DNA ও RNA হলো বংশগতির নির্ধারক। ডিএনএ এবং আরএনএ সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকলেরই এই জিনিসের উপর প্রাথমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। জিন হলো বংশগতি নির্ধার। মানব দেহ থেকে জিন রূপান্তরিত হয় বংশধরের মধ্যে। এজন্য বংশের ধারা বজায় থাকে। সন্তান-সন্ততি পিতা মাতার মতো দেখতে হয়।
ডিএনএ এবং আরএনএ দ্বারা এই বংশগতি নির্ধারণ করা হয়। যারা সায়েন্সের স্টুডেন্ট তারা ডিএনএ এবং RNA সম্পর্কে জানতে পারে। কিন্তু যারা, অন্য বিভাগের স্টুডেন্ট তারা এই ডিএনএ এবং RNA সম্পর্কে জানতে পারে না। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ টপিকের ওপর আমাদের সকলেরই জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এজন্য আজকে আমরা ডিএনএ এবং
আর এন এ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
প্রথমে আমরা জেনে নেব ডিএনএ কি।
(DNA) ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষণ।
ডিএনএ হলো একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা জীবদেহের ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের মধ্যে ডিএনএ জিনোম থাকে।
এদের কিছু ব্যতিক্রম ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে। তবে, এই ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না।
কোষে DNA এর প্রধান কাজ হলো দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করা। জিনোমকে অনেক সময় নীলনকশার সাথে তুলনা করা হয়।
কারণ, এতে কোষের বিভিন্ন অংশ থাকে। যেমন – আরএনএ অণু, প্রোটিন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশবলী থাকে।
ডিএনএ এর যে অংশে জিনগত তথ্য বহন করে তাকে জিন বলে। কিন্ত অন্যান্য ডিএনএ জিনগত তথ্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
DNA হলো একটি অনু যা কোনো জীবের বিকাশ, বাঁচাতে বা পুনরূতপাদন করার প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ধারণ করে।
এই নির্দেশাবলী গুলো প্রত্যেকটি কোষের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এর মাধ্যমে পিতা মাতার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানদের দেওয়া হয়।
তাই, বলা যায় ডিএনএ হলো এমন এক ধরনের নিউক্লিক এসিড যা ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনের রাসায়নিক একটি রূপ।
এবার আমরা আরএনএ সম্পর্কে জানব।
রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্তকরণে আরএনএ বা RNA) হল একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা সরাসরি প্রোটিন সংশ্লেষণের সাথে জড়িত এবং যার পলিনিউক্লিয়োটাইডের মনোমার এককগুলোতে গাঠনিক উপাদানরূপে রাইবোজ শুগার ও অন্যতম বেস বা ক্ষারক হিসেবে ইউরাসিল থাকে।
RNA-এর প্রধান ভূমিকা হল প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিএনএ থেকে নির্দেশাবলী বহনকারী একটি বার্তাবাহক হিসাবে কাজ করা। আরএনএতে শুগার রিবোজ, ফসফেট এবং নাইট্রোজেনাস বেস অ্যাডেনাইন (এ), গুয়ানিন (জি), সাইটোসিন (সি), এবং ইউরাসিল (ইউ) রয়েছে। ডিএনএ এবং আরএনএ নাইট্রোজেনাস বেস এ, জি এবং সি ভাগ করে নেয়, থাইমিন সাধারণত ডিএনএতে উপস্থিত থাকে এবং ইউরাসিল সাধারণত আরএনএতে উপস্থিত থাকে।
ডিএনএ এবং আরএনএ উভয়ই নিউক্লিক অ্যাসিড যা পরিপূরক ভাষা হিসাবে নিউক্লিওটাইডের বেস জোড়া ব্যবহার করে। প্রতিলিপি চলাকালীন আরএনএ পলিমেরেজ ডিএনএ সিকোয়েন্সটি পড়ে একটি পরিপূরক, অ্যান্টিপ্যারালাল আরএনএ স্ট্র্যান্ড অনুলিপি করে, যাকে প্রাথমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বলা হয়।
বর্তমানে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় কে কার সন্তান। সমাজে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয়েছে। মানবদেহের যে কোন অংশ দিয়ে ডিএনএ টেস্ট করানো সম্ভব। যেমন চুল, দাঁত, নখ ,ব্লাড সাম্পল যেকোনো চিহ্ন দিয়ে ডিএনএ টেস্ট করানো সম্ভব। ডিএনএ নকশা চিহ্নিত হয়ে যায় বংশগতি জিন। এভাবে শনাক্ত করা যায় একজনের বংশধরকে। বর্তমানে ডিএনএ টেস্ট সচরাচর করানো হচ্ছে।
একটি খুবই স্বল্প পরিসরে করানো হয়। আমরা অনেকেই ডিএনএ টেস্ট এই নামটি শুনেছি কিন্তু,DNA আসলে কি তা আমরা জানি না। অনেক মানুষ আছে যারা সত্যিই এই ডিএনএ এবং RNA সম্পর্কে জানেনা। তাদের জন্য মূলত আমরা সহজ ভাষায় এই আর্টিকেলটি সাজিয়ে রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ টপিকের ওপর জ্ঞান অর্জন করতে নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।