আপনারা যারা জরুরী প্রয়োজনে পাসপোর্ট তৈরি করতে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। যদিও আমরা নিজেরাই অনেক সময় অনলাইনে তথ্যগুলো ইনপুট করার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারি তারপরও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মাধ্যমে করিয়ে নিলে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি হবে না। অনেক সময় পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদনটি পুরোপুরিভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না কোন না কোন ভুল থাকার কারণে। সঠিকভাবে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার পর আপনারা যখন পেমেন্ট সম্পন্ন করতে চাইবেন তখন কোন নিয়ম অনুসরণ করে এটা সম্পন্ন করতে হবে তা জেনে নিন।
অর্থাৎ আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম আলোচনা করব। কারণ অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার পর সেই আবেদনপত্র সাবমিট করবেন এবং সেখান থেকে যে রেজিস্ট্রেশন ফরম পাবেন সেটা সহকারে আপনাদেরকে টাকা জমা দেওয়ার চালানের রশিদ সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে জমা দিতে হবে। তাই আপনারা যখন টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে এটা আমরা এখানে জানিয়ে দিচ্ছে বলে সহজ হবে।
বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ অথবা পেমেন্ট সংক্রান্ত কাজগুলো করা যায় বলে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম অনলাইনে অনুসরণ করতে পারবেন। তবে কেউ যদি মনে করেন সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দেবো তাহলে সেই অপশন আপনাদের জন্য চালু রাখা হয়েছে। তবে অনেক সময় ব্যাংকে গিয়ে সময় নষ্ট হয়ে থাকে বলে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে এ পেমেন্ট করতে চান। তাই পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা এখানে জানিয়ে দিচ্ছে বলে আশা করি আপনাদের অনেক কিছুই বুঝতে সুবিধা হবে।
তাই আপনারা যখন অনলাইনের মাধ্যমে এই টাকা পরিশোধ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে আমরা প্লে স্টোর থেকে A Challan নামক একটা সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে বলবো। এটা বাংলাদেশের অর্থ সংক্রান্ত একটা সফটওয়্যার এবং এর মাধ্যমে আপনি সরকারিভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পেমেন্ট গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যখন আপনারা পেমেন্ট সম্পন্ন করতে চাইবেন তখন পেমেন্ট অপশনে গেলেই পাসপোর্ট অপশনটি নির্বাচন করবেন।
এরপরে আপনাদের পেমেন্ট অপশনের যে কাজগুলো রয়েছে অথবা ব্যক্তিগত পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে তথ্যগুলো চাওয়া হবে সেগুলো পূরণ করবেন। তথ্যগুলো পূরণ করার সময় অবশ্যই আপনারা সঠিক কথা অবলম্বন করবেন এবং আপনার যে অনলাইনের রশিদ রয়েছে অথবা অনলাইনে পাসপোর্ট এর যে সিরিয়াল নম্বর রয়েছে সেই সিরিয়াল নাম্বার এখানে কাজে লাগাতে হবে। এরপরে আপনি কত পেজের পাসপোর্ট পেতে চান এবং কত বছরের মেয়াদে পাসপোর্ট পেতে চান তা নির্বাচন করবেন। সেই সাথে ডেলিভারির ধরন উল্লেখ করতে হবে যাতে করে আপনার পাসপোর্ট অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী আসে অথবা খুব দ্রুত আসে।
তাই ওয়েবসাইটে সকল অপশন গুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করার পর যখন আপনাদের পেমেন্ট মেথড আসবে তখন আপনারা বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের অপশন খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট ব্যাংকের অপশন খুঁজে পাবেন। আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে চান তাহলে দেখতে হবে যে আসলে সেই ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু রয়েছে কিনা। আর যদি সেই ব্যাংকের অপশন থাকে তাহলে অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকিং এর অপশন থাকবে এবং তার মাধ্যমে আপনারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট থেকে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী টাকা পেমেন্ট করতে পারলে আপনাদের একটি চালান পিডিএফ আকারে প্রদান করবে এবং সেটা ডাউনলোড করতে হবে। আর যদি সরাসরি কেউ ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে চান তাহলে আপনাদের অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করা ফরম এবং অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন ফর্ম থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে গেলে তারা আপনাদেরকে এই টাকা প্রদান করতে সহায়তা করবে। উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আশা করি বুঝতে পেরেছেন ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার কিভাবে নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।