সমাজবিজ্ঞান হলো সমাজ সম্পর্কিত যে বিজ্ঞান তাই হল সমাজবিজ্ঞান। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে শুরু করে। কারণ হলো মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বা একতাবদ্ধ হয়ে বসবাস করার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা উপকারিতা তারা তখনই বুঝতে পেরেছিল। আর এই কারণে মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই একতাবদ্ধ হয়ে বাস করতে শুরু করে। একতাবদ্ধ হয়ে বাস করলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে যেমন তারা বিভিন্ন পশুর হিংস্রতা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত
করতে পেরেছে। এবং একতাবদ্ধ হয়ে থাকার কারণে অন্য যেকোনো বাঘ সিংহ এ ধরনের হিংস্র পশুগুলি তাদেরকে আক্রমণ করার সাহস পায়নি। বেশি না ধরনের অসভ্য কাজগুলি তারা সবাই মিলে করে ফেলতে পেরেছে। এ সকল সুবিধা কারণে যখন গোহাবাসী মানুষ একত্রে বসবাস করতে শুরু করলো তখন থেকেই তাদের জীবনমান আস্তে আস্তে উন্নত হতে শুরু করল।
তারা একসাথে স্বীকার করতে বের হলো এবং শিকার ধরে এনে সবাই একসাথে ভাগাভাগি করে খাওয়ার মানসিকতা তৈরি হলো। তৈরি হলো দলের সবাইকে একসাথে রাখার এবং নেতৃত্বের। নেতৃত্বের গুণাবলী শুরু হয় তখন থেকেই। কিন্তু আজকে আমাদের দেখাতে হবে যে, সমাজবিজ্ঞান কবে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আসলে বিজ্ঞান হলো নিয়ম তান্ত্রিকভাবে কোন কিছু পরিচালনা করা বা জীবন পরিচালনা করাকে বোঝায়।
তাই সমাজকে নিয়ন্ত্রান্ত ভাবে পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজকে সুন্দর ভাবে সুখী সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে আসলে একদিনের প্রচেষ্টায় কাজ হয়নি। বহুদিন থেকে মানুষ একের পর এক বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে তারা এই সমাজটাকে এই পর্যায়ে এনেছে বলেই মনে করা হয়। তাই নির্দিষ্ট করে বললে আসলে সমাজবিজ্ঞান স্বতন্ত্রবিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ পাওয়ার দিন তারিখ খুন ওইভাবে বলা ঠিক না বা বলা যাবেনা।
তারপরও আপনারা যেহেতু আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে সমাজবিজ্ঞান কবে স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে সে বিষয়টি জানার জন্য। আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই সমাজবিজ্ঞানকে আলাদাভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে বিজ্ঞান রূপে যে আত্মপ্রকাশ পেয়েছিল সেটি আমরা এখন আপনাদেরকে বলে দিতে পারি। দিশা হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাবের ঘটনা একশত বছরের ও বেশি নয়। অর্থাৎ শিল্প বিপ্লবের ফলে গোটা ইউরোপের Feudal system এর সমাপ্তি ঘটে এবং অর্থনীতি শিল্প কেন্দ্রিক হয়ে যায়। ফলে শিল্প বিপ্লবের কারণেই সেখানকার সামাজিক পথ পরিবর্তন খুব দ্রুততার
সহিত হতে থাকে। কিন্তু এই পরিবর্তনটিকে মানুষ আসলে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিল না। কারণ মানুষের বহুদিনের অভ্যাস বহুদিনের এই বিষয়গুলি তারা একেবারে ছেড়ে আসতে পারছিল না নতুন জীবনে তারা খাপ খাওয়াতে পারছিল না। আর তারই ফলশ্রুতিতে নানা রকম সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পরে। সেই ইউরোপীয় সমাজের বিশৃঙ্খলা থেকে শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং কিভাবে এই সমাজকে নতুন ধারায় নতুন জীবনযাত্রার সাথে খাপ খাইয়া চালানো যায় সেই হিসেবে নিকেশ করতে থাকে।
সেই সমাজের অগ্রগণ্য মনীষীগণ সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন এবং সেই সমস্যাগুলি থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে সব বিষয়ে লিখতে থাকেন। সেই সকল সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে থেকে যে সকল বিজ্ঞানীদের নাম আমরা এ পর্যায়ে বলতে পারি তাদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী অগাস্ট কোৎ, খ্যাতনামা ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন কর্তৃক অনুপ্রাণিত হয়ে একটি সতন্ত্র ভাবে তারা বিজ্ঞানের সৃষ্টি করে থাকেন। এবং সেটি আসলে স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে সমাজবিজ্ঞান।
তাই সমাজকে কিভাবে উন্নত করা যায় সমাজের মানুষকে কিভাবে ভালো দিকে পরিচালনা করা যায় এসব দিক নিয়ে সমাজবিজ্ঞান আলোচনা করতে থাকে সমালোচনা করতে থাকে বিভিন্ন ভালো-মন্দ দিকের। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে আসলে কবে থেকে সমাজবিজ্ঞানকে একটি আলাদা বিজ্ঞান হিসেবে বা স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই বিষয়টি। তাহলে আপনারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলেই আমরা আশা প্রকাশ করি।