যারা গাঁজা খেয়ে থাকেন অথবা যাদের গাঁজা খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে তারা অবশ্যই খুব দ্রুত এই অভ্যাস ছেড়ে দিবেন। কারণ এটা আপনার শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ভাবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে। যেহেতু গাজা নেশা জাতীয় দ্রব্য এবং এটা গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ হাদিস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে সেহেতু আপনারা এটা থেকে দূরে থাকতে পারলেই সকল দিক থেকে মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগত্য করতে পারবেন।
আপনি একদিকে গাজাও খেলেন আবার একদিকে ইবাদতও করলেন তাহলে সেটা কখনোই ইবাদতের পর্যায়ে পড়বে না। তাই এতদিন যা করেছেন তা করেছেন এবং বর্তমান সময়কে মূল্যায়ন করে আমরা যদি সকল দিক থেকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের তওবা করে এখনই ফিরে আসা উচিত। যারা জানতে চেয়েছেন গাঁজা খেয়ে থাকলে 40 দিন কি শরীর নাপাক থাকে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে শরীর নাপাক থাকার বিষয়ে আলাদা। অর্থাৎ আপনি গাঁজা খেয়ে থাকেন অথবা পাপকর্ম করে আসেন গোসল করার সাথে সাথে আপনার শরীরের যে নাপাক ভাব সেটা চলে যাবে।
তাই নাপাক সম্পর্কে এখানে আমরা বলব যে নাপাক সেটাকেই বলা হয়ে থাকে যেটার মাধ্যমে আপনার শরীর অপবিত্র থাকে। তাই গাজা খাওয়ার মাধ্যমে যে আপনার শরীর 40 দিন নাপাক থাকবে এরকম কোন বিষয় উল্লেখ নেই। তবে আপনি যদি গাঁজা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইবাদত-40 দিন কবুল হবে না কারণ এটা একটা নেশা জাতীয় দ্রব্য। তাই গাঁজা খাওয়ার অথবা সিগারেট হোক অথবা যেকোনো ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য হোক সকল দ্রব্য হারাম করে দেওয়ার জন্য এগুলো বাদ দেওয়াটাই সবচাইতে ভালো।
যেহেতু মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্য এই পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি করেছেন সেহেতু ইবাদত বন্দেগী করতে হবে এবং সঠিক পথে জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি ভেবে থাকেন তাহলে এই গাঁজা আপনার শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি ভাবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে দিবেন। সেই সাথে আপনার ইবাদত ঠিকঠাক মতো মনোযোগ দিয়ে হবে না এবং সকল দিক থেকে আপনি আস্তে আস্তে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এক নতুন অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে আপনার জীবনকে পরিচালনা করবেন।
গাঁজা খেলে কি নামাজ হয় হয়
তাই গাজা খেলে কি নামাজ হয় অথবা গাঁজা খেলে কি শরীর 40 দিন নাপাক থাকে এ প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে নেশা জাতিরও দ্রব্য গ্রহণ করার পর 40 দিন আপনাদের এবাদত কবুল হবে না। তবে আপনি যদি তাৎক্ষণিক গাঁজা ছেড়ে দিতে পারেন এবং অন্যান্য নেশা দ্রব্য ছেড়ে দিতে পারেন এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসতে পারেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক আপনাকে কবুল করে নিবেন। তবে কবুল করে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে তওবা করতে হবে এবং এই তওবা এমন ভাবেই হতে হবে যে আপনি ক্ষমা না পাওয়া পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইতে থাকবেন।
গাঁজা খেলে কি কি ক্ষতি হয়
যেহেতু আপনি গাজা খেলে কি কি ক্ষতি হয় তা জানতে এসেছেন সেহেতু বলবো যে এটা হয়তো সাময়িক মানসিক উত্তেজনার সৃষ্টি করল অথবা এটা খাওয়ার পর আপনাদের ভালো লেগে থাকলে এটা আজীবনের জন্য কোন ভাল লাগার সমাধান নয়। প্রত্যেকটা নেশা জাতীয় দ্রব্যই মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের শরীর ও মনকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করছেন তেমনি ভাবে আপনার জীবনের সঙ্গে যাদের জীবন জড়িত তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গাজার প্রভাব কতদিন থাকে
গাঁজা একটা নেশা জাতীয় দ্রব্য হওয়ার কারণে এটার প্রভাব কতদিন থাকে অথবা অনেক সময় ড্রপ টেস্ট করার ক্ষেত্রে গাজার প্রভাব কতদিন পরেও শরীরে পরিলক্ষিত হয় এ প্রসঙ্গে অনেকেই জানতে চান। তাই সকল ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে যদি বেরিয়ে আসার এক মাসের মধ্যে আপনারা কোন ধরনের ঢোপ টেস্ট করেন তাহলে আশা করি আপনাদের শরীর থেকে সে সকল বিষক্রিয়া দূর হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।