ক্ষার সম্পর্কে আমাদের সকলেরই সামান্য পরিমাণের হলেও অভিজ্ঞতা রয়েছে। কারণ বর্তমান সময়ে পরিষ্কারকের ভূমিকা পালন করে থাকে ক্ষার জাতীয় পদার্থ। অর্থাৎ যত ধরনের পরিস্কারক বস্তু রয়েছে পণ্য রয়েছে সকলের মধ্যেই বিভিন্ন পরিমাণে ক্ষার রয়েছে। তাই পরিষ্কার করার জন্য পরিষ্কার পণ্য সমূহ আমরা সকলেই আমাদের দৈনন্দিন কাজের বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করে থাকি।
অর্থাৎ প্রতিটা দিন আমাদের খাদ জাতীয় পণ্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। এখন বিষয় হল খাড়তো আমরা মোটামুটি ভাবে চিনলাম কিন্তু ক্ষারক কে এই বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। যদি কার এবং ক্ষারক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই ক্ষার এবং ক্ষারক এর মধ্যে যে পার্থক্যগুলো রয়েছে সেই পার্থক্যগুলো আমরা আপনাদেরকে এখান থেকে দেখাতে পারবো। আপনারাও বুঝে নিতে পারবেন খার এবং খারক এর মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্যগুলো রয়েছে।
ক্ষার
তাহলে সাধারণভাবে আমরা দেখলে দেখতে পাই যে, আর হলো একটি তিক্ত স্বাদ যুক্ত পদার্থ। অর্থাৎ যা পানির সাথে দ্রবীভূত হলে হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করে। আবার বলা যায় যে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় যদি একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুকে ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন প্রদান করে থাকে তবে তাকে ক্ষার বলে থাকে। অপরপক্ষে ক্ষার হচ্ছে ওই বস্তু যা ওই হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করে।
রসায়নবিদ লুইস এর মতে অম্ল ক্ষার তত্ত্ব অনুসারে তৃতীয় একটা তথ্য রয়েছে। তত্ত্বটি হলো- যার ভিত্তি হলো নতুন রাসায়নিক বন্ধন গঠন করা। লুইস এর তথ্য অনুসারে বলা যায় যে ক্ষার হচ্ছে ওই বস্তু যা নতুন বন্ধন এ এক জোড়া ইলেকট্রন দিতে পারে। ক্ষারের সংজ্ঞা সহ খার সম্পর্কে এতক্ষন আপনাদেরকে যথেষ্ট তথ্য তুলে ধরা হলো যাতে করে আপনারা ঘার সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। এখন আমরা চেষ্টা করব যে খারাপ কি সেই বিষয়টি আপনাদেরকে জানানো।
ক্ষারক
ক্ষার ক সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে, কারক সাধারণত একশ্রেণীর রাসায়নিক যৌগ, যা হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। যেমন ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড সমূহ ক্ষার । জলে দ্রবণীয় ক্ষারক যা হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে থাকে, তাকেই ব্রনস্টেড-লাউরি অম্ল-ক্ষার তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষার বলা হয়। কারকের অন্যান্য মতবাদ বা সংজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রন জোর দান, হাইড্রোক্সাইড আয়নের উৎস বা আরহেনিয়াস মতবাদ।
এসব রাসায়নিক যৌগ জলে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন অবমুক্ত করে থাকে এবং দ্রবণের পিএইচ মান প্রথম পানির চেয়ে বেশি অর্থাৎ সাত এর বেশি করে থাকে। আমরা সাধারণত যে সকল খারাপ সমূহ দেখে থাকি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, এমোনিয়া। এগুলো সাধারণভাবে ক্ষারক বলা হয়ে থাকে। তাহলে আপনারা এতক্ষণে খারাপ সম্পর্কেও বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করলেন। তাহলে দেখি কার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি সে বিষয়টি তুলে ধরা যাক।
ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য
ক্ষারক হলাে মূলত ধাতব অক্সাইড CaO বা হাইড্রোক্সাইড [NaOH, KOH, Ca(OH)₂, Al(OH)₃ ] । ক্ষারক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। এবার কথা হল ,কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না আর কিছু ক্ষারক আছে যারা দ্রবীভূত হয় । যে সব ক্ষারক(Base) পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাদেরকে বলে ক্ষার বা অ্যালকালি(Alkali)। তাই আপনারা আমাদের এখান থেকে খাট এবং ক্ষারকের পার্থক্যগুলো অবশ্যই খুব সহজে বুঝে নিতে পারলেন।
তাই আপনারা যদি এ ধরনের যাবতীয় কিছু তথ্য আমাদের এখান থেকে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা বারবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করি। কারন আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্যগুলি প্রয়োজন হয় সেই তথ্যগুলি তুলে ধরার। তাই আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনারা সব ধরনের তথ্যই সবার আগে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যেতে পারবেন।