জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য

আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এখানে স্পষ্টভাবে এবং সহজ ভাবে প্রত্যেকটা বিষয় তুলে ধরা হবে। তাই শিক্ষার্থী হিসেবে অথবা আপনাদের পরীক্ষা এরকম ধরনের প্রশ্ন আসার জন্য ভালোমতো প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো আপনাদের অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করি। তাই নিচের দিকে এটার সংজ্ঞাগত পার্থক্য থেকে শুরু করে উদাহরণ অথবা বিভিন্ন আঙ্গিকে এগুলো কেমন ধরনের হয়ে থাকে তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

জাতি ও জাতীয়তা সম্পর্কে যখন আপনারা পার্থক্য খুঁজে পেতে চাইবেন তখন সর্ব প্রথমে আগে এই দুইটি কি জিনিস তা বেসিকভাবে বুঝে নিতে হবে। তাই সেই অনুযায়ী আপনাদেরকে যখন আমরা সংজ্ঞা প্রদান করতে চলেছি তখন এটা বলব যে জাতি বলতে যখন মানুষের সমষ্টিকে বোঝানো হবে তখন সেটাকে জাতি বলা হবে। তবে শুধু মানুষের সমষ্টি থাকবে না বরং সেই সকল মানুষদের ভেতরে স্বাধীনতার চেতনা থাকবে এবং রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

আবার জাতি যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে বলব যে বংশোদ্ভূত ইতিহাস অথবা অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে যখন বিশাল একটা মানুষের সংস্থা তৈরি হবে তখন সেটাকে নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের জাতি বলে বিবেচনা করা হবে। আর যদি জাতীয়তার সংজ্ঞা জানতে চান তাহলে বলবো যে যখন একটা নির্দিষ্ট জাতির ভেতরে বিশেষ অবস্থা বোঝাবে অথবা তাদের অন্তর্গত যে সকল বিষয়গুলো উঠে আসবে তখন সেটাকে জাতীয়তা বলা হবে। তাই আপনারা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো পড়ুন এবং আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবো বলে নিশ্চয়তা প্রদান করছি।

আপনারা যদি এটার পার্থক্য জানতে চান তাহলে বলব যে জাতি হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটাতে আপনি বাস্তব সক্রিয় ধারণা পেয়ে যাবেন। কিন্তু আমরা যদি জাতীয়তার বিষয়ে কথা বলি তাহলে সেটা এক ধরনের মানসিক অনুভূতি হিসেবে বিবেচিত হবে। জাতি একটা সুসংগঠিত আদর্শ হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত এবং এটাকে সকলেই চিনে থাকে। অপরদিকে জাতীয়তা হল কিছু বোধ অথবা অনুভূতির সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এক অন্য ধরনের মানসিক অনুভূতি। আমরা যদি জাতির কথা বলি তাহলে দেখা যাবে যে সেখানে চেতনার সমন্বিত রূপ থাকবে এবং নির্দিষ্ট কোন অস্তিত্বকে স্থায়িত্ব প্রদান করার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

জাতীয় জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে কোনটি

অন্যদিকে যদি আমরা জাতীয়তার কথা বলি তাহলে দেখা যাবে যে এটা হল কোন মানুষের চেতনার এক ধরনের প্রাথমিক অবস্থা। তাছাড়া জাতি সম্পর্কে যে ধারণা প্রদান করা হয়েছে তা অতি প্রাচীন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি মতবাদ প্রদান করে গিয়েছেন। অপরদিকে জাতীয়তার কথা বললে আমরা বলব যে ম্যাকিয়াভেলি ব্যতীত আধুনিকভাবে কেউ জাতীয় তার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেনি।

জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর

একটি জাতি গঠনের জন্য জন সমাজের যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি ভাবে রাজনৈতিক সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। আবার জনসমাজের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংগঠন এমনভাবে কাজ করবে যাতে করে সেখানকার স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। অপরদিকে জাতীয়তার সমষ্টি যদি আমরা আলোচনা করি তাহলে বলব যে এখানে জন সমাজের সক্রিয় ধারণা থাকতে হবে এবং রাজনৈতিক চেতনা থাকলেই হয়ে যাবে। এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা জাতি এবং জাতীয়তা সম্পর্কে বুঝতে পারলেন বলে মনে করি।

জাতীয় জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য কি কি

উপরের দিকের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা এ সংক্রান্ত বিষয় বুঝতে পারলেন এবং এ প্রসঙ্গে আপনাদের যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন। একটি জাতি তৈরীর জন্য স্বতন্ত্র সংস্কৃতি থাকা লাগবে এবং ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারণ করা লাগবে। জাতীয়তার বিষয়ে যে সকল মানসিক অনুভূতির বিষয়গুলো উঠে আসে তাতে করে বাস্তবতার ছোঁয়া সেখানে খুব কম থাকে। অর্থাৎ আমরা যেহেতু বাঙালি সে হিসেবে আমরা কিন্তু একটা বাঙালি জাতি হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। আর আমাদের এই জাতির ভিত্তিতে কিন্তু জাতীয়তা ফুটে উঠেছে এবং আমাদের জাতীয়তা হল বাংলাদেশী।

Leave a Comment