পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য

পেশা ও বৃত্তি দুটোর উদ্দেশ্য মূলত একই। আর এটা আমরা সবাই সেবা প্রদান হিসেবে কাজ করি। তবে আপনি যদি পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে পেশা ও বৃত্তি মূলত কি তাহলে আপনি এই দুটো জিনিসের পার্থক্য সঠিক ভাবে বুঝে নিতে পারবেন। তবে আমরা অনেকেই পেশা ও বৃত্তির মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাই। তবে কি ধরনের পার্থক্য তা আমরা অনেকেই জানিনা আর এই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই।

তাহলে আপনি কি পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য সঠিক ভাবে জানেন না তাই এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি বলব আমাদের আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দেবো পেশা ও বৃত্তির মধ্যে সঠিক পার্থক্য। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের পুরো আলোচনাটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি পড়ুন তাহলে আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে। চলুন তাহলে জানা যাক এই সম্পর্কে।

আমরা হয়তো অনেকে একটি বিষয় সম্পর্কে জানি না মানুষ কাজের মাধ্যমে তাদের যে জীবিকা সেটা নির্বাহ করে থাকে তাকে পেশা বলে। এ দৃষ্টিকোণ হতে পেশাও একটি বৃত্তি। আর পেশা এবং বৃত্তিকে অর্থগত ভাবে ভিন্ন ভিন্ন করা হলেও মূলত তাদের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য পাওয়া যায়। তবে মৌলিক পার্থক্য গুলো অনেকেই আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না এই মৌলিক পার্থক্য গুলো কি হতে পারে। সুতরাং পেশা ও বৃত্তির মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও এদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আর অনেকেই আমরা সেই পার্থক্য গুলো জানি না। চলুন জেনে নেয়া যাক এসব বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য গুলো সম্পর্কে।

পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য

পেশা ও বৃত্তির অনেক পার্থক্য রয়েছে তবে আমরা অনেকেই এই পার্থক্য গুলো সঠিকভাবে জানি না। অনেকে অনেক চেষ্টা করার পরেও বুঝে উঠতে পারে না এই দুটি বিষয়ের মধ্যে কি পার্থক্য না বোঝার কারণ এই দুটি বিষয়ের একে অন্যের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে সম্পর্ক যুক্ত। আপনারা যারা এই দুটি বিষয় পার্থক্য জানেন না তাদের জন্য আমরা এখন আপনাদের কে জানিয়ে দেবো পেশা ও বৃত্তির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়টি সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে দেখে নেয়া যাক পার্থক্য গুলো কি হতে পারে।

১. পেশা ও বৃত্তির সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো পেশা হল কাজের একটি ক্ষেত্র যা সফল ভাবে পেশাদারি কৃত হয়েছে। আর অন্যদিকে মানুষ তার জীবন ধারণের জন্য যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে তাকে বৃত্তি বলা হয়।

২. মূলত পৃথিবীতে প্রত্যেকটি পেশারই একটি নিজস্ব জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে। যেমন শিক্ষকতা। তবে বৃত্তির কোন সু সংঘটিত কোন ধরনের জ্ঞান ভান্ডার নেই। আর এর জন্য শিক্ষার কোন প্রয়োজন হয় না। যেমন ধরা যাক কুলি।

৩. একজন পেশাদার ব্যক্তিকে অনেক ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হয়। অন্যদিকে বৃত্তির জন্য ব্যবহারিক কোন ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না।

৪. আমরা যারা পেশাদার কর্মের দায়িত্ব পালন করি তাদের ক্ষেত্রে কর্মীদের নিজ নিজ পেশায় দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আর জবাব দিহিতাও রয়েছে।অন্যদিকে বৃত্তিধারী ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারে তার কাজের জন্য কোন জবাবদিহিতা নেই।

৫. যুগের সাথে সাথে পেশাগত কাজ গুলো প্রযুক্তিগত হয়ে পড়ে। আর বৃত্তির যে কাজ গুলো রয়েছে সে কাজ গুলো প্রযুক্তিগত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে এরকম কোন বিষয় সেক্ষেত্রে নেই।

৬. কোন পেশাদার ইচ্ছা করলে তার পেশা পরিবর্তন করতে পারে। অন্যদিকে বৃত্তি সহজে পরিবর্তন করা যায় না। যেমন একজন শিক্ষক চাইলে সে অন্য যেকোনো চাকরি করতে পারে। তবে একজন দিনমজুর চাইলে শিক্ষক হতে পারে না।

Leave a Comment