যে সকল ছেলে বাস্তবিক জীবনে অনেকে ইমোশনাল এবং বিশেষ করে কোন প্রিয় মানুষের কথাই কষ্ট পেয়ে থাকেন তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ইমোশনাল কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করা হলো। যে সকল ছেলে ইমোশনাল এবং ইমোশনের কারণে প্রতিটা ক্ষেত্রে ভেঙে পড়েন তাদের উদ্দেশ্যে এই সকল কষ্টের স্ট্যাটাস পড়লে হয়তো জীবনের সাথে মিলে যাবে। তাই এ সকল কষ্টের স্ট্যাটাস পড়ে আপনার যদি ভেতরে আরো কষ্ট বাড়ে তাহলে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে শেখা যাবেন। তবে আপনারা যেহেতু কষ্টের স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে এসেছেন সেহেতু সেই স্ট্যাটাস গুলো এখানে প্রদান করা হলো।
স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষ মানুষের আচরণ হবে কিছুটা রগচটা টাইপের। অর্থাৎ ছেলেদের মধ্যে সব সময় ধৈর্য বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতে এখানে একজন পুরুষ চাইলেই যে কোন জায়গায় পা না দিয়ে সবকিছু ধৈর্যের সঙ্গে বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু কিছু ছেলে রয়েছে যারা অতিরিক্ত ইমোশনাল হয়ে যায়। বিশেষ করে একটা ছেলে যদি স্বাভাবিকভাবে ভালো থাকতে থাকতে হঠাৎ করে ইমোশনাল হয়ে যায় অথবা কোন কিছুতেই খুব সিরিয়াসলি ভেঙ্গে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে সেই ছেলেটা সম্পর্কের মাঝে আছে।
জীবনের প্রত্যেকটা কাজের গতি একই ধারাবাহিকতায় চলমান থাকলেও অনেক সময় যদি আপনি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে দেখা যাবে যে আস্তে আস্তে আপনার নির্ভরশীলতা অন্য মানুষের উপর বাড়ছে। অর্থাৎ কোন কিছুতেই আপনার ভালো লাগবে না অথবা কোন কিছুর অনুপস্থিতি আপনাকে অনেক ভাবাবে। আর এই ক্ষেত্রে আপনি যখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না অথবা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে যখন ব্যর্থ হবেন তখন মনে হবে এই পৃথিবীর আকাশ পাতাল সব ভেঙে আপনার মাথার উপরে পড়ছে।
দুনিয়ার জীবনে যদি কোন একজন প্রিয় মানুষ হঠাৎ করে আপনাকে ছেড়ে চলে যায় এবং তার প্রতি যদি আপনি নির্ভরশীলতার জায়গা তৈরি করে ফেলেন তাহলে দেখবেন যে সেই শূন্যতা কখনোই আর পূরণ হবে না। সৃষ্টিকর্তা মেয়ে মানুষকে একরকম ভাবে এবং ছেলে মানুষকে ও একরকম ভাবে তৈরি করেছেন। তাই যে সকল ছেলে বাস্তবিক জীবনে অনেক ইমোশনাল এবং প্রিয় মানুষের কথায় যারা অন্যের কান্নাকাটি করে তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে কিছু কষ্টের স্ট্যাটাস প্রদান করা হলো।
তবে বিপরীত জেন্ডারের মানুষের কারণেই যে একটা মানুষ ইমোশনাল হতে পারে বিষয়টা এভাবে না ভেবে আমরা সকল দিক থেকে আলোচনা করছি। অনেক ছেলে আছে যারা বড় হওয়ার পরেও নিজেদের ভেতরের ইমোশন প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যারা অল্পতেই অনেক কিছু ভাবতে পারে অথবা যাদের চিন্তাভাবনার জগত ভাবনার জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত তারা কোন একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটা সময় ইমোশনাল হয়ে যাবে। এই পৃথিবীর বুকে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করতে অথবা কোন বন্ধু তাকে কষ্ট দিয়েছে সকল বিষয়ে ভাবতে ভাবতে তার ভেতরে ইমোশন তৈরি হয়ে যাবে।
তাই যে সকল নারী মনে করে থাকেন ছেলেরা বাইরে থাকে অথবা তাদের জীবনে অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে তারা ভুল ভাবছেন। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে সংকীর্ণতা রয়েছে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদেরকে সেই সংকীর্ণতার ভেতর দিয়ে জীবনকে পরিচালনা করতে হয়। তবে যাই হোক একজন ছেলে হিসেবে আপনি যেহেতু বিভিন্ন দায়িত্ব ভবিষ্যতে গ্রহণ করবেন সেহেতু ইমোশনাল না হয়ে এবং কষ্ট না পেয়ে সেই কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করার চেষ্টা করুন।
তাছাড়া ধৈর্য ধারণ করতে করতে যখন দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যাবে তখন একটা সময় মনে হবে এ সকল ইমোশন অথবা এ সকল কষ্ট কোন ব্যাপার নয়। তাছাড়া যে সকল বিষয়ে আপনার নয় অথবা যাদের জন্য আপনারা কষ্ট পাচ্ছেন সেই মানুষগুলো হয়তো অন্য কোন কাজে ব্যস্ত রয়েছে যা আপনাকে আর মনে রাখার মত বিষয় নেই। তাই বাস্তবতার সঙ্গে চলুন এবং নিজের পরিবারের বাইরে আপনারা যখন অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাবেন তখন সেটা অবশ্যই স্বার্থের সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই স্বার্থবাদী দুনিয়ায় অন্যকে ভালো না বেসে নিজেকে ভালোবাসো এবং নিজের পরিবারের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করা শুরু করুন।