গনেশের ছবি | গণেশ ঠাকুরের ছবি ডাউনলোড

গণেশ ঠাকুর হলেন সিদ্ধিদাতা। অর্থাৎ যারা সিদ্ধি লাভ করতে চায় সেটা ব্যবসা-বাণিজ্য হোক অথবা অন্য যে কোন বিষয়ই হোক না কেন তাহলে তাদেরকে অবশ্যই শিক্ষিত থাকে গণেশের উপাসনা করতে হবে। সনাতন ধর্মে বিভিন্ন দেশ থেকে আরাধনা বা পূজা করার নিয়ম নীতি রয়েছে। এ সকল নিয়ম-নীতি বাইরে থেকে হয়তো অনেকে মনে করবে যে সনাতন

ধর্মাবলম্বীরা হয়তো ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকেন ঈশ্বরের দ্বারা পূজা করে থাকেন। কিন্তু সনাতন ধর্ম ে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। প্রাথমিকভাবে ঈশ্বর তিনটি প্রক্রিয়ায় এই জগত পালন সৃষ্টি এবং খারাপ কিছু ধ্বংস করে থাকেন। তাদেরকে বলা হয় ত্রিদেব। অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। এই তিন রকম বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কে হিন্দু বাসনাতন শাস্ত্রীয় মতে ঈশ্বর প্রতিফলন করে থাকেন।

দেব-দেবী

সনাতন ধর্ম পথে দেব দেবী হলেন ঈশ্বরের এক একটি গুন বা গুণের প্রকাশ। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষায় বলা হয়েছে সনাতন ধর্ম ৩৩ কোটি দেব-দেবী রয়েছে। তবে সংস্কৃত ভাষায় আসলে এই কটি শব্দের অর্থ হলো প্রকার। তাই বলা হয় যে সনাতন ধর্ম মতে ৩৩ প্রকারের দেব-দেবী রয়েছে। এই ৩৩ প্রকারের মধ্যে হলো –

আট বসু, 11 রুদ্র, ১২ আদিত্য, ইন্দ্র ও প্রজাপতি। এগুলো মিলে মোট ৩৩ প্রকারের দেবদেবী রয়েছে। অর্থাৎ বেদে যায় ৩৩ উচ্চ কটি সম্পন্ন অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ দেব দেবীর কথা বলেছেন সেগুলোই হল এগুলো। তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আসলে ৩৩ কোটি দেবতা বলতে কাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। তবে এই ৩৩ প্রকারের কেজি সেগুলো আসলে ঈশ্বরের বিশেষণ বা ঈশ্বরের গুণের প্রকাশ।

গণেশ ঠাকুর

গণেশ হল হিন্দু ধর্মের সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বাধিক প্রচিত দেবতাদের মধ্যে অন্যতম। গণেশ ঠাকুরকে অনেকেই গণপতি, বিশ্বেশ্বর, বিনায়ক, গজপতি, একদম তো ইত্যাদি নামেও অভিভাবক করে থাকেন। নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, ফিজি, গায়না, মরিশাস এবং ত্রিনিবাদ ও টোবাগো সহব বৃহৎ জাতিগত ভারতীয় জনসংখ্যার দেশগুলোতে গণেশের প্রতি ভক্তি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত দেখা যায়। তাই এসব দেশগুলোতে গণেশকে বা গজবতিকে শক্তি ভরে পূজা করা হয়ে থাকে।

যৌন ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যেও গনেশ ভক্তিবাদ মিশে গিয়ে গণেশ পূজার প্রথা বিস্তার লাভ করেছে সমস্ত পৃথিবীতেই। তাই আপনারা যারা গণেশ ঠাকুরের ছবি আমাদের এখান থেকে দেখার জন্য এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে গণেশ ঠাকুরের ছবি দেখে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য আজকে যত ধরনের গণেশ ঠাকুরের ছবি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব তা আমরা চেষ্টা করে যাবো। তবে আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টে থাকতে হবে। তাহলে অবশ্যই সব রকমের গণেশ ঠাকুরের ছবি দেখতে পাবেন আশা করি।

গণেশ ঠাকুরের ছবি

গণেশ ঠাকুরের মুখের অবয়ব অনেকটা হাতির মত মুখমণ্ডল রয়েছে। তবে এর অবশ্যই একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। তবে আমরা গণেশের একটি দন্ত আপনাদের বা আমরা দেখতে পাই। আর এই কারণেই গণেশ ঠাকুরের আরেকটি নাম রয়েছে একদন্ত। গণেশের চার হাত। সিদ্ধিদাতা গণেশের ব্যাপক পরিচিতি সমস্ত পৃথিবীতেই। সনাতন শাস্ত্র মতে গণেশী প্রথম বেদ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাই গনেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পূজা করা হয়। বছরের সব সময় গণেশ পূজার রীতি রয়েছে। তবে ভাদ্র মাসের গণেশ তিথি এই সময় আলাদাভাবে বেশ ঘটা করে গণেশ পূজা করা হয়ে থাকে।

সাধারণত আমরা জানি যে, সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) নামে পরিচিত। ভাদ্র- আশ্বিন মাসের চতুর্থী তিথির শুক্লপক্ষে সাধারণত পালিত হয় এই উৎসব (Festival)। তাই আপনারা গণেশ সম্পর্কে যখন বিস্তারিত জেনে নিতে পারলেন এখন আপনারা গণেশ ঠাকুরের ছবিগুলো মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকেন। এখান থেকে ঠাকুরের ছবিগুলো আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে বা প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সেটা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

Leave a Comment