আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে যে একটি গভীর পার্থক্য রয়েছে সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা অনেকেই জানতেও পারিনা। তবে যারা আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়বেন তারা আবহাওয়া ও জলবের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আপনারা যদি আমাদের
আজকের এই প্রবন্ধটি পড়েন তাহলে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্যটি আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য সম্পর্কে অনেক প্রশ্নই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় আসে এবং শিক্ষার্থীরা এ সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রদান করে। আমরা আজকে আবহাওয়া ও জলবের সংজ্ঞা সহ সকল তথ্যই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এটা উপলব্ধি করতে পারবেন।
আবহাওয়া: আবহাওয়া বলতে বোঝায় কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুর উষ্ণতা আদ্রতা বায়ুচাপ বায়ু প্রবাহ মেঘাচ্ছন্নতা প্রভৃতিকে।
জলবায়ু: কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
পরিবর্তনশীলতা পার্থক্য:
আবহাওয়া প্রতিদিন এমনকি প্রতিমুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া প্রাত্তাহিক জীবনে ঘন্টা ব্যবধানে পাল্টে যেতে পারে অন্যদিকে কোন স্থানে জলবায়ুর দীর্ঘ সময়ে ব্যবধানে পরিবর্তন হয়ে থাকে। আবহাওয়া যেমন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় ঠিক তেমনি ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হয়। তবে একটি দীর্ঘকাল সময় পরে আবহাওয়া মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন হতে দেরি হয়ে যেতে পারে। যেমন শীতের সকালে আপনারা উষ্ণ আবহাওয়া পাবেন তবে শীতের দুপুর বেলা কিছুটা গরম অনুভূত হতে পারে আবার সেই সাথে গ্রীষ্মকালের সকালেও কিছুটা ঠান্ডা লাগলেও দুপুরের দিকে এতটাই গরম লাগে যে নিজেদেরকে ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিস্তার এর পার্থক্য:
আবহাওয়া অল্প পরিসরে স্থানে বিস্তৃতি হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি স্থানের মধ্যে আবহাওয়া গত অনেক পার্থক্য থাকে। তবে অন্যদিকে জলবায়ু একটি বিশাল পরিসরে বিস্তৃত থাকে। কোন কোন একটি দেশের অন্তর্গত সমস্ত স্থানের জলবায়ুর একই রকমের হয়ে থাকে। এ থেকে বোঝা যায় যে আবহাওয়া খুব বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করতে পারে না তবে অন্যদিকে জলবায়ু দীর্ঘ এলাকা জুড়ে দীর্ঘ স্থান জুড়ে বিস্তার লাভ করতে পারে।
উপাদানগত পার্থক্য:
আবহাওয়ার প্রধান উপাদান গুলো হল উষ্ণতা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, মেঘাচ্ছন্নতা, প্রকৃতি। এ সকল উপাদানগুলোর দ্বারাই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। সকল উপাদান গুলো দাঁড়ায় ব্যবহার পরিবর্তন নির্ণয় করা হয় নির্ধারণ করা হয়। অন্যদিকে জলবায়ু প্রধান দুটি উপাদান হলো তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের উপরে নির্ভর করেই আবহাওয়া পরিবর্তন নিশ্চিত করা হয়।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রভাব:
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার প্রভাব অনেক বেশি। আবহাওয়া প্রভাবের ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের সুবিধা অসুবিধা সমস্যার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে জলবায়ু সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন প্রণালী কৃষিকাজ উদ্ভিদের প্রকৃতি মানুষের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা প্রকৃতির উপরে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে।
আবহাওয়া সম্পর্কে অধ্যায়ন আবহবিদ্যা বা meteorology বলা হয়।
জলবায়ু সম্পর্কে অধ্যায়ন কে জলবায়ু বিদ্যা বা climatology বলা হয়।
সম্মানিত শিক্ষার্থীবৃন্দ, আপনারা আবহাওয়া এবং জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য যারা চেয়েছেন তাদের জন্যই আমাদের এই প্রবন্ধটি সাজানো হয়েছে। আপনারা উপরে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পার্থক্যটি দেখেছেন। এই পার্থক্যটি আপনারা যে কোন জায়গায় যে কোন স্থানে এমনকি যে কোন মুহূর্তে ব্যবহার করতে পারবেন। আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য এভাবেই আপনারা আপনাদের শিক্ষার্থী জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন যেকোনো সময়।
আবহাওয়া ও জলবের পার্থক্য সম্পর্কে যদি আরো কোন কিছু জানতে চান তাহলে আমাদের প্রবন্ধে আসুন। আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের যে সকল তথ্য গুলো দেওয়া হয়েছে এসব তথ্যের বিপরীতে আরো অনেকগুলো তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে সে সকল তথ্যগুলো আমরা সরাসরি আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। আপনারা চাইলে এই সকল প্রবন্ধগুলো আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।