কম দামে ভালো শাড়ি

যে সকল মেয়ে শাড়ি পড়তে পছন্দ করে অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যবহার করার জন্য শাড়ি কিনতে চান তাদের হয়তো বাজেট খুব একটা বেশি থাকে না। বিশেষ করে শহর পর্যায়ে যারা হোস্টেলে অথবা মেসে বসবাস করেন তারা কলেজের অথবা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য একদিনের উদ্দেশ্যে শাড়ি কিনতে চান। সাধারণত আপনি যদি কম বাজেটে শাড়ি কিনতে চান তাহলে সেটা যেমন কিনতে পারবেন তেমনি ভাবে বেশি বাজেটের শাড়িও কিন্তু পাওয়া যাবে। তাই আপনারা যেহেতু কম দামের শাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছে অথবা কোথায় গেলে কম দামে শাড়ি পাওয়া যেতে পারে তা জানাতে চাইছি সেহেতু আপনারাই তথ্য পড়ে দেখুন।

বর্তমানে অনলাইন শপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় কম দামে ওয়ান টাইম শাড়ি কিনতে পাওয়া যায়। আর যদি আপনারা বাড়িতে ব্যবহার করার মত নরম কম দামে শাড়ি কিনতে চান তাহলে সেটা স্থানীয় বাজার থেকে কেনাটাই সবচেয়ে ভালো হবে। প্রকৃতপক্ষে আপনারা যদি শাড়ি কেনার স্থান সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তাহলে আপনি যে স্থানে বসবাস করছেন সেই স্থানের লোকাল মার্কেট গুলোতে কম দামে শাড়ি পাওয়া যায়। তবে আপনি যে দোকানেই শাড়ি কিনতে যান না কেন বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা আপনাদেরকে বেশি দাম শোনাতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনারা যদি দর কষাঘষি করে কিনতে পারেন তাহলে কিছুটা কমে পেয়ে যাবেন। তবে বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটা জিনিসের উৎপাদন খরচ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ভাবে এই শাড়ির দাম গুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যে সকল শাড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত সে সকল শাড়ি বর্তমান সময়ে ৭০০-৮০০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে শাড়ি বলতে গেলে এখন মোটামুটি ভাবে আপনাদের 800 থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে বাজেট রাখতে হবে। আর যদি থান কাপড় কিনতে চান অথবা নরম কাপড় কিনতে চান তাহলে সেটা ৪০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

যদি টাঙ্গাইল প্রিন্টের শাড়ি কিনতে চান তাহলে আগেকার দিনে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেল বর্তমানে সেটা ৭৫০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। তবে স্থানভেদের দাম কম বেশি হতে পারে এবং কোথাও ১০০ টাকা কম অথবা কোথাও ১০০ টাকা বেশি হতে পারে। আর যদি ভালো মানের টাঙ্গাইল চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে ১০০০ টাকার উপরে খরচ করতে হবে। বাজারে টাংগাইল সাড়ি ছাড়াও বর্তমান সময়ে প্রিন্টের নরম কাপড়ের শাড়ি বের হয়েছে যেগুলো ৮০০ টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়।

তাই একেক জায়গার শাড়ির বাজার এক এক রকম এবং বিভিন্ন অকেশনের জন্য যদি আপনারা শাড়ি কিনতে চান তাহলে সেগুলো বর্তমান সময়ে অনলাইনের বিভিন্ন দোকানে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ১৫০০ টাকার মত খরচ পড়বে। তাই আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ি কিনবেন তখন অবশ্যই সেটার বিশ্বস্ত পেজ থেকে কেনার চেষ্টা করবেন অথবা বাদ দিবেন। কারণ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতারক এখন জনগণের বিশ্বস্ততার জায়গা থেকে প্রতারণা করছেন।

অনলাইনে শাড়ি দেখাও

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ি দেখতে চান তাহলে আমরা শাড়ির ব্যবসা করছি না বলে আপনাদেরকে তা প্রদান করতে পারছি না। তবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গাতে আপনারা এখন অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ি কিনতে পারবেন যেটা সহজ এবং কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে পেজের রিভিউ অথবা রেটিং না দেখে শাড়ি কিনে প্রতারিত হলে সেক্ষেত্রে আমরা দায়ী থাকব না। কারণ অনলাইনের মাধ্যমে অনেকে প্রতারণা করছে এবং অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা শুধু শাড়ি দেখে নিয়ে সেটার ছবি সংগ্রহ করে চাইলে স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

বাঙালি নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য পোশাক হলো শাড়ি। বাসা বাড়িতে শাড়ি পড়ে থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরার প্রচলন রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা শাড়ি পড়ে এটেন্ড করতে পছন্দ করে। অবিবাহিত মেয়েরা কলেজের প্রোগ্রাম অথবা পারিবারিক বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অন্যান্য অনুষ্ঠানে শাড়ি পড়ে সাজতে পছন্দ করে বলে কম দামের ভিতরে শাড়ি পেলে তারা সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী তা ব্যবহার করতে পারে।

Leave a Comment