ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেওয়ার পরে আপনাদেরকে অনার্সে ভর্তি হতে হয় অথবা নিজস্ব কলেজগুলোতে ডিগ্রিতে ভর্তি হতে হয়। আবার যাদের ক্লাস করার সম্ভাবনা কম থাকে তারা অবশ্যই ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারেন এবং পরীক্ষার সময় শুধু পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে কম বেশি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির ব্যাপারে কড়াকড়ি করে নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। তবে এ সকল বিষয় আলোচনা না করে শুধু জানিয়ে দেবো ডিগ্রী এবং অনার্সের মধ্যে পার্থক্য কি এবং কোনটার মান বেশি। সেই সাথে আপনাদের যদি এ প্রসঙ্গে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে লিখে জানান।
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পরেই আপনারা যারা ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হতে চান তারা যে কোন কলেজে চাইলেই ভর্তি হতে পারবেন। তবে অনার্স করছে যদি আপনি সরকারি কলেজ অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কলেজগুলোতে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই আপনি ডিগ্রি যে কোন কলেজে ভর্তি হতে চাইলেও আপনি যদি নাম করা প্রতিষ্ঠানে অনার্স কোর্স করতে চান তাহলে আপনার এসএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল অবশ্যই ভালো হতে হবে।
ডিগ্রী কোর্স হয়ে থাকবে তিন বছরের এবং অনার্স কোর্স হয়ে থাকবে চার বছরের। সাধারণত বিষয় ভিত্তিক অনার্স কোর্স করার সুযোগ থাকে বলে এ বিষয়ে আপনারা পরবর্তীতে মাস্টার্স অথবা অনার্স কোর্স করার পর যে কোন চাকরিতে আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি প্রথম শ্রেণীর বিসিএস এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে অনার্স শেষ করার পরেই আবেদন করার সুযোগ পেয়ে থাকবেন।
কিন্তু আপনি যদি ডিগ্রী কোর্স করতে চান তাহলে আপনাকে তিন বছরের এই কোর্স করার পর এক বছর প্রিভিয়াস মাস্টার্স করতে হবে এবং এক বছর মাস্টার্স ফাইনাল করতে হবে। অর্থাৎ মাস্টার্স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আপনার এই পদে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাহলে সেই হিসাব অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে ডিগ্রী কোর্সের ক্ষেত্রে আপনি পাঁচ বছরের মাথায় বিসিএস আবেদন করতে পারবেন এবং অনার্স কোর্সের ক্ষেত্রে চার বছরের মাথায় আবেদন করতে পারবেন।
ডিগ্রি সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রী কোর্স করার ব্যবস্থা থেকে থাকলেও অথবা শিক্ষকের প্রতুলতা থেকে থাকলেও অনার্স কোর্স করার ব্যবস্থা থাকে না। অনার্স কোর্সের জন্য বিষয় ভিত্তিক আলাদা শিক্ষক লাগে এবং এই শিক্ষক আলাদাভাবে যদি নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে অনার্স পড়ানো যায়। কিন্তু ডিগ্রী পড়ানোর ক্ষেত্রে আপনারা যে কোন বিভাগ থেকে পড়াশোনা করতে পারবেন এবং ইন্টারমিডিয়েটে যে বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই বিভাগের বেশ কয়েকটি বিষয় আপনাদেরকে পড়া লাগবে। সেখানে বাংলা ইংরেজি পড়ার সুযোগ থাকলেও আপনি যখন অনার্স করবেন তখন সেই বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে পড়ানো হবে।
অনার্স কি কি বিষয় আছে
সাধারণত আপনি যখন ৯/১০ এ অথবা ইন্টারমিডিয়েটে যে সকল বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সে সকল বিষয়েই আবার অনার্সে পেয়ে যাবেন আলাদাভাবে পড়ার জন্য। তাছাড়া অনার্সে পড়ার জন্য বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো বিদেশি থেকে আমরা ধারণা অর্জন করে সে অনুযায়ী পড়িয়ে থাকে অথবা পড়তে পারি। কমবেশি প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই অনার্স কোর্স পড়ার জন্য বিভিন্ন বিষয় থেকে থাকলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে আরো বেশ কয়েকটি সাবজেক্ট অতিরিক্ত সংযুক্ত করা হয়। কারণ নতুন ফ্যাকাল্টিতে নতুন বিষয়ে পড়ানো হলে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থীরা উচ্চতার শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখতে পারবে।
ডিগ্রী পাস করার পর কি পড়া যায়
ডিগ্রির পর যদি আপনি পড়াশোনা করতে চান তাহলে হয়তো আপনাকে মাস্টার্স করতে হবে। পড়াশোনার ভেতরে আপনারা ডিগ্রী পড়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটা কলেজে প্রিভিয়াস মাস্টার্স এর ফরম তুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলে এক বছর প্রিভিয়াস মাস্টার্স করবেন। এটা সম্পন্ন হয়ে গেলে নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে আপনাকে মাস্টার্স করার সুযোগ দেওয়া হবে এবং সে বিষয়ে আপনি মাস্টার্স এর জন্য আরও এক বছর করতে পারবেন। মাস্টার্স শেষ হয়ে গেলেই বাংলাদেশের একাডেমিক পড়া শেষ হবে এবং আপনি যদি দক্ষতা অর্জনের জন্য আরো কোন কোর্স করতে চান তাহলে সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।