একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখটি প্রতিটি বাঙালি জীবনে একটি স্বর্ণাক্ষরে লেখে রাখার মত দিবস। এই দিনটি আসলে প্রতিটি বাঙালির গর্ব করার দিন। কারণ একমাত্র বাঙালিরাই ভাষার জন্য পৃথিবীতে প্রাণ দিয়েছেন। আর এই কারণে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের বাংলাদেশের জন্য জাতীয় শোক দিবস এবং পরবর্তীতে ভাষা দিবস হিসেবে এটি ইউনেস্কো তৈরি করেছেন।
অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিকে মর্যাদা দান করার জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা জানাই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভাষা আন্দোলনের সেই ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এটি পরীক্ষায় আসে।
অর্থাৎ আজকে আপনাদেরকে একুশে ফেব্রুয়ারির সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লেখা দেখাবো। একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনা সম্বলিত বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভালোভাবে উপস্থাপন করলে অবশ্যই আপনি একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখন বিষয়টি লেখা হলো বলে মনে করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু মানুষের অর্থাৎ বাঙালি মানুষের একটি গভমেন্ট দিন এবং অনেক মায়ের বুক খালি করার দিন তারপরেও এটি আমরা গর্বের সহিত মাথা উঁচু করেই বলবো যে আমাদের দামাল ছেলেরা পৃথিবীতে একমাত্র যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পেরেছেন। আর এই কারণে প্রতিটি বাঙালি প্রতিটি মানুষের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করে থাকে।
অর্থাৎ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর অটভূমি হল-প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ভারতীয় উপমহাদেশ কে ধর্মের ভিত্তিতে দুইটি দেশে বিভক্ত করে যায় ব্রিটিশরা। অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ১৪ এবং ১৫ আগস্ট পাকিস্তান এবং ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় পৃথিবীর মানচিত্রে। অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশের যে এলাকা গুলি হিন্দু প্রধান এলাকা সেটির হল হিন্দুস্থান এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা গুলো নিয়ে গঠিত হল পাকিস্তান। এই পাকিস্তান রাষ্ট্রটি আসলে একটি অদ্ভুত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল।
কারণ পাকিস্তানের দুটি অংশ ছিল একটি পশ্চিম পাকিস্তান আরেকটি পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান হলো আমাদের বর্তমানের বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে ১৪ ই আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের জন্য ছিল না। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেই তখন থেকেই অর্থাৎ পাকিস্তানের সূচনা লগ্ন থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর নিপীড়ন শাসন শোষণ করতে থাকে। তারা আমাদের উপর একের পর এক আঘাত হান্তে থাকে। আঘাতটা তারা হানে আমাদের ভাষার উপর।
অর্থাৎ পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতারা বাংলায় এসে বলতে থাকে যে উড়তেই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু সেই সময়কার ছাত্র জনতা কিছুতেই এই উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি মেনে নিতে পারেনি। তারা গর্জে উঠেছিল তারা বসে উঠেছিল তারা এই স্লোগানের বিরুদ্ধে জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল।তারপর থেকেই অর্থাৎ ১৯৪৭ এর পর 1952 সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এই দিন ভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সহ ঢাকার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীগণ একেবারে ফুঁসে উঠলো।
তারা তৎকালীন সরকারের 144 ধারা জারি ভঙ্গ করে মিছিল করতে থাকে ভাষার দাবিতে। সেই মিছিলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পাকিস্তানি পুলিশ বাহিনী। তৎক্ষণাৎ নিহত হয় শফিক রফিক জব্বার সালাম বরকত সহ আরো অনেক নাম না জানা শিক্ষার্থী শ্রমিক যুবক কৃষক সকলেই। তারপরে আরো আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে এবং পাকিস্তান সরকার একসময় বাধ্য হয়ে বাংলা কেউ রাষ্ট্রভাষা করার দাবি মেনে নেয়। তখন থেকেই এই একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীদের রক্ত দেওয়ার দিন
সেদিন সাধিকার আন্দোলনের প্রথম দিন ভাষা আন্দোলনের জয়ের দিন। তাই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের অনেক ভাই বোন তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এই বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য। এ বিষয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে আপনি আলোকপাত করলে অবশ্যই একটি অনুচ্ছেদ রচনা করা যাবে। তারপরেও যদি আপনার মনে সন্দেহ জাগে তাহলে অবশ্যই নিচে দেওয়া আমাদের অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে দেখে তারপরে পড়ে নিতে পারেন।