আমাদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের এক ধরনের প্রাণী হয়ে থাকলেও সাধারণত গৃহপালিত বিড়াল গুলো আমাদের গৃহে দেখতে পাই। কিন্তু আপনারা যখন বন বিড়ালের নাম শুনবেন তখন হয়তো ধারণা করতে চাইবেন যে বন বিড়াল গুলো হয়তো বনে পাওয়া যায়। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে বন বিড়াল যা অনেক জায়গাতে জংলি বিড়াল নামে পরিচিত সেগুলোর ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আপনারা এখান থেকে বন বিড়ালের ছবি দেখে নিতে পারবেন এবং সেইসাথে তাদেরকে কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে অথবা কোথায় পাওয়া যায় এবং তাদের বৈজ্ঞানিক নাম কি সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। বন বিড়াল মানে যে বনে থাকবে এমনটা নয় বরং এগুলো আমাদের বাড়ির আশেপাশে কিন্তু দেখা যায়। গৃহপালিত বিড়ালের চাইতে আকৃতিতে কিছুটা বড় এ সকল বন বিড়াল আমরা সন্ধ্যা হলে দেখতে পাই এবং গ্রামের বাড়িতে হয়তো এগুলো ডাক আপনারা শুনতে পাবেন।
তাই আপনারা যেহেতু বন বিড়াল চিনেন না অথবা এগুলো এই পর্যন্ত দেখেও চিনতে পারেননি তাদের জন্য ছবি প্রদান করার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে চাইছি আসলে এটাই হল বন বিড়াল। বিভিন্ন পশু পাখির নাম শোনার পরও আপনারা যখন সেই সকল বিষয়ে একেবারেই ধারণা অর্জন করেন না অথবা সে বিষয়ে আপনাদের যখন কোন জ্ঞান থাকে না তখন আমরা আপনাদেরকে ছবির মাধ্যমে এবং লিখিত তথ্যের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।
তাই আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে বন বিড়ালের ছবিগুলো দেখে নিতে পারছেন বলে আপনাদের জন্য যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমনি ভাবে আমরাও এগুলো দেখিয়ে আপনাদের উপকার করতে পারছি। আপনারা যদি বন বিড়াল সম্পর্কে আরও কোন ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে আমরা এখন এ প্রসঙ্গে আলোচনা করব যা আপনাদের জন্য হয়তো অনেক কাজে আসবে। এ সকল বিড়াল কিন্তু কর্ডাটা পর্বের প্রাণী হয়ে থাকে। সেই সাথে বিড়ালেরা কিন্তু স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
কালো বন বিড়ালের ছবি
বন বিড়াল বলতে গেলে যারা কালো বিড়াল চিনে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব যে এই বিড়াল গুলো কেউ অনেক সময় বন বিড়াল বলা হয়ে থাকে। সাধারণ ভাষায় বন বিড়াল হয়ে থাকলেও স্থানীয় ভাষায় এদেরকে অনেক সময় জংলি বিড়াল অথবা খাগড়া বিড়াল বলা হয়ে থাকে। তবে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় এদেরকে ভাড়ল নামে ডাকা হয়ে থাকে যা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। তবে যাই হোক এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি যেহেতু জানতে পারলেন সেহেতু আশা করি আপনাদের জন্য অনেক কিছুই সুবিধা হবে।
বন বিড়ালের বৈশিষ্ট্য
আপনি যদি বন বিড়ালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এরা সাধারণ বিড়ালের চাইতে কিছুটা বড় আকৃতির হয়ে থাকে। ঘাসফড়িং থেকে শুরু করে বড় ধরনের পোকা অথবা ইদুর এরা খেয়ে থাকে। আমাদের ফসলের মাঠে যে সকল কীটপতঙ্গ ক্ষতিসাধন করে থাকে তাদেরকে খেয়ে এই বিড়াল কিন্তু অনেক উপকার করে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা অনেক সময় মুরগি অথবা কবুতর ধরে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনেক সময় ক্ষতি করে। রাতের বেলা এদের খাবারের যোগান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবারের ব্যবস্থা করতে এরা খুব পরিশ্রম করে।
আপনারা যারা বন বিড়ালের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে বলব যে এরা রাতের বেলায় কোন বড় গাছের কোটরে অথবা নির্দিষ্ট একটা স্থানে ঘুমিয়ে থাকে। অনেক সময় এরা মৌসুম ভিত্তিকভাবে দুই থেকে চারটি ছানা প্রসব করতে পারে। বর্তমান সময়ে যেমন জঙ্গল বা জলভূমি নষ্ট হতে শুরু করেছে তাতে করে এই বিড়াল গুলো কিন্তু আর খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। হয়তো বিভিন্ন পার্কে গেলে অথবা বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় গেলে আপনারা এগুলো দেখতে পারবেন।
বন বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম
আপনারা যারা এই পোষ্টের মাধ্যমে বন বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাহলে তাদেরকে বলব যে এদের বৈজ্ঞানিক নাম হল Felis chaus. কারণ অনেক সময় এদের বৈজ্ঞানিক নাম জানতে চাওয়া হয় এবং আপনারা সঠিকভাবে এটার নাম জানেন না বলে সঠিক উত্তর প্রদান করতে পারেন না। তবে বন বিড়াল সম্পর্কে আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে সে প্রসঙ্গে আমাদেরকে জানালে অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারব।