যাদের ইমু সফটওয়্যার প্রয়োজন তারা ডাউনলোড করার জন্য বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ডাউনলোড করবেন সে প্রসঙ্গেই আজকে আলোচনা করব। মোবাইল ফোনে যে সকল নাম্বারগুলো সেভ রয়েছে সেই নাম্বারগুলোর সাথে আপনারা সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন এই ইমো সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে অথবা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইমু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাকে যদি কেউ ইমু সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলে তাহলে সেটা ডাউনলোড করার জন্য নিচের উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন।
বাংলাদেশ থেকে যে সকল প্রবাসী অন্যান্য দেশে গিয়ে থাকেন সে সকল দেশের প্রাইভেসি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে ইমু সফটওয়্যার সবচাইতে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই যে কোন প্রয়োজনে আপনার যদি যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য অথবা পারিবারিকভাবে দেশের ভেতরে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য মোবাইল ফোনে মিনিট কিনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করার চাইতে ইমুতে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে ইমু অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে শুধু নাম্বার সেভ করার মাধ্যমে খুব সহজেই অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন এবং যোগাযোগ করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি নতুন ফোন কিনে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করার বিষয় একেবারেই যদি পারদর্শী না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এখানকার এই তথ্যগুলো জেনে নেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই ইমো সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন। এটা ডাউনলোড প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ এবং সেখানে আপনারা খুব সহজেই একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আপনার ফোনে সংরক্ষিত থাকা প্রত্যেকটি ইমু একাউন্ট সংযুক্ত হয়ে যাবে। তাই নিচের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা ইমু সফটওয়্যার খুব সহজে ডাউনলোড করে নিন এবং আশা করি আপনাদের এই নিয়মটি অত্যন্ত সহজ বলে মনে হবে।
যদি আপনি প্রথমবারের মতো android হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই হ্যান্ডসেটকে পরিচালনা করার জন্য অথবা যেখান থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন সেখানে গিয়ে ডাউনলোড করার জন্য একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে। বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটা ফোন কোম্পানি ফোনের ভেতরে জিমেইল নামক একটা অপশন দিয়ে দিচ্ছে। তাই সেখানে গিয়ে আপনারা নিজেদের নাম, ফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ, এর পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। অর্থাৎ সেখানে পরিপূর্ণ ভাবে একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলেই আপনি আপনার ফোনে থাকা প্লেস্টোরে গিয়ে লগইন করতে পারবেন।
আপনি চাইলে অন্য ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করেও এখানে লগইন করার সুযোগ পাবেন। তাই খুব সুন্দরভাবে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার পরে যখন প্লে স্টোরে প্রবেশ করবেন তখন লগইন সম্পন্ন করার পর আপনাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার চলে আসবে। আপনার যেহেতু ইমু সফটওয়্যার প্রয়োজন সেহেতু আপনারা ইংরেজিতে ইমো লিখে সার্চ করলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ইমো সংক্রান্ত অ্যাপস চলে আসবে। তাই যেটা রেটিং ভালো এবং যেটা জেনারেল ইমো অ্যাপস সেটা ডাউনলোড করে নিবেন।
ডাউনলোড করে নেওয়ার পর আপনারা কোন ফোন নাম্বার দিয়ে ইমু একাউন্ট খুলতে চান তা সেখানে দিয়ে দিলেই আপনাদের ফোনে একটি otp কোডের এসএমএস আসবেন। সেই ৬ ডিজিটের otp কোড এর এসএমএস ফোনের নির্দিষ্ট একটা স্থানে বসিয়ে দেওয়ার পরে যখন ইমু একাউন্ট পুরোপুরিভাবে ওপেন হয়ে গেল তখন সেখানে গিয়ে আপনারা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার থেকে শুরু করে নাম অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কিছু সেট করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনার ফোনে থাকা বিভিন্ন ধরনের নাম্বারের ভেতরে যারা ইমু খুলে ব্যবহার করে থাকেন তাদের নাম্বার গুলো সেখানে প্রদর্শন করা হবে অথবা আপনারা চাইলে অন্যকে ইনভাইট করতে পারবেন। এভাবে খুব সহজ নিয়ম অনুসরণ করে ইমু একাউন্ট খোলা যায় এবং ডাউনলোড করার ক্ষেত্রেও প্লে স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করা যায়। আশা করছি যে এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা ইমু সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মানুষের সাথে অথবা দেশের বাইরের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন।