গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার জন্য বর্তমান সময়ে সকলেই আলট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন। আর এই আলট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে সন্তানের ওজন অথবা মায়ের ওজন অথবা সন্তান কবে গর্ভে এসেছে এবং সেটা হওয়ার সম্ভাবনা কত তারিখে এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যায়। অনেকের কাছেই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলট্রাসনোগ্রাম করার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের বাধা আসলেও আপনারা যদি মনে করেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা যাচাই করা যেত তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনারা এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন। অর্থাৎ আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করার তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু ইঙ্গিদের মাধ্যমে অথবা কিছু নির্দেশনার মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা যাচাই করে দেখতে পারেন।
তবে সকল ক্ষেত্রে যে এই তথ্যগুলো সঠিক হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই এবং এটা একটা অনুমান মাত্র। আগেকার দিনের যে সকল প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ছিল সেগুলোর উপর নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের খাওয়া দাওয়া, তার চালচলন, তার চেহারার অবস্থা, প্রসবের ধরন তার ভেতরের অসুস্থতা এবং অন্যান্য ধরনের উপরে এগুলো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই সেগুলোই আপনাদের জন্য এখানে আমরা আর জানিয়ে দিচ্ছে এবং আশা করি এই তথ্যের বাইরে অন্য কোন তথ্য অথবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চা কি হবে তা যাচাই করার কোন অপশন নেই।
তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চাটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা যাচাই করার জন্য আপনারা যদি কয়েক ফোঁটা দুধ একটি তাজা উকুনের উপরে ফেলে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে পরীক্ষা করা যাবে। যদি সেই উকুনের শক্তি থাকে এবং এই কয়েক ফোটা দূর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তাহলে গর্ভের সন্তান মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং যদি বেরিয়ে আসতে পারে তাহলে ছেলে সন্তান হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কবিরাজ এবং হেকিম দের মতে মায়ের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিক বিবরণ এবং স্তনের বিবরণ থেকে অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এগুলো নির্ণয় করা হয়।
আপনাদের জন্য নিচের দিকে আরো কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হবে যেটার মাধ্যমে আপনারা গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা জেনে নিতে পারবেন। গ্রামের নানি দাদিদের তথ্যের উপরে নির্ভর করে আমরা এটা জানতে পেরেছি যে তারা বলে থাকেন যদি কোন নারী গর্ভধারণ করা অবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে তার গর্ভের সন্তান মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি টক জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে গর্ভের সন্তান ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে ঘরোয়া পরীক্ষা
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে এটার ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে আপনারা যদি সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে বলব যে একজন গর্ভবতী নারী যদি সকালবেলায় অসুস্থ অনুভব করেন তাহলে তার কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে অতীতে এ সকল ধ্যান-ধারণাকে প্রাধান্য না দেওয়া হয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে সকাল বেলার অসুস্থতা অথবা গর্ভবতী নারীর সকালবেলার ক্ষেত্রে শরীর খারাপের বিষয়গুলো সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা গর্ভবতী নারীদের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এটা যদি পরীক্ষা করতে চান তাহলে অন্যান্য আরো পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
গর্ভধারণ করার পর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সময় যদি নারীর শক্তি বেশি হয় অথবা নারীর আগ্রহ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে এক ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। অর্থাৎ স্ত্রীর যদি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আগ্রহ ও উত্তেজনা বেশি কাজ করে তাহলে গর্ভের সন্তান কন্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যদি এই ক্ষেত্রে স্ত্রীর আগ্রহ কম থাকে এবং উত্তেজনা কম থাকে তাহলে কন্যা সন্তানের পরিবর্তে ছেলে সন্তান হবে বলে জানা যায়।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝব
ধারনা করা হয় যে গর্ভধারণের সময় যদি স্বামীর শরীরের বিশেষ পদার্থ বেশি পরিমাণে নির্গত হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হয়। এছাড়াও অনেক প্রচলিত ধ্যান-ধারণা রয়েছে যেগুলোর উপরে নির্ভর করে গর্বের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সে বিষয়ে আমরা বুঝতে পারি। তাছাড়া গ্রামে থাকলে বয়স্ক নারীরা বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখে সেগুলো বুঝতে পারেন। তবে এ বিষয়ে বেশি মাতামাতি না করে সন্তান যেটাই হোক না কেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করতে হবে।