সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ

পৃথিবীতে নানা ধরনের জাতি ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে থাকে, সবাইকে নিয়ে আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করবো এটাই আমাদের চেষ্টা বা ইচ্ছা, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যেই জায়গায় মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকে তাকে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বলে। প্রত্যেকটি দেশেই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ একই জায়গায় বিভিন্ন ধর্ম উদযাপন করে বিভিন্ন ভাবে সেইখানে যদি শান্তি থাকে তাহলে আপনি সাম্প্রতিক যে সম্পত্তি বা ভাতৃত্ববোধ রয়েছে সেটা বিষয়ে সঠিকভাবে কথা বলা যায়।

আমাদের বাংলাদেশের নানা ধরনের ও নানা ধরনের মানুষ বসবাস করে, বাংলাদেশে হাজার বছরের ইতিহাসে এ যাবত পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মের বা জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে তেমন বড় কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়নি এদেশে রয়েছে প্রীতি ও ভালোবাসা। মানুষ সামাজিক জীব তাই মানুষ চাইলেও আলাদা থাকতে পারে না পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে নিজের বিপদ আপদ ও সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে এখন পর্যন্ত, এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বাংলাদেশ অনেক মানুষ বিভিন্ন জায়গায় জাত বর্ণ নির্বিশেষে একই জায়গায় বসবাস করে আসছে বিভিন্ন দিন ধরে। আপনারা যারা যেখানে বসবাস করেন না কেন সাম্প্রতিক সম্প্রীতি বজায় রেখে থাকবেন কেননা আপনি যদি একসঙ্গে বসবাস করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মিলেমিশে থাকতে হবে মিলেমিশে থাকার মাধ্যমেই আলাদা এক ধরনের শান্তি রয়েছে তাই চেষ্টা করবেন সব সময় মিলেমিশে থাকার।

ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামে বেশ কিছু শান্তির বিধান রয়েছে এই শান্তির বিধানে বলা হয়েছে প্রেম প্রীতি সর্দার কার্য আর শান্তি ও সম্পত্তির এক পরিমল বিশ্বজয়ী প্রতিষ্ঠা করা হলো ইসলামের মূল লক্ষ্য তাই অবশ্যই আমাদের ধর্ম কোন নির্বিশেষে সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবসময় বলেছেন যার ধর্ম নির্বিশেষে অবশ্যই আমাদের একসাথে মিলেমিশে থাকতে হবে তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করব একসাথে মিলেমিশে থাকার একসাথে মিলেমিশে থাকার মাধ্যমে আমরা অবশ্যই আমাদের অবশ্যই ইসলামের ওপর বিশ্বাস রেখে আমাদের সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে সবার সাথে মিলেমিশে থাকার মাধ্যমে আমরা সামাজিকদের সম্পত্তি রয়েছে সে সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারব।

পৃথিবীতে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গােষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের যে ভাব বিদ্যমান থাকে তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি । কোনাে দেশে শুধু একটি জাতিসত্তা ও ধর্মীয় সম্প্রদায় বাস করে না। আমাদের দেশেও নানা জাতি-গােষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে। বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি-গােষ্ঠীর মানুষ এদেশে এসে প্রীতির বন্ধনে | আবদ্ধ হয়েছে, রক্তের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তাই তাে আমরা সংকর জাতি।

আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কখনােই | সম্প্রদায়গত বিভেদ সৃষ্টি করেনি। বরং এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেই ধারণ করেছে। এক ধর্মের উৎসব-অনুষ্ঠানে অন্য ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে। ভালােবাসার বন্ধনে বাংলাদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বাঙালি, অবাঙালি আবদ্ধ । তারপরও কখনাে কখনাে স্বার্থান্ধ বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে এদেশের মানুষের একতার |

বন্ধনকে ছিন্ন করতে চেয়েছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এই মাটি, বায়ু, চন্দ্র, সূর্য, সুনীল সাগর মানুষকে যে উদারতা শিখিয়েছে তাই তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে রেখেছে। সাম্প্রদায়িক বিবাদ মানুষের জন্য অকল্যাণকর। বহু মানুষের রক্তক্ষরণ হয় সাম্প্রদায়িক বিবাদে। সাম্প্রদায়িক বিবাদে মানবতা পরাজিত হয়। সারা বিশ্বেই সাম্প্রদায়িক বিবাদে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় উন্নয়নের জন্যও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জরুরি। আমরা আমাদের দেশের উন্নতির জন্য, মানবতাকে রক্ষার জন্য, এদেশের নানা ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

 

 

 

Leave a Comment