স্বাগতম বন্ধুরা আমাদের এই উপস্থাপনায়। আপনি কি একটি নতুন মোবাইল কিনতে চান? মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই মোবাইল সম্পর্কে যথেষ্ট ইনফরমেশন নিয়ে তারপর একটি মোবাইল ফোন কিনবেন। আপনার বাজেট যদি কম হয়ে থাকে তাহলে কম টাকার মধ্যে কোন মোবাইল ফোনটি ভালো হবে সেটা সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আপনার বাজেট যদি ৭ হাজার টাকার মধ্যে হয় তাহলে তাহলে আপনিও একটা স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।
সাত হাজার টাকা দামের ফোন গুলো সব থেকে কম প্রাইজের এজন্য এসব ফোনের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায় না। এই ফোনগুলো বেশিদিন টেকসই হয় না। কিন্তু সবার সামর্থ্য হয় না ৫০ হাজার টাকার মধ্যে একটি ভালো স্মার্টফোন কেনার। এজন্য অনেক ফোন কোম্পানি আছে যারা একদম কম প্রাইজের মধ্যে স্মার্টফোন দিয়ে থাকে। কোয়ালিটি এবং ফোনের ram, rom , storage অন্য ফোন দের থেকে কম হবে কিন্তু একটি স্মার্ট ফোনে যা যা ফাংশন থাকে কম দামের ফোনেও একই ফাংশন আপনি পেতে পারেন।
আপনি কি আপনার বাচ্চাকে একটি স্মার্ট ফোন কিনে দিতে চান? বাচ্চাদের বেশি এক্সপেন্সিভ ফোন দেওয়া উচিত নয়। কারণ বাচ্চারা যেকোনো সময় ফোন নষ্ট করে দিতে পারে এবং এক্সিডেন্টলি ফোনটা যদি ভেঙে যায় তাহলে আপনার অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের যদি স্মার্ট ফোন দিতে চান তাহলে সাত হাজার টাকা দামের একটি স্মার্ট ফোন দিতে পারবেন। দামি স্মার্টফোনের মতই কম দামের স্মার্টফোনে ও সকল ধরনের ফাংশান এভেলেবল থাকে।
৭০০০ টাকা দামের যদি একটি কম দামের স্মার্টফোন কিনেন তবে সেটাতেও আপনি গেম খেলতে পারবেন, YouTube ইউজ করতে পারবেন, Facebook, Instagram, Twitter ,WhatsApp ,Messenger সকল ধরনের অ্যাপ গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এই ফোনের স্টোরেজ গুলো কম থাকায় সবগুলো অ্যাপ আপনি একসাথে ইউজ করতে পারবেন না। কম দামের ফোনের যদি স্টোরেজ ফুল না হয়ে যায় তাহলে একটি সাত হাজার টাকা দামের কম দামের স্মার্টফোন অনেক দিন টিকতে পারে। একটি ক্যামেরাসহ সকল ধরনের ফ্যাসিলিটিক্স পেতে পারেন আপনি একটি কম দামের স্মার্টফোনে।
টু জিবি রেম সহ কম দামের একটি ফোন আপনি ও পেতে পারেন সাত হাজার টাকার মধ্যে। অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো খুব কম দামে স্মার্টফোন বাজারে সেল করে। যেমন:- redmi ,symphony, vivo Walton, I tell এরকম অনেক আরো হাজার হাজার কোম্পানি রয়েছে যেখানে কম দামের ফোন এবং বেশি দামের ফোন সব ধরনের ফোনই এভেইলেবল। কম দামের ফোনের একটাই অসুবিধা যে এই ফোনের স্টোরেজ কম থাকে। এজন্য বিভিন্ন ধরনের গেমিং অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় না। বেশি ছবি এবং ভিডিও রাখা যায় না। ৭০০০ টাকার মধ্যে যদি একটি স্মার্ট ফোন কিনেন তাহলে সেটি একটু সতর্কভাবে ইউজ করতে হবে। কম দামের স্মার্টফোনটি যদি আপনি স্টোরেজ ক্লিয়ার করে ইউজ করেন তাহলে একটি কম দামের স্মার্টফোন অনায়াসে ২-৩ বছর চলে যাবে।
অনেকের সমর্থ্য হয় না একটা এক্সপেনসিভ স্মার্টফোন কেনার । এজন্য দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন মোবাইল ব্র্যান্ড লোয়েস্ট প্রাইসের( lowest price smart phone) invent করেছেন। যার ফলে সর্বস্তরের মানুষজন এখন স্মার্ট ফোন ইউজ করতে পারে। কিছু বছর আগেই একটি ছোট মোবাইল ফোনের দামও অনেক বেশি ছিল। তখন মোবাইল ফোনের অত প্রচলন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ৯৯.৯% জনগণ স্মার্টফোন ইউজ করে। বাকি 0.1% জনগণ ছোট ফোন ব্যবহার করে। বর্তমানে ফোনের প্রাইজ অনেক কম আপনি চাইলে ১ হাজার টাকার মধ্যেও একটি মোবাইল ফোন কিনে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষজনের সাথে কথা বলতে পারবেন।
আগে মোবাইল ফোন সবার ছিল না, মোবাইল ফোনের এত প্রচলন ছিল না এজন্য সাধারণ ফোন থেকে শুরু করে স্মার্টফোনের প্রাইস অনেক হাই ছিল। কিন্তু এখন 6 থেকে 7000 টাকার মধ্যে একটি স্মার্ট ফোন পাওয়া সম্ভব। কোয়ালিটি গত দিক থেকে অবশ্যই অনেক পার্থক্য থাকবে কিন্তু কম দামের মধ্যেও একটি স্মার্টফোন পাওয়া যায়।