আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় একুশে ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা পালন করি মাতৃভাষা দিবস। আজকে আমরা আমাদের এই উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আপনাদের সামনে শেয়ার করব। ভাষা শহীদের অবদান এবং ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার প্রকাশ হলো ২১শে ফেব্রুয়ারি।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত বিভিন্ন সিনেমা আপনারা যদি দেখতে চান তাহলে অনেক সিনেমার ইউটিউবে সার্চ করে দেখতে পারেন। আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের মধ্যে ভাষা শহীদদের তথ্যগুলো উল্লেখ করতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য তার সম্পর্কিত বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার করা যায়। ২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত স্ট্যাটাস শেয়ার করার জন্য প্রয়োজন পড়বে একুশে ফেব্রুয়ারির পিকচার গুলো।
আজকে আমরা আমাদের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় একুশে ফেব্রুয়ারির পিকচার গুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করব। আপনি কি একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্ট্যাটাস আপডেট করতে চান?
আপনি কি ফেসবুকে স্ট্যাটাস শেয়ার করার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারির এডিট করা সুন্দর, ভাষা শহীদের চেতনা যুক্ত ছবিগুলো সন্ধান করছেন?
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন একুশে ফেব্রুয়ারির অনেক ছবি। এগুলো আপনি ডাউনলোড করে শেয়ার করতে পারবেন। একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন আপনাদের সামনে তুলে ধরি একুশে ফেব্রুয়ারীর সকল ছবিগুলো। প্রথমে ছবিগুলো দেখে নিন তারপর একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়তে ভুলবেন না।
আশা করি একুশে ফেব্রুয়ারির ছবিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। থেকে আপনি আপনাদের পছন্দের ছবি ডাউনলোড করে শেয়ার করতে পারবেন। এবার চলুন একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত কিছু কথা।প্রতিটি দেশ, জাতি কিংবা সমাজের নিকট গৌরব করার মতো কিছু বিষয় থাকে। এসব বিষয় বা ঘটনা সেই জাতি, দেশ কিংবা সমাজকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা যোগায়, শক্তি যোগায়, সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।
বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের মানুষের নিকট এরূপ স্মরণীয় একটি ঘটনা হলো ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনা। এই দিনে মায়ের ভাষার অধিকার রাখতে গিয়ে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানেরা। তাই বাঙালির জাতীয় জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম।
১৯৫২ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ঢাকায় একুশে বইমেলার আয়োজন করে।ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য গড়ে তোলা হয় শহীদ মিনার।
ভাষার গুরুত্ব কতখানি সেটা বুঝতে পেরে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন খুব সকালবেলা অর্থাৎ ভোর বেলা। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়। সকালবেলায় ছোট বাচ্চারা ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে খালি পায়ে হাতে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল অর্পণ করে।
পর শহীদদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান এবং ভাষণ দেওয়া হয়। রেলি করে শহীদদের স্মরণ করা হয়। ভাষা শহীদরা চিরজীবন অমর হয়ে থাকবে তাদের এই অবদান বাঙালি জাতি সারা জীবন মনে।ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলাদেশ উদযাপন হয় না এটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাই বাংলাদেশ সহ অনেক দেশে এই দিন উদযাপন করা হয়। আশা করি একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পেরে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।