পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি আপনারা যদি কোন ধরনের গল্পের বই পড়তে পছন্দ করে থাকেন এবং সেটা নিয়ে যদি আপনাকে বিস্তারিত লিখতে বলা হয় তাহলে খুব সুন্দর করে একটা রচনা লিখতে হবে। সাধারণত যারা বই পড়েন তাদের ভেতরে এক ধরনের ভাষা শৈলী তৈরি হয়ে যায় এবং তাদের ভেতরের শব্দভাণ্ডার অন্যান্যদের চাইতে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই বই পড়া মানুষগুলো চাইলেই খুব সহজে খুব সুন্দর ভাবে যেকোনো ধরনের গল্প উপস্থাপন করতে পারে অথবা
যেকোনো ধরনের লেখা নিজেদের মতো করে বানিয়ে লিখতে পারে। তবে আপনি যদি কোন ধরনের গল্পের বই পড়ে না থাকেন এবং আপনার যদি এ ধরনের টপিকে লিখতে বলা হয় তখন হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন না কিভাবে একটা বই পড়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে হয়। আপনাদের জন্য নিচের দিকে আমার পড়া একটি বইয়ের গল্প রচনা আকারে প্রদান করা হলো।
বর্তমান সময়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে যেকোনো ধরনের বই অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায় অথবা আমরা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য পড়তে পারি। তাছাড়া অনলাইন প্রযুক্তি এবং মোবাইল প্রযুক্তি আসার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের ভিড়ে আমরা যখনই ফোন হাতে নিই না কেন সেখানে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে
যায়। আমাদের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট হওয়ার ফলে বর্তমান সময়ে বই পড়ার প্রবণতা অনেক কমে গিয়েছে এবং অনেক মানুষ রয়েছে যারা বাড়িতে বই ফেলে রাখলেও পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। এক্ষেত্রে যদি একটা ছাত্রকে তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বই পড়ার গল্প রচনাকারী লিখতে বলা হয় তাহলে হয়তো অধিকাংশ ছাত্রই পারবেনা।
কিন্তু বই পড়ার উপকারিতা যে কতটা বেশি তা যদি আপনারা না পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন না। তাই যেকোনো ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে আমাদের পছন্দের টপিক বেছে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী গল্প পড়লে দেখা যাবে যে আস্তে আস্তে পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। আপনি যদি জীবনে কয়েকটি বই পড়ে থাকেন তাহলে বই কেমন ভাবে লেখা হয় সে সম্পর্কে ধারণা চলে আসবে। কিন্তু যে শিক্ষার্থী কখনো বই পড়েনি এবং তাকে যদি বই পড়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হয় তাহলে সে কখনোই তা বুঝতে পারবে না অথবা লিখতে পারবে না।
এক্ষেত্রে আপনি যখন একটা বই পড়বেন তখন এখানে রোমান্টিক বই অথবা নির্দিষ্ট বইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ আপনি যখন রচনা লিখবেন তখন সেই রচনা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবেন এবং সেখানে যদি আপনি প্রেম ভালোবাসার গল্প লিখে রাখেন তাহলে খুব একটা নাম্বার পাবেন না।এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি বই নির্বাচন করতে হবে
যে বইটি দেশ সম্পর্কে বলা হচ্ছে অথবা সাধারণ জনগণের কল্যাণে বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনারা নির্দিষ্ট একটা বই নির্বাচন করবেন এবং সেই বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামারি যদি আলোচনা করতে পারেন তাহলে যথেষ্ট হবে। বইটি কে লিখেছেন এবং কত সালে প্রকাশিত হয়েছে এ সকল তথ্য যদি আমরা ভূমিকাতে প্রদান করতে পারি তাহলে সূচনা খুব ভালো হবে।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য আপনারা এখানে বই পড়ার গল্প উল্লেখ করতে পারেন। বই পড়ার গল্প এখানে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে আপনাকে সহজ ভাষা বেছে নিতে হবে এবং ছোট ছোট বাক্যে এগুলো লিখতে হবে। তবে বই পড়ার অভিজ্ঞতা আপনারা যদি বাস্তব জীবনে অর্জন করতে চান তাহলে নিয়মিতভাবে বই পড়ুন।
যাদের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে মোবাইল আসক্তি রয়েছে তারা যদি বই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে বই আপনাকে একটা সময় অনেক কিছু প্রদান করেছেন। সেই সাথে বাস্তবিক জীবনে যারা একাকিত্বের সঙ্গে দিন কাটানো অথবা নির্জনতার মধ্যে দিন কাটান তাদের উদ্দেশ্যে বই উত্তম বন্ধু হিসেবে বিবেচিত।