সাধারণত অনেক মানুষ রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্যায় ভুগছেন। তবে সে সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে অথবা অন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু যাদের কাশি মাত্রা শুরু হয়েছে তারা কাশির ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে যে সকল তথ্য জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এ বিষয়গুলো এখানে উপস্থাপন করলাম। অর্থাৎ কাশি হলে কি ওষুধ খাব এই প্রসঙ্গে যারা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এই তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।
যদি ঠান্ডা জনিত কারণে আপনার কাশি শুরু হয়ে যায় এবং সেই কাশি যদি আস্তে আস্তে বেশি পর্যায়ে চলে যেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদিও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাশি সারাবার বিভিন্ন উপায় রয়েছে তারপরও আমরা সময়ের ক্ষেত্রে খুব একটা ধৈর্যশীল নয়। অর্থাৎ সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে আমরা কাশির সিরাপ খেয়ে থাকি অথবা কাশির ওষুধ নিয়ে থাকি। কাশি কমানোর জন্য আপনাদেরকে জ্বর থাকলে জ্বরের ওষুধের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট প্রদান করা হয় এবং সেটা যদি খুব বেশি হয়ে থাকে তাহলে সিরাপ প্রদান করে।
তবে কিছু কিছু ডিসপেন্সারের ডাক্তার রয়েছে যারা প্রথমেই ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কাশির উদ্দেশ্যে সিরাপ বা অন্যান্য ওষুধ প্রদান করে থাকে। তাই কাশি হয়ে থাকলে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন অথবা সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে আশা করি ভালো কাজ করবেন। তবে বর্তমান সময়ে কাশির ওষুধ হিসাবে অনেক সময় মন্টেলুকাস ১০ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ওষুধের মূল্য বিভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এবং গড় দাম হিসেবে ১৫ টাকা প্রতি পিস ধরা হয়।
আর যদি আপনি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কাশির ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে তাদের ওষুধে ওষুধ থাকা সাপেক্ষে এই ওষুধ আপনার সম্পূর্ণ ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। তাই যদি এই সমস্যা থেকে আপনারা মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ সেবন করতে পারেন। কাশি ও কফ যদি একসাথে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা স্কয়ার কোম্পানির এডোভাস খেতে পারেন। সেই সাথে বিভিন্ন সময় টোফেন গ্রহণ করা যেতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে রোগীর শরীরের অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা প্রদান করবে।
গলায় খুশখুশে কাশির ঔষধ
যদি গলায় হঠাৎ করে খুশখুসে কাশি অনুভব করতে পারেন তাহলে দেরি না করে আপনারা উক্ত উক্ত আদা চা করে খাবেন। দিনের মধ্যে ৩-৪ বার যদি আদা চা করে খেতে পারেন তাহলে সেটা শরীরের ভেতরে যেমন এনার্জি দেবে তেমনি ভাবে আপনার গলার খুসখুসে কাশি দূর হয়ে যাবে। তবে গরম লাগলো যতটা সম্ভব এসি অথবা ফ্যানের দূর এ অবস্থান করবেন। কারণ এটার কারণে আপনার সেই খুসখুসে কাশি আস্তে আস্তে কফ বাধাতে সাহায্য করবেন।
শুকনো কাশির ঔষধ সিরাপ
যদি শুকনো কাশি হতে হতে একটা সময় আপনার গলার বারোটা বেজে যায় অথবা মনে হয় গলার রগ ছিঁড়ে যাচ্ছে তাহলে অবশ্যই দেরি না করে কাশির সিরাপ গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমান সময়ের তুলসী তুসকা অ্যাডোভাস এবং বিভিন্ন কোম্পানির কাশির সিরাপ রয়েছে। তাই আপনার স্থানীয় ডাক্তারের দোকানে যে সকল ছেড়া পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে আয়ুর্বেদিক টাইপের সিরাপ গ্রহণ করলে সেখানে তুলসীর উপাদান এবং অন্যান্য উপাদান থাকবে বলে খুব দ্রুত কাশি সারাতে সাহায্য করবে।
কাশির ঔষধ স্কয়ার
স্কয়ার কোম্পানির কাশির যেমন ট্যাবলেট ওষুধ রয়েছে তেমনিভাবে সিরাপ ওষুধ রয়েছে। তবে যে কোন অসুখের ক্ষেত্রে আমরা ডাক্তারি না করে সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিলেই তারা তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমাদের ওষুধ প্রদান করতে পারবে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানতে পারলেন। দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যাতে করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে তখন জ্বর, সর্দি, কাশি এ বিষয়গুলো থেকে আমরা খুব সহজেই নিস্তার পাব।