্ট ভালো করার জন্য তুলসী পাতার রস যথেষ্ট।
এছাড়াও আপনারা চাইলে নিজের সন্তানের সর্দি ভালো করার জন্য তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন অথবা সর্দি ভালো করার জন্য তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন অথবা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এই জিনিসগুলো সত্যিই উপকারী জিনিস এছাড়াও অনেকে ই সন্তানের সর্দি কাশি ভালো করার জন্য আরো কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে যেমন রসুন তেল গরম করে সন্তানের গায়ে মাখিয়ে দেওয়া কর্পূর তেল নিয়মিত মাখানো ইত্যাদি।
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ কোনটা ভালো
বাচ্চাদের কাশির সিরাপ সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে সাধারণত তিন থেকে চারদিনের কাশির জন্য যে সিরাপ ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সেরা একটি ওষুধের নাম হচ্ছে এমব্রক্স। এমব্রক্স সিরাপে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ফুসফুসে কাশি ভালো করতে সাহায্য করে। তবে এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আছে যেমন পেডিয়াম ইন থেকে শুরু করে এই ধরনের বিভিন্ন ধরনের কফ সিরাপ যেমন টোফেন ইত্যাদি ঔষধ গুলো নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাশির সঙ্গে যদি বাচ্চাদের বুকে শব্দ হয় সেই ক্ষেত্রে সালভিটামল বা ফেক্সো এই ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। যদি বাচ্চাদের বয়স ৬ মাসের উপর হয় সেই ক্ষেত্রে দীর্ঘ চিকিৎসার জন্য টোফেন সিরাপের সঙ্গে মোনাস ফোর এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। যাতে করে বাচ্চার একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট কমে যায় একই সঙ্গে বুকের শব্দটা কমে যায় এবং বাচ্চার সর্দিটাও কমে যায়। তবে এগুলো আমাদের নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করা কিছু কথা আপনারা নিজের সন্তানকে নিয়ে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
বাচ্চাদের সর্দি কাশি ভালো করার জন্য এন্টিবায়োটিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এর গুরুত্ব বেশি হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে সঠিক মাত্রা এন্টিবায়োটিক আপনাকে সুস্থ করতে পারে কিন্তু আপনি যদি সেই এন্টিবায়োটিকের মাত্রা সঠিক না খান তাহলে সেটা আপনাকে অসুস্থ করতে পারে তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সঠিক মাথায় বাচ্চাদের এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে পারে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক মাত্রায় এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন। বাচ্চাদের সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক এর মধ্যে মক্সিসিলিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক এবং এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক বেশি ব্যবহার করা হয়।