অনলাইন ভিত্তিক যারা বর্তমান সময়ে ঢাকা ইনকাম করছেন তাদের জন্য সংবেদীবদ্ধ সতর্কীকরণের জন্য আমরা এটা বলতে চাই যে কোন ধরনের লেনদেন করবেন না। প্রথম অবস্থায় আপনাকে হয়তো ৫০০ বা ১০০০ টাকা দিয়ে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পরবর্তীতে আপনার থেকে যদি টাকা দাবি করে সেই টাকা উইথড্র করার কথা বলে তাহলে অবশ্যই সে ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রথমদিকে পেমেন্ট পেয়েছেন এবং পরবর্তীতে পেমেন্ট উত্তোলন করতে গেলে আপনার থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। এক ধরনের প্রতারক চক্র রয়েছে যারা এই ধরনের কাজগুলো করার মধ্য দিয়ে অনেক মানুষকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছেন।
তবে অনেকে আছেন যারা বেকারত্ব কে লাঘব করার জন্য অথবা ন্যূনতম হাত খরচ যোগানোর জন্য অনলাইন ভিত্তিক কোন কাজ করে টাকা ইনকামের প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে অনলাইনের কাজগুলো বর্তমান সময়ে এডসেন্সের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকার কারণে কোন একজন অ্যাপসের মালিক অথবা কোন একজন ওয়েবসাইটের মালিক আপনাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিলেও অনেক সময় পেমেন্ট করার কথা বললেও পেমেন্ট করার সময় আসলে ব্লক করে দেয়।
বিশ্বস্ত মাধ্যম ছাড়া কারোই কাজ করা উচিত নয় এবং এক্ষেত্রে টাকা জমা না দিয়ে যদি কেউ কাজ করিয়ে টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে দেখা যাচ্ছে যে সেটা খুবই ভালো একটা বিষয়। তাই অনলাইন ভিত্তিক কাজ করার মাধ্যমে আপনারা যখন বিকাশে পেমেন্ট নিতে চাইবেন তখন বলব যে বাংলাদেশে এরকম কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা কনটেন্ট লিখে নেওয়ার মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ন্যূনতম পেমেন্ট প্রদান করে থাকেন। তবে বিকাশের মাধ্যমে কাজ করে যদি আপনারা ইনকাম করতে চান তাহলে বলব যে বিকাশের ব্যবসা করতে হবে অথবা টাকা লেনদেনের কাজগুলো করতে হবে।
লোকজন ওঠাবসা করে এমন স্থানে আপনার যদি একটা দোকান থাকে এবং সেই দোকানে যদি আপনারা বিকাশের এজেন্ট হয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে কিন্তু খুব ভালো হয়। এক্ষেত্রে টাকা উত্তোলন করা এবং টাকা ক্যাশ ইন করা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনারা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট পাবেন। তাই অবসর সময় গুলোতে বসে না থেকে আপনারা যদি এগুলো করতে চান তাহলে দোকানে অন্যান্য ব্যবসার সাথে বিকাশের ব্যবসা করতে পারেন। আর এভাবে কিন্তু অনেক মানুষ ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন।
বাংলাদেশের টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এরকম অ্যাপসের জন্য বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক বিজ্ঞাপন আপনাদেরকে জানিয়ে দিল প্রকৃতপক্ষে তারা পেমেন্ট করে কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। ঘরে বসে তিন থেকে চার ঘন্টা ডিউটি করার মাধ্যমে মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকার ইনকাম করার লোভনীয় সুযোগ কিন্তু অনেকে গ্রহণ করতে চাই। কিন্তু কাজ শেষ করার পরে অনেকেই শূন্য হাতে ফিরে আসে অথবা তাদের আইডি ব্লক করে দেওয়া হয় বলে এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বাংলাদেশ
তাই টাকা ইনকাম করার অ্যাপস হিসেবে আপনারা যদি বিভিন্ন মাধ্যম কে বেছে নিতে পারেন তাহলে বলব যে নির্দিষ্ট অ্যাপসে কিভাবে টাকা ইনকাম করছেন সেগুলো টিউটোরিয়াল ভিডিও গুলো আপনারা যদি আপনাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজে শেয়ার করতে পারেন তাহলে সেটা অনেকে দেখার মাধ্যমে আপনার একটা টাকা ইনকামের ব্যবস্থা হতে পারে। তাছাড়া টাকা ইনকাম করার জন্য অ্যাপস এর নাম আপনাদের এখানে আমরা জানিয়ে দিলাম না। কারণ এগুলোর ভিত্তি নেই অথবা এগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় সময় নষ্ট হয়ে থাকে।
টাকা ইনকাম করে বিকাশ পেমেন্ট
টাকা ইনকাম করে যে বিকাশে পেমেন্ট পাবেন এবং যে ব্যক্তি অথবা যে প্রতিষ্ঠান আপনাকে পেমেন্ট করবে সেটা আসলে কতটা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান তা আগে দেখতে হবে। আর এ বিষয়গুলো যদি আসলেই বিশ্বস্ততার সঙ্গে করে থাকে তাহলে অবশ্যই লেনদেনের বেশি হয়েও যেন বেশি পরিমাণ পেমেন্ট জমা না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে মানুষজনের বিভিন্ন ধরনের খারাপ গুণাবলীর কারণে একজনের টাকা আরেকজন মিলে দিচ্ছে এবং অনলাইন ভিত্তিক এই কাজগুলোর ক্ষেত্রে কোন ধরা বাধার সুযোগ নেই বলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই প্রত্যেকটি কাজ সাবধানতা অবলম্বন করে করুন।