যদি কেউ ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস পেতে চান এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেগুলো শেয়ার করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের উদ্দেশ্যে তা প্রদান করা হলো। ইমোশন জিনিসটা অত্যন্ত খারাপ জিনিস এবং দুনিয়াবি দিনের পেছনে যদি আপনি আপনার ইমোশন দেখান তাহলে সেখানে কষ্ট বৈকি অন্য কিছু পাবেন না।
তাই যারা ইসলামিক স্ট্যাটাস পেতে যাচ্ছেন এবং এক্ষেত্রে ইমোশন পেতে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো প্রদান করা হলো। এখান থেকে আপনারা ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক গ্রুপে শেয়ার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনেকেরই আবেগ তৈরি হবে।
খুব ঠান্ডা মাথায় একটা জিনিস যদি ভাবেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই পৃথিবীর সৃষ্টির মূলে কে রয়েছেন এবং এই পৃথিবীর সৃষ্টির পর আমাদের সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে কার অবদান রয়েছে। আর এক্ষেত্রে আমরা ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করি বলে অবশ্যই আল্লাহর নাম আমাদের মনের অজান্তে চলে আসবে। তাহলে এ সকল বিষয় জেনে নেওয়ার পরেও আমরা এটা মানতে পারিনা অথবা এটা অনুসরণ করতে চাই না যে আল্লাহ পাক চাইলেই আমাদেরকে ইমোশনাল বানিয়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কষ্ট দিতে পারেন।
কিন্তু আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের এতটাই বেশি ভালবাসেন যে বান্দা শত গুনাহ বা অপরাধ করে থাকলেও যদি দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তাঁর কাছে হাত তুলে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন। তাই আপনি হয়তো বাস্তবিক জীবনে কোন কিছু না পাওয়ার জন্য অনেকে ইমোশনাল হয়ে গিয়েছেন অথবা জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না। দুনিয়ার জীবনে হয়তো কোন মানুষ আপনাকে কষ্ট দিয়েছে অথবা প্রিয় মানুষ ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে আপনি এতটাই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছেন যে জীবনের অর্থ খুঁজে না পাওয়ার কারণে মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে জীবন রেখে আর কোন লাভ নেই।
আপনি হয়তো অন্য একটা মানুষের জন্য অথবা অন্য কোন বস্তুর জন্য নিজের জীবনকে উচ্চারণ করে দিতে চাচ্ছেন এবং এর মাধ্যমে হয়তো মনে করছেন জীবনের প্রকৃত শান্তি অতপর অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য এবং তার হুকুম ও আদেশ-নিষেধ মেনে চলার জন্য। কিন্তু আপনি সেগুলো না করে বিপদে পরিচালিত হচ্ছেন এবং একটা সময় কষ্ট পেয়ে হয়তো সেই বস্তু অথবা ব্যক্তির জন্য জীবনকে শেষ করে দিচ্ছেন।
তাহলে এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করে আল্লাহপাক আপনাকে যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাঠিয়েছেন সেই উদ্দেশ্যে আপনি পূরণ করতে না পারার কারণে অথবা ইমোশনাল হয়ে খারাপ কিছু করে ফেলার কারণে গুনাহগার হয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবিক জীবনে আপনারা যদি এই সত্যটা মেনে নিতে পারেন যে আল্লাহ পাক ছাড়া আমাদের জীবনে আপন বলতে আর কেউ নেই তাহলে আপনার ওই ইমোশন কাজ করবে না ওই সকল ব্যক্তির প্রতি অথবা ঐ সকল বস্তুর প্রতি। তখন আপনার ইমোশন কাজ করবে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি এবং তার সৃষ্টির প্রতি।
তাই এই পৃথিবীর বুকে আল্লাহপাক আমাদের যে সকল পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে বলেছেন সে সকল পথে যদি আমরা ধাবিত হয় তাহলে দেখব যে সেই পথের সুখ যেমন রয়েছে তেমনি ভাবে আল্লাহ পাকের ধৈর্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক সময় কষ্ট ভোগ করে থাকি। তাই সকল ক্ষেত্রে আল্লাহপাক আমাদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন অথবা যে সকল বান্দাদের বেশি ভালোবাসেন তাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন বলে আমরা সকল পরিস্থিতিতে আলহামদুলিল্লাহ বলবো।
আর যখন আলহামদুলিল্লাহ বলবো তখন আল্লাহ পাকের প্রশংসা করা হবে এবং আল্লাহ পাক সেই বান্দার প্রতি অবশ্যই রাজি খুশি হবেন। তাই দুনিয়ার জীবনের কোন বস্তুর প্রতি অথবা কোন বিপরীত জেন্ডার এর প্রতি ইমোশন না দেখে আমরা আল্লাহ পাকের প্রতি ইমোশন দেখাবো। দুনিয়ার জীবনে তিনি আমাদের যে সকল নেয়ামত ও রহমত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন সে সকল বিষয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি আমরা তাঁর দেখানো পথে চলবো। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে ইমোশনাল ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রদান করা হলো বলে সেগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে সকলের মাঝে এই ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করুন।