আপনি কি ইমোশনাল উক্তি পাওয়ার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন? আমাদের আশেপাশে ইমোশনাল ব্যক্তি অনেকেই রয়েছেন যারা ইমোশনাল এর বশীভূত হয়ে অনেক সময় বিপথে পরিচালিত হয়। তাই ইমোশন নিয়ে বিভিন্ন মনীষীরা কিভাবে কি কথা বলে গিয়েছেন সেটা যদি আমরা পড়তে পারি তাহলে হয়তো সেগুলো আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারব এবং নিজেদের ইমোশন কে কন্ট্রোল করতে পারব। তাই অল্পতেই যাদের ভেতরে ইমোশন জাগে এবং ইমোশনের কারণে যারা জীবনে ভালো কিছু করতে পারছেন না তাদের এ সকল উক্তি হয়তো জীবন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
উক্তি বলতে গেলে আমরা সেই সকল বিষয়কে বুঝে থাকি যেগুলো আমাদের জীবনকে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অথবা সর্বসাধারণের জীবনের ক্ষেত্রে মিল রয়েছে এমন কিছু বাক্য। অর্থাৎ উক্তি হবে সেই সকল কথা যা সার্বজনীনভাবে সকলের জন্য স্বীকৃত হবে এবং সকলের জীবনের জন্য যা মিলে যাবে। তাছাড়া প্রত্যেকটি উক্তির মাঝে এক ধরনের শিক্ষা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উক্তি পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের জীবনকে সঠিক পথে যেমন পরিচালনা করতে পারি তেমনি ভাবে এখান থেকে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি মানসিক শান্তির চর্চা করতে পারি।
তাই বিভিন্ন উক্তি আমাদের জীবনকে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে বলে আমরা যদি বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি পড়তে পারি তাহলে সেটা আমাদের জীবনের জন্যই ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে আপনারা যারা বাস্তবিক জীবনে অনেক ইমোশনাল এবং কোন কিছুর কারণে যখন ইমোশনাল হয়ে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারেন না তাদের জন্য হয়তো জীবনে উঠে দাঁড়ানোটা অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। কিন্তু মানুষ চাইলেই সব কিছু পারে এবং এ বিষয়টি যদি মাথার মধ্যে বেঁধে নিতে পারে তাহলে একটা সময় নরম ও দুর্বল ধরনের লোকটিও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এ বিষয়টা আপনারা যদি মানতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আজকের হয়তো নরম-শরম একটা মানুষ ভবিষ্যতে এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে মানসিক দিক থেকে এতটাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে যে তার কাছে যে কোন কিছু বলা যাবে না। আর এক্ষেত্রে ইমোশন কন্ট্রোল এর জন্য আপনি যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য ক্ষতি হবে এবং আপনি জীবনে হয়তো ভালো কিছু করতে পারবেন না। হঠাৎ করে কোন কিছু দেখলে না অথবা কোন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিষয়গুলো যদি আপনি মাথার মধ্যে রাখেন তাহলে আপনার দৈনন্দিন জীবনে যে সকল কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রেখেছেন সেগুলোর ব্যাঘাত ঘটবে।
ইমোশনাল উক্তিগুলো যদি পড়েন তাহলে আশা করি যে এগুলো আপনার চিন্তা ভাবনাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে আপনার নিজেকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা যখন কোন উক্তি পড়ি অথবা যখন কোন অনুপ্রেরণামূলক কথাবার্তা আমাদের সামনে আসে তখন মনে হয় যেভাবে আমরা চাইলেই নিজেদের জীবনকে পরিবর্তন করতে পারি। কিন্তু এটা আপনার সাময়িক রক্তের ভেতরে চঞ্চলতা সৃষ্টি করে থাকলেও পরবর্তীতে এটা যদি জমে যায় তাহলে হয়তো আপনার সেই কাজের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
তাই উক্তি শুধু পড়তে হবে না বরং এটা জীবনের সঙ্গে গেঁথে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। চিন্তাভাবনার সঙ্গে যদি আপনার কাজের বিল না থাকে অথবা আপনার চিন্তাভাবনার ডালপালা যদি অনেক বিস্তৃত হওয়ার পরেও কোন ধরনের আউটপুট না পান তাহলে দেখা যাবে যে সেখান থেকে আপনার সফলতা কখনোই আসবেনা।
1. যারা অল্পতেই ইমোশনাল হয়ে যায়, তারা জীবনে বেশীরভাগ সময় সবার কাছে ঠকে যায়!
2. পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষটা আমি! এই জন্যই সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যায়!
3. কারোর মনে জায়গা করে নেওয়াটা বোধ হয় ভাগ্যের ব্যপার..!! কিন্তু সেই ভাগ্য আমার জন্য লেখা হয়নি।
4. খুব বেশি কষ্ট হয় তখন, যখন সবার মাঝে থেকেও নিজেকে একা মনে হয়!
5. মিথ্যে ভোরের আলো আমার আর ভালো লাগে না! আমি এখন অন্ধকারে থাকতে অভ্যস্ত।
6. স্বার্থপর মানুষরাই জীবনে ভালো থাকে..!! বোকারা তো কেবল অপরকেই ভালো রাখে।
7. প্রিয় মানুষ গুলো যখন অভিমান করে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, নিজেকে তখন বড্ড অসহায় মনে হয়..!!
8. কোনো একদিন বেলা শেষে ক্লান্ত সূর্য্যের মতো, আমার জীবনের প্রদীপটাও নিভে যাবে!
9. সব কিছু কেঁদে পাওয়া যায় না। কিছু জিনিস হাসি মুখে ছেড়ে দিতে হয়।
10. যে আপন হতে চায় না তাকে হাজার চেষ্টা করেও আটকে রাখা যায় না!
11. আমার সাথে কথা না বলে যদি কারোর দিন ভালো যায়, তবে আমিও তার ভালো থাকাটা নষ্ট করতে চাই না!
12. যারা খুব সহজেই সবাইকে আপন করে নেয়, তারাই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায়!
13. জীবনে যখন ইচ্ছা শেষ হয়ে যায়, তখন সত্যি বলছি, জীবন হয়ে যায় রঙহীন!
14. যাকে তুমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে, তার কাছেই তুমি একদিন মূল্যহীন হয়ে পড়বে!
15. সবাই দেখে আমি ভালো আছি, আমি হাসি খুশি আছি। কিন্তু কেউ জানে না আমি বুকের ভেতর কতোটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি!
16. যে মানুষ সবার বেলায় থাকে, সবশেষে তার বেলায় কেউ থাকে না!
17. নরম মনের মানুষদের কষ্ট দিও না। তারা অতিরিক্ত চিন্তার জন্য রাতে ঘুমাতে পারে না!
18. জীবনে কষ্ট এতোই পরিপূর্ণ যে… শেয়ার করলেও শেষ হবে না!
19. যদি চোখের জলের কোন রং থাকতো, তাহলে সকালের বালিশটা রাতের গোপন কাহিনী… ফাঁস করে দিতো!!
20. ভাগ্যে যখন কষ্ট লেখা… তখন এই নিষ্ঠুর সময়কে কি দোষ দেবো?
21. যারা আমাকে ঘৃণা করে… তারা আমার মৃত্যুর পর অবশ্যই বলবে যে, তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন!
22. জীবনে এমন একটা সময় আসে… যখন কাউকে খুশি দেখতে হলে…. তার থেকে দূরে থাকতে হয়!
23. জীবনে একটাই চাওয়া ছিল,, তোমার সাথে বাঁচবো, আর তোমার সাথে মরবো! কিন্তু ঈশ্বর বোধহয় তা পছন্দ করেননি।
24. কিছু কিছু ক্ষত থাকে যা কারোর চোখে পড়ে না..!! কিন্তু ব্যাথা সারাজীবন দিয়ে যায়।
25. হে ঈশ্বর!! আমার সুখে সবাই যেন হাসির সুযোগ পায়; কিন্তু আমার দুঃখে কান্না করার অধিকার যেন কেউ না পায়।
26. সবাই আমার দুঃখ জানার চেষ্টা করে, কিন্তু সবাই তা অনুভব করার চেষ্টা করে না!
27. এতো দুঃখ যে… হিসেব করলে আমি দুনিয়া কিনতে পারি! পার্থক্য শুধু এই যে, আমি হাসতে ভালোবাসি।
28. ভালোই কাটছিল জীবন..! তারপর একদিন তুমি অন্যের হয়ে গেলে।
29. যে মানুষ গুলো বলে তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না..!! সেই মানুষ গুলোই সবার আগে জীবন থেকে হারিয়ে যায়।
30. আজ পর্যন্ত যার উপরেই ভরসা করেছি,, সে শুধু দুঃখ ছাড়া আর কিছুই দেয়নি!
তাই জীবনে উন্নতির জন্য পজিটিভ চিন্তাভাবনার সাথে আমরা যদি সেই অনুযায়ী কাজ করি এবং কাজ করার ক্ষেত্রে যদি অধিক পরিশ্রম হয়েও থাকে তারপরও আমরা সেটার সঙ্গে অবশ্যই লেগে থাকব। তাই ইমোশন কে নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ভালো কিছু করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে। কারণ এই সমাজে আবেগের চাইতে বিবেকের দাম অনেক বেশি এবং বাস্তবতার শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের জন্য এখানে ইমোশনাল উক্তি গুলো দেয়া হয়ে গেল বলে আপনারা পড়ে নিন অথবা সংগ্রহ করে নিন।